Saturday, July 27, 2013

কেনাকাটা রঙ্গ

Untitled-18ঘড়ির দোকান থেকে একটা দামি ঘড়ি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল রুস্তম। বেদম প্রহারের একপর্যায়ে সে দোকানের
মালিককে বলল, ‘ভাই, আমি ঘড়িটা কিনে নিই। ঝামেলা আপনার আর আমার মধ্যে মিটে যাক।’
দোকানদার ভাবলেন, প্রস্তাবটা খারাপ না। উপস্থিত জনতা রুস্তমকে ছেড়ে দিল। চোরকে সঙ্গে নিয়ে দোকানে ঢুকলেন 
দোকানদার। ‘ক্যাশ মেমো’ লিখতে ব্যস্ত হলেন তিনি।
গা ঝাড়া দিয়ে বেশ ভাবের সঙ্গে বলল এবার রুস্তম, ‘ইয়ে মানে, কিছু মনে করবেন না দাদা। আমি যা খরচ করতে 
চেয়েছিলাম, এই ঘড়ির দামটা তার চেয়ে একটু বেশি। আমাকে বরং কম দামি একটা ঘড়ি দেখান।’

কদিন পর ঈদ। কাপড় ব্যবসায়ী তাহের মিয়া পড়েছেন বিপাকে। কথা নেই বার্তা নেই, ঈদের আগে তাঁর দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী 
দাঁড়িয়ে গেছে। তাহের মিয়ার দোকানটা নিচতলায়। দোতলায় একটা নতুন কাপড়ের দোকান বড় করে সাইনবোর্ড 
ঝুলিয়েছে, ‘সকল জামার মূল্যে ৩০% ছাড়!’ তিনতলায় আরও একটা নতুন দোকান সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে, ‘সকল 
জামা-কাপড় সর্বনিম্ন দামে।’
ভেবেচিন্তে তাহের মিয়াও একটা সাইনবোর্ড লিখে দরজার সামনে লাগিয়ে দিলেন। তাতে লেখা, ‘দরজা এই দিকে!’

ছোট্ট খোকা এক সকালে দোকানের একটা সাইকেল দেখিয়ে বলল, ‘আঙ্কেল, আপনাদের এই সাইকেলটা কি রাত পর্যন্ত 
থাকবে?’
দোকানদার: নিশ্চয়ই। কিন্তু কেন?
খোকা: কারণ, আমি এখন বাড়ি গিয়ে সাইকেলটা কেনার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করব। দুপুর নাগাদ বিরক্ত হয়ে মা আমাকে
মারবেন। সন্ধ্যা অবধি আমার কান্না থামবে না। বাধ্য হয়ে রাতে বাবা আমাকে সাইকেলটা কিনে দেবেন।

বিচারক: আপনার অপরাধ?
অভিযুক্ত ব্যক্তি: আমি আমার ঈদের কেনাকাটা একটু আগেভাগে সেরে ফেলতে চেয়েছিলাম।
বিচারক: কতখানি আগে?
অভিযুক্ত ব্যক্তি: দোকান খোলার আগে।

স্ত্রী: ওগো শুনছ, আমার কিছু জিনিস প্রয়োজন।
স্বামী: কী?
স্ত্রী: ছেলেমেয়ে আর আমার জন্য পাঁচ সেট জামা। বিছানার চাদর, কিছু নতুন চেয়ার, একটা ফ্রিজ, একটা এলসিডি টিভি, 
ছেলের জন্য একটা মোবাইল, মেয়ের জন্য গয়না...
স্বামী: সে ক্ষেত্রে আমারও কিছু জিনিস প্রয়োজন।
স্ত্রী: কী?
স্বামী: একটা বন্দুক, একটা মুখোশ আর শহরের একটা ব্যাংকের পুরো নকশা। 

No comments:

Post a Comment