Friday, June 28, 2013

ওষুধ ছাড়া কী করে মাথাব্যথা সারাবেন?

বাঙালির জীবনে মাথাব্যথা প্রবল সমস্যা। ১৫ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে প্রতিদিন ন্যূনতম ১০% লোক মাথাব্যথায় আক্রান্ত হন। অন্যান্য দেশে একই হার। মাথাব্যথা আমাদের জীবনে এত বেশি ‘কমন’ যে এর মধ্যে যারা যারা মাথাব্যথায় ভোগেন তারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হন না। নিজেরাই নিজের চিকিৎসা করেন। প্যারাসিটামলের কথা সবাই জানি। ঙঞঈ  জাতীয় ওষুধের মধ্যে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট, যা পৃথিবীর যে কোনো আনাচে-কানাচে ব্যাপকভাবে বিক্রি হয়। আরেকটি ঙঞঈ যা প্রেসক্রিপশন ছাড়া পাওয়া যায়, এমন ওষুধ ডায়াজিপাম। জন্মকাল থেকে প্রতিটি নারী-পুরুষ সিডাক্সেন ট্যাবলেটের সাথে পরিচিত। যে কোনো বাড়িতে ন্যূনতম ২টি ওষুধ যদি থাকে তার একটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও সিডাক্সেন ট্যাবলেট। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যারা এ ওষুধ ব্যবহার করেন তারা মাথাব্যথার জন্যই ব্যবহার করেন। ঘুমের জন্য নয়, মাথাব্যথা কমানোর জন্য।
ডায়াজিপাম ওষুধের ব্যাপারে ১৯৮৯ সালে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের প্রায় ৫ লক্ষ মহিলা, গৃহিণী প্রতিরাতে ঘুমের ওষুধ খান। স্বভাবত আগামীতে এই পরিমাণ আরো বেশিই হবে।
সাধারণভাবে কর্মজীবী গৃহিণী ও পড়ুয়া মেয়েদের মধ্যে এই জাতীয় প্যারাসিটামল, সিডাক্সেন জাতীয় ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা উল্লেখ করা যায়। আমরা এ দেশের জনগণ, হরহামেশা একজনের অসুখের কথা শুনলে চট করে ওষুধের কথা বলি এবং প্রায় প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের কথা বলি। সমকালীন সাহিত্যে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক এই প্যারাসিটামল বা সিডাক্সেন ট্যাবলেট তাদের বইতে প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
ওষুধ ছাড়া কী করে মাথাব্যথা সারাবেন?
 
  • শিথিলায়ন বা দীর্ঘ শ্বাস নেয়ার টেকনিক, সুস্থ শিথিল জিনিস চোখে দৃশ্য হিসেবে আনা, কগনিটিভ থেরাপি, আকুপাংচার, মানসিক চাপ কমানোর বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন ও ম্যাসাজ।
  • বরফ ঢেলা চিকিৎসা। বরফ একটি কাপড়ের পুঁটুলি বানিয়ে মাথায় চাপ দেয়া। মাথাব্যথার যত প্রথম ভাগে এই কাজ করা তত কম মাথাব্যথা হবে। সাধারণত ব্যথার জায়গাগুলোতে চেপে ধরুন। তাছাড়া ঘাড়ের পেছনে, কপালে, চোয়ালে, মাথার দুই পাশে দিতে হবে।
  • গরম ভাব অনেক সময় শিথিলায়ন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের বিভিন্ন অংশ রিলাক্স হয় ও মাথাব্যথা তাতে কমে যায়। অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম নিন। পারলে ১৫-২০ মিনিট সময় ঘুমিয়ে নিন। আপনার মাথাব্যথা কমতে তা সাহায্য করবে।
  • বায়োফিডব্যাক চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
  • আকুপাংচার প্রক্রিয়ায় ব্যথার বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বাড়াতে সাহায্য করবে।
  • কগনিটিভ থেরাপির মাধ্যমে ব্যথার বিরুদ্ধে মনের শক্তি বাড়ানো যায়।

No comments:

Post a Comment