Saturday, June 15, 2013

দর্জির মৃত্যু
মামুলি একটা মৃত্যু নিয়ে এত হইচই করবার কী আছে! 
ভেবে দ্যাখো, তোমার মৃত্যু-যে উল্লেখযোগ্যতা পেয়েছে—
সেটা কি কম কথা!
আমরা তো স্বীকার করছিই—
তুমি রাতের পর রাত জেগে
আমাদের জন্য কাপড় কেটেছ, নিখুঁতভাবে জোড়া দিয়েছ
বানিয়ে দিয়েছ সেলাই করা এক একটা গুহা।

জলপাই পত্রপল্লবের অন্তরালে আশ্রয় খুঁজেছিল আমাদের আদিম নগ্নতা
আমরা আমাদের গোপনীয় নির্লজ্জতা আর পশুত্ব নিয়ে অনায়াসে 
ঢুকে পড়তে পেরেছি তোমার বানিয়ে দেওয়া এক-একটা দ্বৈত গুহায়।

আমাদের বন্যতা তোমার বদান্যতার কথা কখনো ভোলেনি,
তাই, ঋণ-পরিশোধের যথাসাধ্য চেষ্টাও করেছি।
তুমি রাত্রি জেগে কাপড় কেটেছ,
আমরা দিনের আলোতে কেটেছি প্রাকৃতিক আবরণ।
তুমি সেলাই করেছিলে আমাদের জামা,
আমরাও তোমার সেলাইয়ের যথাযথ ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
শুধু, হাতে সময় ছিল না বলে
তোমার শেষ পোশাকটুকু সেলাই করে দিতে পারিনি, এই যা

পিঁপড়ে সেলাই
এত দিন চোখেই পড়েনি।—যখন দেখা গেল: সারিবদ্ধ পিঁপড়েগুলো লাল একটা সুতো দিয়ে সেলাইকাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তখন বোঝা গেল: বেদনার চেয়েও সূক্ষ্ম একটা ফাটল ছিল দেয়ালে। সুচের ছিদ্রপথে সবেমাত্র পিঁপড়ে ঢুকেছে। এইসব লাল পিঁপড়ে সেলাই করতে করতে হয়তো একদিন রাজার বাড়ির দিকে যাবে, যেখানে রয়েছে আরও বিপজ্জনক ফাটল।

No comments:

Post a Comment