Thursday, June 13, 2013

আনন্দিতা খান
আনন্দিতা খান
‘নৃত্যই আমার সব। নৃত্যই আমার স্বপ্ন। আমি যখন নৃত্যের জন্য মঞ্চে উঠি, তখন নিজের মধ্যে হারিয়ে যাই। মনপ্রাণ দিয়ে নাচি।’ বলছিল নৃত্যের বন্ধু আনন্দিতা খান।
কিশোর বয়সের গণ্ডি এখনো পার করেনি এই বন্ধু। এর মধ্যেই লোকনৃত্য শেষ করে উচ্চাঙ্গনৃত্যে মনোনিবেশ করেছে। রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে নৃত্য নিয়ে। নৃত্যের মধ্যেই তার পুরো দুনিয়া।
মাঝপথে কয়েকটি টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ও করেছে। তার বাবার (ইসহাক খান) লেখা খোলা দুয়ার নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়জগতে প্রবেশ। নৃত্যের মধ্য দিয়ে মনের ভাবটা যাতে পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, সে কারণেই অভিনয়ে প্রবেশ। দুই বছর অভিনয় করে ফিরে আসে আপন ভুবনে। শুরু করে নৃত্যের চর্চা।
মা শ্যামলী খান। মা-বাবা দুজনই সংস্কৃতি জগতের। তাই ছোটবেলা থেকেই আনন্দিতাকে নাচ শেখাতে কোনো কার্পণ্য করেননি তাঁরা। নাচের হাতেখড়ি সুলতানা হায়দারের কাছে। যুক্ত আছে সুকন্যা নৃত্যাঙ্গন, ভাবনা ও সাধনার মতো নৃত্যশিক্ষাঙ্গনের সঙ্গে।
নৃত্যের মতো অন্য কাজগুলোও ঠিকঠাক পালন করছে সে। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সুযোগ পেলেই ঘুরে বেড়ায় দেশে-বিদেশে। অবসরে বই পড়ে। নৃত্যে উচ্ছ্বসিত আনন্দিতা বাস্তবে খুব চুপচাপ। মুখ দিয়ে কথা বের হতেই চায় না। জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করার পর মঞ্চে দাঁড়িয়ে কিছুই বলা হয়নি তার। ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ বন্ধুসভা আয়োজিত নৃত্য প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিল সে।
আনন্দিতা আমেরিকান নৃত্যশিল্পী মারথ্রা গ্রাহামের মতো হতে চায়, যিনি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নৃত্য করেছেন। আনন্দিতার ইচ্ছা, শেষ মুহূর্তেও নৃত্য করবে। এই বন্ধু বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর তালিকাভুক্ত নৃত্যশিল্পী। আনন্দিতা ঢাকা বন্ধুসভার বন্ধু।

No comments:

Post a Comment