Friday, July 5, 2013

লোডশেডিং : রমজানেও দুর্ভোগ পোহাবে নগরবাসী

লোডশেডিং : রমজানেও দুর্ভোগ পোহাবে নগরবাসী
আসন্ন রমজানে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ালেও বিদ্যুৎ বিভাগের বিতরণজনিত সমস্যার কারণে নগরবাসীকে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হবে। চাহিদার বেশি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় ট্রান্সফরমার ও সাবস্টেশনগুলো ওভারলোড হয়ে আছে। অধিকাংশ পুরানো ট্রান্সফরমার হওয়ার কারণে নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।
আসন্ন রমজানে সরকার গ্যাস সাশ্রয় করে তা সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন পর্যায়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে সারাদেশে সিএনজি স্টেশনগুলো প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বন্ধ এবং রি-রোলিং কারখানাগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য পিডিবি বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু রমজানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সাশ্রয় হলেও লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণ রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
বিদ্যুৎ বিতরণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সিদ্ধান্তে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা বাড়লেও চট্টগ্রামে বিতরণ লাইন, সাবস্টেশন ও ট্রান্সফরমারগুলোর যুগোপযোগী না হওয়ায় রমজান মাসে সেহেরী-ইফতারে লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণ রাখা যাবে না। চাহিদার বেশি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় ট্রান্সফরমার ও সাবস্টেশনগুলো ওভারলোড হয়ে আছে। তাই পিক আওয়ারে বিশেষ করে সেহেরী ও ইফতারের সময় একসাথে নগরবাসীকে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে না। চট্টগ্রামে প্রায় ৪ হাজার ট্রান্সফরমার রয়েছে। বেশিরভাগ ২০ থেকে ৩০ বছরের পুরোনো। কিন্তু বর্তমানে গ্রাহকদের চাহিদা ও লোড প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সে অনুযায়ী ট্রান্সফরমারগুলো ওভারলোড হয়ে পড়ছে। এছাড়া উপকেন্দ্র রয়েছে ৩৪ টি আর গ্রিড উপকেন্দ্র রয়েছে ৪ টি। এসবের বেশিরভাগই ওভারলোডেড।
পিডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। সরকারের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নের ফলে যে সমস্ত গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ আছে সেগুলো উৎপাদনে যাবে। এতে করে পিডিবি চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে। বর্তমানে নগরে গ্রাহকদের বিদ্যুতের চাহিদা হচ্ছে ৭০০ মেগাওয়াট। গড়ে প্রতিদিন লোডমেডিং হচ্ছে ১৫০ মেগাওয়াট (দিনে ও রাতে)।
পিডিবি’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী বলেন, পিক আওয়ারে গ্রাহকদের ডিমান্ড যখন বেড়ে যাবে চারটি গ্রিড উপকেন্দ্রের ১৩২/৩৩ কেভি ট্রান্সফরমারের ওভারলোড হয়ে যাবে। একইভাবে এর আওতাধীন ৩৪ টি উপকেন্দ্রের লোড বেড়ে যাবে। ফলে ওভারলোড কমাতে কয়েকটি ফিডার অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে। এতে করে বিতরণ কেন্দ্র থেকে কয়েকটি এলাকা লোডশেডিংয়ে থাকতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত গরম দেখা দিলে এই সমস্যা আরও প্রকট হবে।
এ্ই ব্যাপারে পিডিবির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও একসাথে সবাইকে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব। কোনো এলাকায় একটা সময়ে লোডশেডিং করা হবে। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পেলেও সবগুলো একই পারপাসে বিতরণ করা সম্ভব হবে না।

No comments:

Post a Comment