বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। যার নামের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রহস্য। যে রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে বছরের পর বছর তৈরি হয়েছে নতুন রহস্যের। কিন্তু রহস্য থেকে গেছে রহস্যই। রহস্য থেকে জন্ম নিয়েছে নতুন রূপকথা। যে রূপকথার শুরুটা রোমাঞ্চকর, শেষটা করুণ। এ রূপকথার মধ্যে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি, রয়েছে মানুষের অলীক বিশ্বাস।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি অঞ্চলের নাম। জাহাজ এবং বিমান চলাচলের একটি রুট এটি। কিন্তু ভয়ানক কথা এই যে, বিমান কিংবা নৌযানগুলো এ অঞ্চল দিয়ে চলাচলের সময় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়, কিংবা বলা যায় হয়েছে। যে যানগুলো নিখোঁজ হয়েছে, অনেক চেষ্টার পরেও সেসব নৌজাহাজ বা বিমানের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। উপরন্তু যেসব বিমান ও জলযান তাদের খোঁজে বের হয়েছে, তাদের অধিকাংশই আর ফেরেনি। কিন্তু কেন? কী আছে সেখানে? কেনই বা একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে এ স্থানে? সেগুলো কি আদৌ কেনো দুর্ঘটনা, নাকি অন্য কিছু? বন্ধুরা, চলো আজ এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের অপর নাম ডেভিলস ট্রায়াঙ্গল। বাংলায় যাকে বলা হয় শয়তানের ত্রিকোণ। বিশ্বের মানচিত্রে এর অবস্থানটি লক্ষ্য করলে দেখবে এর উত্তর কোণে বারমুডা, দক্ষিণ কোণে পুয়ের্তো রিকোর সান জুয়ান এবং পশ্চিম কোণে ফ্লোরিডার মিয়ামির অবস্থান। এ তিনটি স্থানের মধ্যবর্তী অংশকে বলা হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। আর এ অঞ্চলেই সংঘটিত হয়েছে অস্বাভাবিক বেশকিছু ঘটনা। কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যাক। ৪ মার্চ, ১৯১৮। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার জি. ডব্লিউ. ওউরলের নেতৃত্বে ৩০৯ জন নাবিকসহ ইউএসএস সাইক্লোপস নামক যুদ্ধ জাহাজ বারবাডোজ দ্বীপ থেকে যাত্রা করে। কিন্তু বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে প্রবেশের কিছু সময় পর থেকে এ পর্যন্ত সে জাহাজ বা তার একজন নাবিকেরও আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সাইক্লোপসের মতো আরো দুটি মার্কিন জাহাজ নিখোঁজ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ১৯১৯ সালে ক্যারোল এ. ডিএরিং নামের পাঁচ মাস্তুলের পালের জাহাজটি একটি বালুচরে আটকে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়, কিন্তু পাওয়া যায়নি তার একজন যাত্রীকেও। ১৯৪৫ সালের পাঁচ ডিসেম্বর ফ্লাইট-১৯ নামক একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান নিখোঁজ হয় এ অঞ্চলেই। বিমানটির খোঁজে বের হয় অন্য একটি উড়োজাহাজ। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সেটিও আর ফিরে আসেনি। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি আজোর থেকে বারমুডা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় ব্রিটিশ সাউথ এয়াওয়েজের যাত্রীবাহী বিমান জি-এএইচএন পি স্টার টাইগার। পরের বছর একই মাসে বারমুডা থেকে কিংস্টোন যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় একই কোম্পানির আরেকটি যাত্রীবাহী বিমান স্টার এরিয়েল। ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে পুয়ের্তো রিকো থেকে মিয়ামি যাওয়ার পথে ৩২ জন যাত্রীসহ নিখোঁজ হয় ডগলাস ডিসি-৩ নামক বিমান। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে কী এমন আছে, যা এতগুলো দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে? কথিত আছে, এ মহাসাগরের তলদেশে ডুবে আছে আরেকটি মহাদেশ। আর সে মহাদেশেরই কোনো বিশেষ শক্তি গ্রাস করছে এ জাহাজ ও বিমানগুলোকে। অন্য একটি মতে, এ অঞ্চলে একটি বিশেষ চৌম্বকীয় শক্তির প্রভাব রয়েছে, যা দিক নির্ণায়ক যন্ত্রে ত্রুটির সৃষ্টি করে নাবিককে বিভ্রান্ত করতে পারে। তবে বিশেজ্ঞরা বলছেন, কোনো অলৌকিক শক্তির প্রভাবে নয়, বেশ কিছু কারণেই এ সব দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তারা কারণ হিসেবে বলেছেন, উত্তর আটলান্টিকের একটি প্রচণ্ড শক্তিশালী স্রোতের নাম গল্ফ স্রোত। এর গতি প্রতি সেকেন্ডে ২.৫ মিটার। যান্ত্রিক ত্রুটি বা অন্য কোনো প্রয়োজনে বিমানকে ওয়াটার ল্যান্ডিং (জরুরি প্রয়োজনে উড়োজাহাজকে কোনো জলরাশির ওপর অবতরণ করানো) করালে এ তীব্র স্রোতের আঘাতে বিমানটি প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একইভাবে স্রোতের সঙ্গে থাকা ভাসমান বস্তুর আঘাতেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিমানটি। দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে এ অঞ্চলে সৃষ্ট প্রচণ্ড শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ এতো দ্রুত বেড়ে যায় যে, কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ারও সুযোগ থাকে না। ১৯৮৬ সালে এমন একটি দুর্ঘটনায় ডুবে গিয়েছিলো প্রাইড অব বাল্টিমোর নামক নৌজাহাজ। বেঁচে যাওয়া একজন নাবিকের মতে, বাতাস হঠাৎ করে ঘন্টায় ২০ মাইল থেকে প্রায় ৯০ মাইলে উন্নীত হয়, যা সামলানো জাহাজটির পক্ষে একেবারেই অসম্ভব ছিল। এমন বৈজ্ঞানিক বা কাল্পনিক বিশ্বাস কোনোটিই পৌঁছাতে পারেনি রহস্যের শেষ সীমান্তে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল বিশ্বের কাছে এমনই এক রহস্য, যার কোনো শেষ নেই। |
Monday, August 19, 2013
রহস্যময় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল
জলের নিচে জাদুঘর
জলের নিচে জাদুঘর! | |
জলের নিচে অনেক মানুষ। একেকজন রয়েছেন একেক ভঙ্গিতে। কেউ দলবেঁধে দাঁড়িয়ে, কেউ আনমনে চেয়ারে বসে, কেউ প্রতিবাদী হাত তুলে আবার কেউ বা নিরব চোখে চেয়ে। রঙিন মাছগুলোর সঙ্গে তাদের বেশ সখ্যতা। মানুষগুলোর পুরো শরীর ঘিরে ঘুরছে তারা। কখনো আবার চোখে মুখে আদরও দিচ্ছে। কিন্তু মানুষগুলো কি নিষ্ঠুর! কোনো ভাবলেশ নেই। স্ট্যাচু হয়ে আছে!
ভাবছো কেন? স্ট্যাচু হবেই বা না কেন! এসব মানুষের যে প্রাণ নেই! তবু জলের নিচে মিলেমিশে রয়েছেন তারা। আলাদা এক জগতের বাসিন্দা। আছেন ভালোই। কোনো রূপকথা বা স্বপ্নলোকের গল্প বলছি না কিন্তু! এমন ঘটনার সত্যি দেখা পাওয়া যাবে ম্যাক্সিকোতে। স্বপ্নলোকের গল্প মনে হলেও এটা কিন্তু সত্যি। ক্যারিবিয়ান সমুদ্রসৈকতের কাছে সাগরের অতলে বিশেষ একটি জায়গায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মাছদের সাঁতার কাটতে দেখা যায়। আর এখানেই নির্মিত হয়েছে অভিনব এক জাদুঘর। বর্তমানে এ জাদুঘরে আছে ৪০০টি ভাস্কর্য। এর প্রতিটিই বিভিন্ন মানুষের প্রতিমূর্তি। দেখে মনে হয়, এ যেন জলের নিচে জীবনেরই বাস্তব প্রতিচ্ছবি। হাতে হাত ধরে গোলাকার হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একদল নারী কিংবা চেয়ারে বসে টেবিলে রাখা টাইপ মেশিনে কেউ মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন আপন মনে। এক বৃদ্ধ মুখে হাই তুলে দাঁড়িয়ে আছেন। আবার একটি শিশু মাথা তুলে তাকিয়ে আছে সূর্যের দিকে। কেউ আবার এরই মধ্যে রয়েছেন সাইকেল রেসে। চলছে গাড়িও। বিমর্ষ কোনো তরুণী অানমনে শুয়ে আছে তার আপন ভুবনে। মূর্তিগুলো মাছদের দারুণভাবে আকর্ষণ করছে। আসলে মাছগুলোর বুঝে ওঠার উপায় নেই এরা আদৌ জীবন্ত মানুষ কিনা। আর তাই মাঝে মধ্যে এসব মূর্তি বা ভাস্কর্যে মাছগুলো এসে ঠোকর মারছে সত্যিকারের মানুষ ভেবে। সাগরের নিচেও যে সংস্কৃতিমনা প্রাণী আছে, এটা এখন পরীক্ষিত তা বেশ জোর দিয়েই বলা যায়! কি বন্ধুরা! তাই না! ম্যাক্সিকোর ‘কানকুন মেরিন পার্ক’ কর্তৃপক্ষের ইচ্ছায় জাদুঘরটি নির্মিত হয়। ব্রিটিশ শিল্পী জেসন ডেক্লেয়ার্স টেইলর এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কারণ, তার সমুদ্রের নিচে ভাস্কর্য প্রতিস্থাপন করার অভিজ্ঞতা ছিল। সাগরের পানির নিচে তাই শিল্পী জেসনের ভাস্কর্যকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বেশি। শিল্পী জেসন পানির নিচের এ ভাস্কর্যগুলোর নাম দিয়েছেন ‘দ্য সাইলেন্ট ইভ্যালিউশন’। আভিধানিক অর্থে যার মানে দাঁড়ায় `নীরব বিবর্তন`। জাদুঘরটি পানির ৩০ ফুট নিচে অবস্থিত। ব্যতিক্রমধর্মী এ জাদুঘরে ৪০০ মানব ভাস্কর্য তৈরি করেছেন ব্রিটিশ ভাস্কর জেসন টেইলর নিজেই। এই আর্ট মিউজিয়াম পানির নিচে তৈরি করা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাদুঘর। কৃত্রিম মানবজগতের এ জাদুঘরটি স্থায়ীভাবেই এখানে থাকবে। সামুদ্রিক কোরাল ও শৈবালের প্রতি সচেতনতা বাড়াতে ভাস্কর্যগুলোতে কৃত্রিম কোরাল ও শৈবাল ব্যবহার করা হয়েছে। ভাস্কর্যগুলো নির্মিত হয়েছে এক বিশেষ ধরনের সামুদ্রিক সিমেন্ট দিয়ে, যা প্রবাল জন্মাতে সাহায্য করে। ফলে এখানে মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থল গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে এখানে হাজারো ধরনের মাছ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিত্রশিল্পী টেইলর। এর মধ্যে আছে অ্যাঞ্জেল ফিশ, লবস্টার ও প্রচুর শৈবাল রয়েছে এই তালিকায়। এই উদ্যানের একটি ভস্কর্যে দেওয়া আছে নকল ফুসফুস। এখানকার বুদ্বুদ বা নিজেদের বয়ে নিয়ে যাওয়া ট্যাংক থেকে অক্সিজেন নিতে পারেন ডুবুরিরা। মেক্সিকোর ওই সমুদ্র সৈকত এমনিতেই পর্যটকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। তার ওপর ২০১০ সালের শেষের দিকে এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটা পরিদর্শনে প্রতিবছর কয়েক লাখ পর্যটক আসেন। স্কুবা ডাইভিংয়ের মাধ্যমে পরিদর্শন করতে হয়। এছাড়া যারা স্কুবা ডাইভ পারেন না তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে তা পরিদর্শন করতে পারেন। সমুদ্রের প্রবল ঢেউ বা ঝড় জলোচ্ছ্বাসে ভাস্কর্যগুলো উপড়ে যাবে না বা কোনো ক্ষতি হবে না। এর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাদুঘরে থাকা প্রত্যেকের দাঁড়িয়ে থাকার মধ্যে নিজস্ব অভিব্যক্তি আর ব্যস্ততা ফুটে উঠেছে। হঠাৎ দেখলে মনে হবে এক বিশাল কর্মব্যবস্ত মানবজগৎ যেন জীবন্ত হয়ে আছে জলের তলায়। ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা হয়েছে ডাঙাতেই। এগুলো তৈরিতে শিল্পী ব্যবহার করেছেন ১২০ টন সিমেন্ট, বালি ও নুড়ি পাথর, ৩ হাজার ৮০০ মিটার ফাইবার গ্লাস, ৪০০ কেজি সিলিকন ও ৮ হাজার মাইল লম্বা লাল ফিতা। এছাড়া ৩০ ফুট পানির নিচে সেগুলো স্থাপনের কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে ১২০ ঘণ্টা। আর পুরো ব্যাপারটিতে খরচ হয়েছে আড়াই লাখ ডলার। মজার ব্যাপার হলো- ভাস্কর্যগুলো স্থাপনের কাজ করতে গিয়ে শিল্পী ও তার সহযোগীদের ২৫ হাজারবার পিঁপড়া আর মশার কামড় খেতে হয়েছে। এছাড়া সামুদ্রিক মাছের কামড় খেতে হয়েছে ২০ বার। ভাস্কর টেইলর তার অবশ্য সব খরচ আর পরিশ্রমের সঙ্গে মজা করে এই বিষয়টিও যোগ করেছেন। এই ভাস্কর্যগুলোতে এমন সব উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে যে দীর্ঘদিন পানিতে থাকলেও কোনও সমস্যা হবে না। আর পর্যটকদের জন্য এগুলো স্থায়ীভাবে পানিতেই থাকবে। সাইলেন্স ইভল্যুশনের ভাস্কর্যগুলোর সৌন্দর্য কাচের তলাযুক্ত নৌকায় করেও পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়াও মূর্তিগুলোর ওপর তারা হরেক প্রজাতির মাছ দেখারও সুযোগ পাবেন। বিপদ দেখলে এসব মাছ ভাস্কর্যগুলোর ভেতরে লুকিয়ে পড়ে। সাগরতলের এ জাদুঘর নির্মাতার ইচ্ছা, অর্থসংস্থান করতে পারলে এখানে আরও ভাস্কর্য যোগ করা হবে। তবে এখনও এই ভাস্কর্যগুলোর নির্মাণ শেষ হয়নি। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রকৃতির হাত পড়ার পর এর আসল সৌন্দর্য ফুটে উঠবে বলে জানিয়েছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। তবে আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, ভাস্কর্যগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি এখানকার আবহাওয়া। এ অঞ্চলে প্রায়ই হারিকেনের মতো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দেয়। তবে কর্তৃপক্ষ আশা করছে, ভাস্কর্যগুলো প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবেলা করে টিকে থাকতে পারবে। তবে ডুবুরি বা ডাইভারদের জন্য কোনো রকম নিষেধাজ্ঞা নেই। ইচ্ছে করলেই এখানে অবাধে সাঁতার কাটতে পারেন তারা। সাঁতারের সঙ্গে সঙ্গে দেখে নেওয়া যাবে নয়নাভিরাম ভাস্কর্যশিল্প। |
Saturday, July 27, 2013
কেনাকাটা রঙ্গ
ঘড়ির দোকান থেকে একটা দামি ঘড়ি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল রুস্তম। বেদম প্রহারের একপর্যায়ে সে দোকানের
মালিককে বলল, ‘ভাই, আমি ঘড়িটা কিনে নিই। ঝামেলা আপনার আর আমার মধ্যে মিটে যাক।’
দোকানদার ভাবলেন, প্রস্তাবটা খারাপ না। উপস্থিত জনতা রুস্তমকে ছেড়ে দিল। চোরকে সঙ্গে নিয়ে দোকানে ঢুকলেন
দোকানদার। ‘ক্যাশ মেমো’ লিখতে ব্যস্ত হলেন তিনি।
গা ঝাড়া দিয়ে বেশ ভাবের সঙ্গে বলল এবার রুস্তম, ‘ইয়ে মানে, কিছু মনে করবেন না দাদা। আমি যা খরচ করতে
চেয়েছিলাম, এই ঘড়ির দামটা তার চেয়ে একটু বেশি। আমাকে বরং কম দামি একটা ঘড়ি দেখান।’
কদিন পর ঈদ। কাপড় ব্যবসায়ী তাহের মিয়া পড়েছেন বিপাকে। কথা নেই বার্তা নেই, ঈদের আগে তাঁর দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী
দাঁড়িয়ে গেছে। তাহের মিয়ার দোকানটা নিচতলায়। দোতলায় একটা নতুন কাপড়ের দোকান বড় করে সাইনবোর্ড
ঝুলিয়েছে, ‘সকল জামার মূল্যে ৩০% ছাড়!’ তিনতলায় আরও একটা নতুন দোকান সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে, ‘সকল
জামা-কাপড় সর্বনিম্ন দামে।’
ভেবেচিন্তে তাহের মিয়াও একটা সাইনবোর্ড লিখে দরজার সামনে লাগিয়ে দিলেন। তাতে লেখা, ‘দরজা এই দিকে!’
ছোট্ট খোকা এক সকালে দোকানের একটা সাইকেল দেখিয়ে বলল, ‘আঙ্কেল, আপনাদের এই সাইকেলটা কি রাত পর্যন্ত
থাকবে?’
দোকানদার: নিশ্চয়ই। কিন্তু কেন?
খোকা: কারণ, আমি এখন বাড়ি গিয়ে সাইকেলটা কেনার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করব। দুপুর নাগাদ বিরক্ত হয়ে মা আমাকে
মারবেন। সন্ধ্যা অবধি আমার কান্না থামবে না। বাধ্য হয়ে রাতে বাবা আমাকে সাইকেলটা কিনে দেবেন।
মালিককে বলল, ‘ভাই, আমি ঘড়িটা কিনে নিই। ঝামেলা আপনার আর আমার মধ্যে মিটে যাক।’
দোকানদার ভাবলেন, প্রস্তাবটা খারাপ না। উপস্থিত জনতা রুস্তমকে ছেড়ে দিল। চোরকে সঙ্গে নিয়ে দোকানে ঢুকলেন
দোকানদার। ‘ক্যাশ মেমো’ লিখতে ব্যস্ত হলেন তিনি।
গা ঝাড়া দিয়ে বেশ ভাবের সঙ্গে বলল এবার রুস্তম, ‘ইয়ে মানে, কিছু মনে করবেন না দাদা। আমি যা খরচ করতে
চেয়েছিলাম, এই ঘড়ির দামটা তার চেয়ে একটু বেশি। আমাকে বরং কম দামি একটা ঘড়ি দেখান।’
কদিন পর ঈদ। কাপড় ব্যবসায়ী তাহের মিয়া পড়েছেন বিপাকে। কথা নেই বার্তা নেই, ঈদের আগে তাঁর দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী
দাঁড়িয়ে গেছে। তাহের মিয়ার দোকানটা নিচতলায়। দোতলায় একটা নতুন কাপড়ের দোকান বড় করে সাইনবোর্ড
ঝুলিয়েছে, ‘সকল জামার মূল্যে ৩০% ছাড়!’ তিনতলায় আরও একটা নতুন দোকান সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে, ‘সকল
জামা-কাপড় সর্বনিম্ন দামে।’
ভেবেচিন্তে তাহের মিয়াও একটা সাইনবোর্ড লিখে দরজার সামনে লাগিয়ে দিলেন। তাতে লেখা, ‘দরজা এই দিকে!’
ছোট্ট খোকা এক সকালে দোকানের একটা সাইকেল দেখিয়ে বলল, ‘আঙ্কেল, আপনাদের এই সাইকেলটা কি রাত পর্যন্ত
থাকবে?’
দোকানদার: নিশ্চয়ই। কিন্তু কেন?
খোকা: কারণ, আমি এখন বাড়ি গিয়ে সাইকেলটা কেনার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করব। দুপুর নাগাদ বিরক্ত হয়ে মা আমাকে
মারবেন। সন্ধ্যা অবধি আমার কান্না থামবে না। বাধ্য হয়ে রাতে বাবা আমাকে সাইকেলটা কিনে দেবেন।
বিচারক: আপনার অপরাধ?
অভিযুক্ত ব্যক্তি: আমি আমার ঈদের কেনাকাটা একটু আগেভাগে সেরে ফেলতে চেয়েছিলাম।
বিচারক: কতখানি আগে?
অভিযুক্ত ব্যক্তি: দোকান খোলার আগে।
স্ত্রী: ওগো শুনছ, আমার কিছু জিনিস প্রয়োজন।
স্বামী: কী?
স্ত্রী: ছেলেমেয়ে আর আমার জন্য পাঁচ সেট জামা। বিছানার চাদর, কিছু নতুন চেয়ার, একটা ফ্রিজ, একটা এলসিডি টিভি,
ছেলের জন্য একটা মোবাইল, মেয়ের জন্য গয়না...
স্বামী: সে ক্ষেত্রে আমারও কিছু জিনিস প্রয়োজন।
স্ত্রী: কী?
স্বামী: একটা বন্দুক, একটা মুখোশ আর শহরের একটা ব্যাংকের পুরো নকশা।
স্বপ্নের ওড়াউড়ি
আদরে আদরে ঐশ্বর্যে গরিমায় সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম যার। বড় হয়ে উঠতে উঠতে পুতুলটি নিজেকে শূন্য ভাবা শুরু করল, কী যেন নেই, কী যেন নেই। হাজারো শখের খেলনা, সাজের আয়না, বান্ধবীদের খুনসুটি, ঘোরাঘুরি— সবকিছু ফিকে মনে হতে লাগল। নিজেকে কারও কাছে হারানোর তীব্র আকুতিতে পার হতে লাগল প্রতিটি দিন। ঠিক সে সময়ই ইয়াহু চ্যাটের দরজায় কড়া নাড়ল একটি ছেলে। মায়াভরা দুই চোখ। দুজনার কথায় উড়তে লাগল সব রং-বেরঙের স্বপ্ন। সপ্তাহান্তের রাতে ঢাকা থেকে কয়েক শ কিলোমিটারও তখন কিছু নয়, স্পর্শগুলো তখন নিজেকে বেঁচে থাকার প্রেরণা দেয়, আকাশের নীলগুলো মুঠোয় পুরে ফেলতে ইচ্ছা করে...।
এরপর হঠাৎই মা-বাবা মেয়েটির কাছে আনে এক রাজপুত্রকে, সুদর্শন সেই যুবক করপোরেট চাকরি নামক কঠিন এক চাবি হাতে ঠায় দাঁড়িয়ে। মেয়েটি ছেলেটির স্বপ্নগুলো হারাতে লাগল। বুঝতেও পারল না, ধীরে ধীরে সে হীরা নয় কাচ বেছে নিতে যাচ্ছে। অর্থনীতি আর সাদা চামড়া তার চোখে পরাল রঙিন চশমা। বান্ধবীদের সায় তাকে দিল প্রেমিককে ভুলে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। বন্ধ হলো স্বপ্ন ও প্রজাপতির ওড়াউড়ি।
বেশ কিছুদিন পর ছেলেটির পড়াশোনা শেষ করতে পারার আগেই মেয়েটি মালা দিল মা-বাবার নির্দিষ্ট করা করপোরেট রাজপুত্রের গলায়। কিন্তু শেষমেশ প্রতিষ্ঠা আর সুন্দর চেহারা মেয়েটির প্রেমিকের ভালোবাসার কাছে পরাজিত হলো। কিছু ভুল থেকে আর ফেরা যায় না। ছেলেটি বিস্ময় নিয়ে নতুন করে ফিরে পাওয়ার আকুতিতে আবারও উদ্বেল। কিন্তু নাহ্, আর না। অনেক দিন পরের গল্প...পুতুলটি তার স্বামীর কাছে নারী হয়ে, শাড়ি গয়নায় মুড়িয়ে মুগ্ধ হতে হতে দিন পার করছে ড্রেসিং টেবিলের সামনে। ছেলেটি মেঘের কাছে মন বিক্রি করে পথ চলতে থাকে, অজানা অপেক্ষায়...।
বসার ঘরে স্নিগ্ধতা
দরজা খুলেই তো অতিথিদের নিয়ে যেতে হবে বসার ঘরে। নিজেও বাড়িতে ঢুকেই হয়তো দুদণ্ড জিরিয়ে নেন এ ঘরের সোফাতেই। পর্দা, আসবাব, দেয়ালের রং, নানা রকম শোপিস—সব মিলেই কিন্তু সেজে উঠবে এই ঘরটি। এসবের সামঞ্জস্যে নিজের রুচি অনুযায়ী সাজিয়ে তুলুন এই ঘরটি। তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গুলশান নাসরীন চৌধুরী।‘বসার ঘরের সজ্জার বড় একটা অংশ জুড়ে থাকে আসবাব। সময় এবং ব্যবহারকারীদের রুচি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে আসবাবের ধরন। বাহারি নকশা, ব্যবহারে আরামদায়ক এমন নিত্যনতুন আসবাবই আজকাল সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য।’ বলেন গুলশান নাসরীন চৌধুরী। বসার ঘরে বসার জায়গাটার কথাই আগে মাথায় আসে। আজকাল নিচু ধাঁচের সোফার কদর বেশি। এতে ব্যবহূত হচ্ছে নানা আকারের বাহারি কুশন। অনেকেই বসার ঘরের দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে সোফার কুশন ব্যবহার করে থাকেন। আবার ম্যাট্রেস দিয়েও বসার ব্যবস্থা করা যায়।আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে চা-কফি তো থাকবেই। নানা ধরনের কফি টেবিল বা টি-টেবিল থাকতে পারে সোফার পাশেই। উডকিউব কিংবা উডব্লক সাইডটেবিলের মতো আসবাবগুলো ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকায় বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
আধুনিক বসার ঘরের অন্দরসজ্জায় দেয়াল ঘেঁসে বড় আকারের ওয়াল ইউনিট, মিডিয়া স্টোরেজ কিংবা মিডিয়া কেবিনেট ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। টেলিভিশন, আপনজনের সঙ্গে তোলা ছবির বাঁধানো ফ্রেম, পছন্দের কিছু বই, সিডি কিংবা নানা রকম শোপিসের সংগ্রহ—এসবই একবারে সাজিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ওয়াল ইউনিট, মিডিয়াস্টোরেজ কিংবা মিডিয়া কেবিনেটের জুড়ি মেলা ভার। ঘরের কোণগুলোও সাজিয়ে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন কর্নার কেবিনেট।
বসার ঘরের আকার ছোট হলে দেয়ালে হালকা রং কিংবা মাঝারি আকার হলে একটু গাঢ় রং ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেকেই আবার পুরো ঘরে একটি রং ব্যবহার না করে দেয়ালে নানারকম টেক্সচার ব্যবহার করছেন। এতে অন্দরসজ্জায় একটু ভিন্নতা চলে আসে।
বসার ঘরের অন্দরসজ্জায় কার্পেট এবং কার্টেন (পর্দা) খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান। অনেকেই আসবাব এবং দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলে পর্দা ও কার্পেট ব্যবহার করেন। ফলে পুরো বসার ঘরটিতেই চলে আসে সামঞ্জস্যের আবহ। আবার দেখা যায় বৈপরীত্য তুলে ধরতে পর্দা এবং কার্পেটের রং হয়ে যায় দেয়াল কিংবা আসবাবের রঙের ঠিক বিপরীত।
বসার ঘরে সজ্জায় আলোর ব্যবহারে যত্ন নিন। নানা রকম ল্যাম্পশেড, ঝাড়বাতির ব্যবহার ঘরের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে দেবে অনায়াসে। তবে অন্য সব আসবাবের সঙ্গে আলোর ব্যবহারে যেন সামঞ্জস্য থাকে। ডিফিউজ লাইটিং আজকাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ ধরনের আলোকসজ্জা স্নিগ্ধ, নরম ধাঁচের হয়। ফলে ঘরে ঢুকে বেশ প্রশান্তি অনুভব হয়।
Monday, July 22, 2013
নতুন গবেষণা : হাসি-খুশি থাকতে চাইলে শাকসবজি আর ফল খান
মন মেজাজ ভালো নেই? তাহলে বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল খেয়ে দেখুন। দিব্যি মেজাজ ফুরফুরে হাসিখুশি হয়ে উঠবে!
হ্যাঁ শাকসবজি খেলে মেজাজ ভালো থাকে। শুধু তাই না, দৈনন্দিন কাজ-কর্মে বেশি শক্তি পাওয়া যায়, চিত্তে সুখ থাকে। আর এ কথাটি উঠে এসেছে নিউজিল্যান্ডের ওটাগো (Otago) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায়।
প্রতিদিন আমাদের মন মেজাজ ভালো থাকার সঙ্গে খাবার-দাবারের সম্পর্ক নিয়ে এ গবেষণা চালান মনোবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ড. তামলিন কোনার ও বোন্নি হোয়াইট, ওটাগো'র মানব পুষ্টি বিভাগের ড. ক্যারোলিন হোরওয়াথ। তাদের এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ জার্নাল অব হেলথ সাইকোলজিতে।
এ গবেষণা চালানো হয় ২৮১ জন তরুণের ওপর যাদের গড় বয়স ছিল ২০। ইন্টারনেটের মাধ্যমে টানা ২১ দিন গবেষণা চলেছে। গবেষণায় যুক্ত হওয়ার আগে প্রতি অংশগ্রহণকারীকে বয়স, লিঙ্গ, ওজন, উচ্চতা এবং বংশ সংক্রান্ত তথ্যসহ আরো নানা তথ্য বিস্তারিতভাবে দিতে হয়েছে। তবে যাদের মধ্যে খাদ্য গ্রহণ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা ছিল তাদেরকে এ দল থেকে আগেই বাদ দেয়া হয়েছে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী এ সব তরুণকে টানা ২১ দিন ধরে প্রতি সন্ধ্যায় নিজেদের সম্পর্কে তথ্য জানাতে হতো। তাদের মন মেজাজ কেমন তা জানানোর পাশাপাশি শুকনো ফলমূল বা ফলের রস বাদে কয়েকদফা ফলমূল খেয়েছে তা জানাতে হতো। একই সঙ্গে শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণও জানাতে হতো তাদের। তবে, ফলের মতো শাকসবজির রস কতটা খেয়েছে তা এ হিসাবের মধ্যে ধরা হতো না।
এ ছাড়া, অস্বাস্থ্যকর হিসেবে পরিচিত কেক, বিস্কুট, আলুর চিপস প্রভৃতি কি পরিমাণে খেয়েছে তাও জানাতে হতো।
এ সব হিসাবের ভিত্তিতে ড. কোনার বলেন, তরুণরা যেদিন বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খেয়েছে সেদিন তারা খোশ মেজাজে ছিল এবং তাদের মনে সুখ ছিল। এ ছাড়া, তারা কাজে-কর্মে বেশি উতসাহ ও শক্তি পেয়েছে বলে দেখা গেছে।
এবার অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন ফলমূল খেলে ভালো লাগে নাকি মন মেজাজ ভালো থাকলেই কেবল ফলমূল খাওয়া যায়? ড. কোনার ও তার গবেষক দল এ প্রশ্নেরও জবাব খুঁজেছেন।
তারা দেখতে পেয়েছেন, শাকসবজি, ফলমূল খাওয়ার পরের দিন মেজাজ ভালো থাকে। অর্থাত স্বাস্থ্যকর খাবার মনকেও আনন্দ দেয় এবং মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। গবেষকরা আরো দেখতে পেয়েছেন দৈহিক ওজনের সঙ্গে মন ভালো থাকার কোনো সম্পর্ক নেই।
কতটা ফলমূল, শাকসবজি খেলে সুফল পাওয়া যাবে তাও খতিয়ে দেখেছে গবেষক দলটি। তাদের হিসাব মতে- আধা কাপ করে দৈনিক গড়ে সাত থেকে আটবার ফলমূল, শাকসবজি খেলে মেজাজ ভালো থাকবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার কেবল দেহ নয় মনও ভালো রাখে। এ কথাই প্রমাণ পাওয়া গেছে নতুন এ গবেষণায়। তবে, এ ক্ষেত্রে আরো গবেষণা করার কথা জোর দিয়ে বলেছে দলটি।
Wednesday, July 17, 2013
একটা লোক আছে শীতঅলা আর একটা লোক আছে বৃষ্টিঅলা। শীত নিয়ে আসে শীতঅলা লোকটা আর বৃষ্টি নিয়ে আসে বৃষ্টিঅলা লোকটা। কোথায় নিয়ে আসে?
কোথায় আবার? পৃথিবীতে।
না হলে কি বৃষ্টি হতো এত? না এত শীত পড়ত কখনো?
কথা হলো কি, অনেক দিন আগে, অনেক অনেক অনেক দিন আগে, একটা নিয়ম ছিল এ রকম, শীতঅলা লোকটা যখন পৃথিবীতে আসবে, বৃষ্টিঅলা লোকটা তখন আসবে না। আর বৃষ্টিঅলা লোকটা যখন পৃথিবীতে আসবে, শীতঅলা লোকটা তখন আসবে না। দুই লোকই নিয়মটা মানত। এ জন্য অনেক দিন পৃথিবীতে শীতকালে শুধু শীতই পড়ত, আর বৃষ্টির সময় হলে বৃষ্টি।
নিয়ম নিয়মের মতো চলছিল। গন্ডগোল কিছু কখনো হয়নি। কিন্তু যা কখনো হয়নি, তা কখনো হবে না, তা তো নয়। হলো একবার। কয়েক মাস ধরে জমানো ঠান্ডা আলখাল্লার পকেটে নিয়ে তখন পৃথিবীতে এসেছে শীতঅলা লোকটা। এ সময় বৃষ্টিঅলা লোকটার আসার কথা নয়। তা-ও তাকে হঠাৎ দেখা গেল একদিন, আনমনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওদিকে। হয়েছে কী, লোকটা তো কবি কবি একটু, বৃষ্টিঅলা লোকটা, তার একদম মনেই নেই যে এ সময় পৃথিবীতে তার আসার কথা নয়। ভুল হয়ে গেছে। কিন্তু ভুল হোক আর শুদ্ধ, শীতঅলা লোকটা কেন এটা মানবে? বৃষ্টিঅলা লোকটাকে দেখেই খেপে গেল সে, ‘অ্যাই, তুই এখন এখানে কেন রে?’
তুই-তোকারি করে বলল! অত্যন্ত অপমানজনক আচরণ। বৃষ্টিঅলা লোকটা প্রথমে থতমত খেয়ে গেল একটু। থতমত খেয়ে তারপর বলল, ‘ভুল হয়ে গেছে রে, ভাই।’
‘ভুল হয়ে গেছে? কেন? কেন? ভুল হয়ে গেছে কেন, শুনি?’ আরও খেপে গেল শীতঅলা লোকটা, ‘ইয়ার্কি, হ্যাঁ? ইয়ার্কি! ইয়ার্কি! তুই আমার সঙ্গে ইয়ার্কি করছিস?’
এ তো মহা রগচটা লোক। বৃষ্টিঅলা লোকটা একটুও না খেপে বলল, ‘বললাম তো ভাই, ভুল হয়ে গেছে। তুমি এ রকম করছ কেন? তুই-তোকারি কেন করছ?’
‘তুই-তোকারি কেন করছি? কেন করছি, হ্যাঁ?’ রগচটা শীতঅলা লোকটা বলল, ‘তবে কী করব? কী করব? বলি তোকে কী বলতে হবে? আপনি বলব? আপনি কেন এখানে এসেছেন, মহাত্মন? বলব?’
‘তা কেন?’ বৃষ্টিঅলা লোকটা বলল, ‘মহাত্মন কেন বলবে, ভাই? কিন্তু এই যে তুই-তোকারি করছ, এটা কি ঠিক? ভদ্রতা সভ্যতা বলেও তো কিছু ব্যাপার আছে, নাকি?’
‘ওরে আমার ভদ্রতা-সভ্যতার বাবা রে!’ খেঁকিয়ে উঠে বলল শীতঅলা লোকটা, ‘ভুল করেছে, করেছে, আবার ভদ্রতা-সভ্যতার ইশকুলও খুলেছে। তোর কাছ থেকে ভদ্রতা-সভ্যতা শিখতে হবে রে আমাকে? অ্যাই! অ্যাই! দেব এক চড়ে দাঁত কটা ফেলে, তখন বুঝবি!’
আর পারা যায়? চড় দিয়ে দাঁত ফেলে দেবে মানে? এত সহজ? রাগ হলো এবার বৃষ্টিঅলা লোকটারও। সে বলল, ‘এসব কী বলছ তুমি? চড় দিয়ে দাঁত ফেলে দেবে মানে?’
‘মানে আবার কী রে, ফাজিল? এই দেখ।’ বলে কী কাণ্ড, সত্যি সত্যি বৃষ্টিঅলা লোকটাকে চড় মেরে বসল শীতঅলা লোকটা।
অনেক সহ্য করেছে এতক্ষণ। আর সহ্য করা যায় নাকি? একেবারে চড় মেরে বসেছে! বৃষ্টিঅলা লোকটা একটু কবি কবি ঠিক, ভালো মানুষ, গায়ে পড়ে কারোর অনিষ্ট করে না, তাই বলে এতটা দুর্বল তো নয় যে কেউ তাকে চড় মেরে বসবে। সেও ফিরিয়ে দিল এক চড়। এই! শুরু হয়ে গেল বেদম মারপিট। মারপিট, কী মারপিট বাবা রে! ধুন্ধুমার কাণ্ড। মারপিটের চোটে শীতঅলা লোকটার আলখাল্লার পকেটের সব ঠান্ডা বের হয়ে পড়ল। বৃষ্টিঅলা লোকটার আলখাল্লার পকেটের সব বৃষ্টি বের হয়ে পড়ল। দুর্গতি কী তখন! একে ঠান্ডা, তাও বৃষ্টি। জেরবার অবস্থা হলো সবার। অবস্থা কাহিল শীতঅলা আর বৃষ্টিঅলা লোকটারও। তাও যদি তারা মারপিট থামায়! কিন্তু এ রকম চললে তো হবে না। সবাই গিয়ে ধরল অনেক অনেক ঝুরিঅলা বুড়ো বটগাছকে, ‘আপনি কিছু করুন। জলদি কিছু একটা করুন।’
বুড়ো বটগাছের কথা শুনবে না, এমন বেয়াদব নয় কেউই। শীতঅলা লোকটাও না, বৃষ্টিঅলা লোকটাও না। পৃথিবীর কেউই না। এ জন্য বুড়ো বটগাছ যখন বললেন, ‘আর কত মারপিট করবে হে? এবার থামো।’ মারপিট বন্ধ করল দুই লোক। ‘ধন্যবাদ’ বললেন বুড়ো বটগাছ আর সালিস ডাকলেন সবাইকে নিয়ে। সালিসে ঠিক করা হলো, ভুল বৃষ্টিঅলা লোকটাই করেছে। কিন্তু তার জন্য তাকে মারতে হবে কেন? এটা খুবই, খুবই-খুবই অন্যায় করেছে শীতঅলা লোকটা। যা হোক, যা ঘটার ঘটে গেছে। এখন আপস করে বন্ধু হয়ে যাক দুই লোক। আর পুরোনো নিয়মটাও বাদ যাক। এখন থেকে শীতঅলা লোকটা যখন পৃথিবীতে আসবে, বৃষ্টিঅলা লোকটাও আসবে কিছুদিনের জন্য। আর বৃষ্টিঅলা লোকটা যখন পৃথিবীতে আসবে, শীতঅলা লোকটাও আসবে কিছুদিনের জন্য। সালিস মেনে নিল দুই লোকই। সেই থেকে এই। মানে শীতকালে এখন বৃষ্টি যে হয়, আর বৃষ্টির সময় যে ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে, সে কি আর এমনি এমনি রে, ভাই?
কোথায় আবার? পৃথিবীতে।
না হলে কি বৃষ্টি হতো এত? না এত শীত পড়ত কখনো?
কথা হলো কি, অনেক দিন আগে, অনেক অনেক অনেক দিন আগে, একটা নিয়ম ছিল এ রকম, শীতঅলা লোকটা যখন পৃথিবীতে আসবে, বৃষ্টিঅলা লোকটা তখন আসবে না। আর বৃষ্টিঅলা লোকটা যখন পৃথিবীতে আসবে, শীতঅলা লোকটা তখন আসবে না। দুই লোকই নিয়মটা মানত। এ জন্য অনেক দিন পৃথিবীতে শীতকালে শুধু শীতই পড়ত, আর বৃষ্টির সময় হলে বৃষ্টি।
নিয়ম নিয়মের মতো চলছিল। গন্ডগোল কিছু কখনো হয়নি। কিন্তু যা কখনো হয়নি, তা কখনো হবে না, তা তো নয়। হলো একবার। কয়েক মাস ধরে জমানো ঠান্ডা আলখাল্লার পকেটে নিয়ে তখন পৃথিবীতে এসেছে শীতঅলা লোকটা। এ সময় বৃষ্টিঅলা লোকটার আসার কথা নয়। তা-ও তাকে হঠাৎ দেখা গেল একদিন, আনমনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওদিকে। হয়েছে কী, লোকটা তো কবি কবি একটু, বৃষ্টিঅলা লোকটা, তার একদম মনেই নেই যে এ সময় পৃথিবীতে তার আসার কথা নয়। ভুল হয়ে গেছে। কিন্তু ভুল হোক আর শুদ্ধ, শীতঅলা লোকটা কেন এটা মানবে? বৃষ্টিঅলা লোকটাকে দেখেই খেপে গেল সে, ‘অ্যাই, তুই এখন এখানে কেন রে?’
তুই-তোকারি করে বলল! অত্যন্ত অপমানজনক আচরণ। বৃষ্টিঅলা লোকটা প্রথমে থতমত খেয়ে গেল একটু। থতমত খেয়ে তারপর বলল, ‘ভুল হয়ে গেছে রে, ভাই।’
‘ভুল হয়ে গেছে? কেন? কেন? ভুল হয়ে গেছে কেন, শুনি?’ আরও খেপে গেল শীতঅলা লোকটা, ‘ইয়ার্কি, হ্যাঁ? ইয়ার্কি! ইয়ার্কি! তুই আমার সঙ্গে ইয়ার্কি করছিস?’
এ তো মহা রগচটা লোক। বৃষ্টিঅলা লোকটা একটুও না খেপে বলল, ‘বললাম তো ভাই, ভুল হয়ে গেছে। তুমি এ রকম করছ কেন? তুই-তোকারি কেন করছ?’
‘তুই-তোকারি কেন করছি? কেন করছি, হ্যাঁ?’ রগচটা শীতঅলা লোকটা বলল, ‘তবে কী করব? কী করব? বলি তোকে কী বলতে হবে? আপনি বলব? আপনি কেন এখানে এসেছেন, মহাত্মন? বলব?’
‘তা কেন?’ বৃষ্টিঅলা লোকটা বলল, ‘মহাত্মন কেন বলবে, ভাই? কিন্তু এই যে তুই-তোকারি করছ, এটা কি ঠিক? ভদ্রতা সভ্যতা বলেও তো কিছু ব্যাপার আছে, নাকি?’
‘ওরে আমার ভদ্রতা-সভ্যতার বাবা রে!’ খেঁকিয়ে উঠে বলল শীতঅলা লোকটা, ‘ভুল করেছে, করেছে, আবার ভদ্রতা-সভ্যতার ইশকুলও খুলেছে। তোর কাছ থেকে ভদ্রতা-সভ্যতা শিখতে হবে রে আমাকে? অ্যাই! অ্যাই! দেব এক চড়ে দাঁত কটা ফেলে, তখন বুঝবি!’
আর পারা যায়? চড় দিয়ে দাঁত ফেলে দেবে মানে? এত সহজ? রাগ হলো এবার বৃষ্টিঅলা লোকটারও। সে বলল, ‘এসব কী বলছ তুমি? চড় দিয়ে দাঁত ফেলে দেবে মানে?’
‘মানে আবার কী রে, ফাজিল? এই দেখ।’ বলে কী কাণ্ড, সত্যি সত্যি বৃষ্টিঅলা লোকটাকে চড় মেরে বসল শীতঅলা লোকটা।
অনেক সহ্য করেছে এতক্ষণ। আর সহ্য করা যায় নাকি? একেবারে চড় মেরে বসেছে! বৃষ্টিঅলা লোকটা একটু কবি কবি ঠিক, ভালো মানুষ, গায়ে পড়ে কারোর অনিষ্ট করে না, তাই বলে এতটা দুর্বল তো নয় যে কেউ তাকে চড় মেরে বসবে। সেও ফিরিয়ে দিল এক চড়। এই! শুরু হয়ে গেল বেদম মারপিট। মারপিট, কী মারপিট বাবা রে! ধুন্ধুমার কাণ্ড। মারপিটের চোটে শীতঅলা লোকটার আলখাল্লার পকেটের সব ঠান্ডা বের হয়ে পড়ল। বৃষ্টিঅলা লোকটার আলখাল্লার পকেটের সব বৃষ্টি বের হয়ে পড়ল। দুর্গতি কী তখন! একে ঠান্ডা, তাও বৃষ্টি। জেরবার অবস্থা হলো সবার। অবস্থা কাহিল শীতঅলা আর বৃষ্টিঅলা লোকটারও। তাও যদি তারা মারপিট থামায়! কিন্তু এ রকম চললে তো হবে না। সবাই গিয়ে ধরল অনেক অনেক ঝুরিঅলা বুড়ো বটগাছকে, ‘আপনি কিছু করুন। জলদি কিছু একটা করুন।’
বুড়ো বটগাছের কথা শুনবে না, এমন বেয়াদব নয় কেউই। শীতঅলা লোকটাও না, বৃষ্টিঅলা লোকটাও না। পৃথিবীর কেউই না। এ জন্য বুড়ো বটগাছ যখন বললেন, ‘আর কত মারপিট করবে হে? এবার থামো।’ মারপিট বন্ধ করল দুই লোক। ‘ধন্যবাদ’ বললেন বুড়ো বটগাছ আর সালিস ডাকলেন সবাইকে নিয়ে। সালিসে ঠিক করা হলো, ভুল বৃষ্টিঅলা লোকটাই করেছে। কিন্তু তার জন্য তাকে মারতে হবে কেন? এটা খুবই, খুবই-খুবই অন্যায় করেছে শীতঅলা লোকটা। যা হোক, যা ঘটার ঘটে গেছে। এখন আপস করে বন্ধু হয়ে যাক দুই লোক। আর পুরোনো নিয়মটাও বাদ যাক। এখন থেকে শীতঅলা লোকটা যখন পৃথিবীতে আসবে, বৃষ্টিঅলা লোকটাও আসবে কিছুদিনের জন্য। আর বৃষ্টিঅলা লোকটা যখন পৃথিবীতে আসবে, শীতঅলা লোকটাও আসবে কিছুদিনের জন্য। সালিস মেনে নিল দুই লোকই। সেই থেকে এই। মানে শীতকালে এখন বৃষ্টি যে হয়, আর বৃষ্টির সময় যে ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে, সে কি আর এমনি এমনি রে, ভাই?
আমি যখন ওই হেলে পড়া গাছটার ফাঁকে দেখলাম একটা শাড়ির আঁচল অস্থির বাতাসে উড়ে বেড়াতে, বুঝতে অসুবিধা হলো না কে ওখানে। আমি জানতাম, নাহ্! ভুল বললাম, গত রাতে আমি স্বপ্নে দেখেছি সে আমায় বিদায় দেবে, কিন্তু বিদায় তো দেয় মিলনের আশায়। সে কি আমার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনবে? যদি ফিরে দেখি আমার রাতজাগা স্বপ্নগুলো স্বপ্ন রয়ে গেছে? তাহলে কি আমি চলে যাব না-বলা কথাগুলো অব্যক্ত রেখে? নাকি আজ যাওয়ার বেলায় তাকে জানিয়ে যাব আমার স্বপ্নগুলো? সেই কি ভালো না? অন্তত নিজের মনকে তো আর ঠকানো হলো না। এই যে শুনছ তুমি একবার তাকাও আমার চোখে, আজ আর দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না, আমি চলে যাচ্ছি; কিন্তু জেনে রাখো, স্বপ্নগুলো আমার।
কিন্তু আবার আসব ফিরে। জানি না তা কবে, তুমি কি অপেক্ষায় থাকবে আমার? কত যে বসন্ত কেটে যাবে, ফুল ফুটবে ফুল ঝরে যাবে, তোমার খোঁপাও রয়ে যাবে খালি। পাশে থাকবে না কেউ। পারবে সে কষ্ট সহ্য করতে? তবে জেনে রেখো, একদিন বাগানের একটা ফুলও আমি ঝরতে দেব না। সমর্পণ করব তোমার পায়ে। তুমি কি অপেক্ষায় থাকবে সে দিনটির?
জানি না কত শীতের রাত তুমি কাটাবে একা, শীতের হিম বাতাস আর কুয়াশা তোমায় ঘিরে ধরবে উষ্ণতার জন্য। পাশে পাবে না আমাকে; কিন্তু জেনে রেখো, একদিন আমি উষ্ণতায় ভরিয়ে ওই কুয়াশাকে বৃষ্টি করে ফেলব তোমার চোখের পাতায়, রবে কি সেই দিনটির অপেক্ষায়?
কোনো এক শরতের সকালে তুমি একাই হাঁটবে কাশফুলগুলোর মাঝে। আমি থাকব না পাশে।
হয়তো এমনি এক গ্রীষ্মের বিকেল, চারদিক যখন সুনসান নীরব, তুমি দৌড়ে এসে এখানে খুঁজবে আমায় এই পথটায়, কিন্তু আমি তখন অনেক দূরে, তুমি হতাশ হয়ে ভেজা চোখে ফিরে যাবে ঘরে। ভুল বোঝো না আমায়, জেনে রেখো তোমার অপেক্ষার দাম আমি দেব। এক নীরব বিকেলে তুমি আমায় খুঁজে পাবে। এই পথে আমি ফিরে আসব শুধু তোমার জন্য। হয়তো এর মাঝে কেটে যাবে অনেক সময়, চলে যাবে অনেক পূর্ণিমা। যাওয়ার বেলায় আজ জেনে যেতে চাই, বলো, থাকবে কি আমার অপেক্ষায়?
কিন্তু আবার আসব ফিরে। জানি না তা কবে, তুমি কি অপেক্ষায় থাকবে আমার? কত যে বসন্ত কেটে যাবে, ফুল ফুটবে ফুল ঝরে যাবে, তোমার খোঁপাও রয়ে যাবে খালি। পাশে থাকবে না কেউ। পারবে সে কষ্ট সহ্য করতে? তবে জেনে রেখো, একদিন বাগানের একটা ফুলও আমি ঝরতে দেব না। সমর্পণ করব তোমার পায়ে। তুমি কি অপেক্ষায় থাকবে সে দিনটির?
জানি না কত শীতের রাত তুমি কাটাবে একা, শীতের হিম বাতাস আর কুয়াশা তোমায় ঘিরে ধরবে উষ্ণতার জন্য। পাশে পাবে না আমাকে; কিন্তু জেনে রেখো, একদিন আমি উষ্ণতায় ভরিয়ে ওই কুয়াশাকে বৃষ্টি করে ফেলব তোমার চোখের পাতায়, রবে কি সেই দিনটির অপেক্ষায়?
কোনো এক শরতের সকালে তুমি একাই হাঁটবে কাশফুলগুলোর মাঝে। আমি থাকব না পাশে।
হয়তো এমনি এক গ্রীষ্মের বিকেল, চারদিক যখন সুনসান নীরব, তুমি দৌড়ে এসে এখানে খুঁজবে আমায় এই পথটায়, কিন্তু আমি তখন অনেক দূরে, তুমি হতাশ হয়ে ভেজা চোখে ফিরে যাবে ঘরে। ভুল বোঝো না আমায়, জেনে রেখো তোমার অপেক্ষার দাম আমি দেব। এক নীরব বিকেলে তুমি আমায় খুঁজে পাবে। এই পথে আমি ফিরে আসব শুধু তোমার জন্য। হয়তো এর মাঝে কেটে যাবে অনেক সময়, চলে যাবে অনেক পূর্ণিমা। যাওয়ার বেলায় আজ জেনে যেতে চাই, বলো, থাকবে কি আমার অপেক্ষায়?
Tuesday, July 16, 2013
- জ্যাডন, লুসি, এমিলির সঙ্গে মা প্যাম বিলিংটন
- ভূতের অপেক্ষায়...
না, লাভ নেই। সে বিকটদর্শন স্কন্ধকাটা হোক, ইয়া বড় নখঅলা শাকচুন্নি, নাদুস-নুদুস মামদো কিংবা হোক চুনোপুঁটি টাইপের দু-একটা গেছো ভূত। জ্যাডন আর লুসিকে আর যা-ই হোক না কেন, ভূতের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আর দশটা বাচ্চাকে শাসন করার জন্য, তাড়াতাড়ি ঘুম পাড়িয়ে দিতে যেখানে ভূতের ভয় শতাব্দী কাল থেকেই অব্যর্থ মহৌষধ হিসেবে প্রমাণিত; এই দুই শিশুর জন্য সেটা একেবারেই মরচে ধরা, অকেজো। ভূতকে ভয় পাবে কি, ভূতদের সঙ্গে এদের নিত্য ওঠাবসা। ভূতের সঙ্গেই আড্ডা-দোস্তি। ভূত নিয়েই তাদের রাজ্যের কাজকারবার!
ইংল্যান্ডের চেশায়ারের এই দুই শিশুর সঙ্গে কমপক্ষে ১০টি আত্মার নিয়মিত যোগাযোগ আছে বলে দাবি তাঁদের মা প্যাম বিলিংটনের। এই আত্মাগুলোর মধ্যে তাদের দাদিও আছেন। আত্মাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা হয় তাদের। ব্যাপারটা চমকে দেওয়ার মতোই। আর তাই ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর বিলিংটন পরিবারকে নিয়ে সচিত্র সুবিশাল এক স্টোরি করেছে। ট্যাবলয়েড পত্রিকায় কত কিছুই না ছাপা হয়!
১০ বছর বয়সী জ্যাডনের সঙ্গে পরিচয় আছে এক আমেরিকান ভূত দম্পতি স্যাম ও সাইমন ক্রিজের। এ ছাড়া মাইকেল নামের এক ‘অ্যাঞ্জেল’ নিয়মিত দেখা দেয় তাকে। আট বছর বয়সী লুসির সঙ্গে দোস্তি আছে রোজ নামের এক অল্পবয়সী ভূতের। ‘অল্পবয়সী’ মানে ঠিক কত বছর, বলা যাচ্ছে না। দেখা গেল, রোজের বয়সও তিন হাজার ৯৫০!
পুরোদস্তুর গৃহিণী প্যাম দাবি করেছেন, তাঁর দুই সন্তান এমনভাবে এই আত্মাগুলোর সঙ্গে কথা বলে, আত্মাগুলোর সঙ্গে এতটাই সুসম্পর্ক, যেন সেই অশরীরীরা তাদের পরিবারেরই কেউ! ‘সবকিছুই শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগে, যখন জ্যাডন আমাকে বলল, আগের রাতে একটা অ্যাঞ্জেল নাকি ওর সঙ্গে দেখা করে গেছে। আমি ভাবলাম, এ হয়তো শিশুমনের উদ্ভট সব কল্পনা। কিন্তু লুসিও যখন বলতে শুরু করল, আমি ব্যাপারটায় মনোযোগী হলাম’—মিররকে বলেছেন প্যাম।
অস্বাভাবিক এই ব্যাপারগুলো ঘটতে শুরু করেছিল ২০১১ সালে, বিলিংটন পরিবার তখন থাকত ম্যানচেস্টারে। জ্যাডন আর লুসি তখন বলতে শুরু করে, কয়েকটি ভূতও নাকি তাদের বাসায় বসবাস করছে। এমনকি চিলেকোঠাতেও আছে কয়েকটি ভূত। ঠিক ভূতের সঙ্গে সখ্য নেই, তবে বাড়ির বড় মেয়ে, ১৪ বছর বয়সী এমিলিকে নাকি এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার ভূতেরা তাদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছে।
তাই এমিলিও ভাবত, ছোট দুই ভাইবোনের কল্পনা এসব। একদিন সে বলে বসেছিল, ‘আচ্ছা, তোদের সঙ্গে যদি ভূতদের এতটাই ভালো সম্পর্ক, ওদের কাউকে আমার পাজামা ধরে টান মারতে বল তো।’ বলা মাত্রই নাকি সত্যি সত্যি টান পড়েছিল তার পাজামায়। ‘এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এখন ওরা আমাকে প্রায় সময়ই স্পর্শ করে। আমার হাতে খোঁচা দেয়, আমার পা ছুঁয়ে দেয়। একটা ভূত তো আমার চোখেও গুঁতো দিয়েছে’—নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলছিল এমিলি।
ভাইবোনদের মধ্যে কেবল সে-ই ভূতদের দেখে না। এ নিয়ে অবশ্য কোনো ‘আফসোস’ এমিলির নেই, ‘ভালোই হয়েছে, ওদের আমি দেখতে পাই না। দেখতে পেলে হয়তো ভয়েই মরে যেতাম!’
প্যাম নিজেকে বিজ্ঞানমনস্ক বলে দাবি করেছেন। ফলে তাঁর তরফে বাচ্চাদের ভাবনায় ভূতদের অস্তিত্ব এঁকে দেওয়া হয়নি। ভূত নেই বলেই বিশ্বাস করতেন তিনি। অতিপ্রাকৃতিক কোনো শক্তিতেও বিশ্বাস ছিল না তাঁর। কিন্তু চোখের সামনে এসব দেখার পর আগের ধারণায় আর অটল থাকেন কী করে! অবশ্য বাড়ির কর্তা ড্যারন এখনো সংশয়ে আছেন দুই সন্তান সত্যি সত্যিই ‘বিশেষ ক্ষমতা’র অধিকারী কি না, এ নিয়ে।
আপনি ড্যারনের পক্ষে যাবেন নাকি প্যামের—সেটা আপনার বিষয়। তবে এখন থেকে কোনো বাচ্চাকে ভূতের ভয় দেখানোর আগে ভালো করে জেনে নেবেন কোনো দেও-দানোর সঙ্গে দোস্তি তার আছে কিনা। কে জানে, ‘বন্ধু’কে মিছেমিছি ভয় দেখানোর শাস্তি হিসেবে রাতের বেলা হয়তো আপনার শিয়রে হাজির হয়ে যেতে পারে স্যাম, সাইমন, রোজদের মতোই কেউ!
ইংল্যান্ডের চেশায়ারের এই দুই শিশুর সঙ্গে কমপক্ষে ১০টি আত্মার নিয়মিত যোগাযোগ আছে বলে দাবি তাঁদের মা প্যাম বিলিংটনের। এই আত্মাগুলোর মধ্যে তাদের দাদিও আছেন। আত্মাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা হয় তাদের। ব্যাপারটা চমকে দেওয়ার মতোই। আর তাই ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর বিলিংটন পরিবারকে নিয়ে সচিত্র সুবিশাল এক স্টোরি করেছে। ট্যাবলয়েড পত্রিকায় কত কিছুই না ছাপা হয়!
১০ বছর বয়সী জ্যাডনের সঙ্গে পরিচয় আছে এক আমেরিকান ভূত দম্পতি স্যাম ও সাইমন ক্রিজের। এ ছাড়া মাইকেল নামের এক ‘অ্যাঞ্জেল’ নিয়মিত দেখা দেয় তাকে। আট বছর বয়সী লুসির সঙ্গে দোস্তি আছে রোজ নামের এক অল্পবয়সী ভূতের। ‘অল্পবয়সী’ মানে ঠিক কত বছর, বলা যাচ্ছে না। দেখা গেল, রোজের বয়সও তিন হাজার ৯৫০!
পুরোদস্তুর গৃহিণী প্যাম দাবি করেছেন, তাঁর দুই সন্তান এমনভাবে এই আত্মাগুলোর সঙ্গে কথা বলে, আত্মাগুলোর সঙ্গে এতটাই সুসম্পর্ক, যেন সেই অশরীরীরা তাদের পরিবারেরই কেউ! ‘সবকিছুই শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগে, যখন জ্যাডন আমাকে বলল, আগের রাতে একটা অ্যাঞ্জেল নাকি ওর সঙ্গে দেখা করে গেছে। আমি ভাবলাম, এ হয়তো শিশুমনের উদ্ভট সব কল্পনা। কিন্তু লুসিও যখন বলতে শুরু করল, আমি ব্যাপারটায় মনোযোগী হলাম’—মিররকে বলেছেন প্যাম।
অস্বাভাবিক এই ব্যাপারগুলো ঘটতে শুরু করেছিল ২০১১ সালে, বিলিংটন পরিবার তখন থাকত ম্যানচেস্টারে। জ্যাডন আর লুসি তখন বলতে শুরু করে, কয়েকটি ভূতও নাকি তাদের বাসায় বসবাস করছে। এমনকি চিলেকোঠাতেও আছে কয়েকটি ভূত। ঠিক ভূতের সঙ্গে সখ্য নেই, তবে বাড়ির বড় মেয়ে, ১৪ বছর বয়সী এমিলিকে নাকি এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার ভূতেরা তাদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছে।
তাই এমিলিও ভাবত, ছোট দুই ভাইবোনের কল্পনা এসব। একদিন সে বলে বসেছিল, ‘আচ্ছা, তোদের সঙ্গে যদি ভূতদের এতটাই ভালো সম্পর্ক, ওদের কাউকে আমার পাজামা ধরে টান মারতে বল তো।’ বলা মাত্রই নাকি সত্যি সত্যি টান পড়েছিল তার পাজামায়। ‘এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এখন ওরা আমাকে প্রায় সময়ই স্পর্শ করে। আমার হাতে খোঁচা দেয়, আমার পা ছুঁয়ে দেয়। একটা ভূত তো আমার চোখেও গুঁতো দিয়েছে’—নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলছিল এমিলি।
ভাইবোনদের মধ্যে কেবল সে-ই ভূতদের দেখে না। এ নিয়ে অবশ্য কোনো ‘আফসোস’ এমিলির নেই, ‘ভালোই হয়েছে, ওদের আমি দেখতে পাই না। দেখতে পেলে হয়তো ভয়েই মরে যেতাম!’
প্যাম নিজেকে বিজ্ঞানমনস্ক বলে দাবি করেছেন। ফলে তাঁর তরফে বাচ্চাদের ভাবনায় ভূতদের অস্তিত্ব এঁকে দেওয়া হয়নি। ভূত নেই বলেই বিশ্বাস করতেন তিনি। অতিপ্রাকৃতিক কোনো শক্তিতেও বিশ্বাস ছিল না তাঁর। কিন্তু চোখের সামনে এসব দেখার পর আগের ধারণায় আর অটল থাকেন কী করে! অবশ্য বাড়ির কর্তা ড্যারন এখনো সংশয়ে আছেন দুই সন্তান সত্যি সত্যিই ‘বিশেষ ক্ষমতা’র অধিকারী কি না, এ নিয়ে।
আপনি ড্যারনের পক্ষে যাবেন নাকি প্যামের—সেটা আপনার বিষয়। তবে এখন থেকে কোনো বাচ্চাকে ভূতের ভয় দেখানোর আগে ভালো করে জেনে নেবেন কোনো দেও-দানোর সঙ্গে দোস্তি তার আছে কিনা। কে জানে, ‘বন্ধু’কে মিছেমিছি ভয় দেখানোর শাস্তি হিসেবে রাতের বেলা হয়তো আপনার শিয়রে হাজির হয়ে যেতে পারে স্যাম, সাইমন, রোজদের মতোই কেউ!
এক সকালে বলছেন জলিল সাহেব, ‘আজকে ছুটির দিন। সপ্তাহের এই দিনটা আমি একটু শান্তিতে কাটাতে চাই। তাই সিনেমা হলের তিনটা টিকিট কেটে আনলাম।’
খুশিতে গদগদ হয়ে বললেন জলিলের স্ত্রী, ‘সে তো ভালো কথা। কিন্তু টিকিট তিনটা কেন গো? তুমি-আমি আর কে যাবে?’
জলিল বললেন, ‘তুমি-আমি না। তুমি আর বাচ্চারা যাবে। আমি বাসায় থাকব।’
অপু বলছে তার প্রেমিকাকে, ‘প্রেয়সী আমার, তোমার সঙ্গে আমি আমার সব কথা শেয়ার করতে চাই। আমার সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না...সব!’
প্রেমিকা: শুরুটা তাহলে তোমার এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ড দিয়েই হোক।
‘ধুত্তোর! কারেন্টটা চলে গেল। এখন নিচে নামব কীভাবে?’ শপিং মলের এস্কেলেটরে দাঁড়িয়ে বললেন সর্দারজি।
জাদুঘরে বেড়াতে গিয়ে বেখেয়ালে একটা চেয়ার ভেঙে ফেলল পল্টু। হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এল জাদুঘরের কর্মচারী। বলল, ‘আরে করেছেন কী? জানেন, এই চেয়ারটা ৪০০ বছরের পুরোনো!’
হেসে বলল পল্টু, ‘যাক, বাঁচালেন। আমি তো ভেবেছিলাম নতুন!’
জুনায়েদ বলছে তার প্রেমিকাকে, ‘আমি যদি শিল্পী হতাম, তুমি হতে আমার ছবি। আমি যদি কবি হতাম, তুমি হতে আমার ছন্দ। আমি যদি গায়ক হতাম, তুমি হতে আমার গান। কিন্তু তোমার দুর্ভাগ্য, আমি একজন কার্টুনিস্ট!’
স্ত্রী: ওগো, আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী। এই বিশেষ দিনে আমরা কী কী করব, বলো তো।
স্বামী: প্রথমে এসো, দুই মিনিট নীরবতা পালন করি।
নিবন্ধ লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে সোহান। পুরস্কার হাতে পাওয়ার পর তাকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করা হলো। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করল সোহান, ‘প্রথমেই আমি ধন্যবাদ দিতে চাই ইন্টারনেট, গুগল, উইকিপিডিয়া, মাইক্রোসফট অফিস এবং কপি-পেস্ট কে...।’
জাপানের এক হোটেলে খেতে গেছেন তরফদার সাহেব। ওয়েটারগুলোও জাপানি ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা বোঝে না। তরফদার খাবারের মেন্যু দেখে কোনটা অর্ডার করবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। অনেক ভেবেচিন্তে একটা খাবার অর্ডার করলেন। কিছুক্ষণ পর গরম গরম এক বাটি স্যুপ নিয়ে হাজির হলো ওয়েটার। খুশিমনে তরফদার সাহেব যে-ই না এক চামচ স্যুপ মুখে দিতে যাবেন, হঠাৎ লক্ষ করলেন স্যুপের মধ্যে একটা তেলাপোকা ভাসছে। আঁতকে উঠে ওয়েটারকে ডাকলেন। রেগে অস্থির, অথচ কোনোভাবেই ওয়েটারকে বোঝাতে পারছিলেন না, সমস্যাটা কী।
অবশেষে মীমাংসা করতে এগিয়ে এলেন হোটেলের ম্যানেজার। ভাগ্যিস, ম্যানেজার লোকটা ইংরেজি বোঝেন। তরফদার সাহেব তাঁর সমস্যা বললেন। শুনে ম্যানেজার ওয়েটারকে ধমক দিয়ে বললেন, ‘এই বুদ্ধু! তেলাপোকার স্যুপে মাত্র একটা তেলাপোকা দিয়েছ কেন?’
এক সকালে বলছেন জলিল সাহেব, ‘আজকে ছুটির দিন। সপ্তাহের এই দিনটা আমি একটু শান্তিতে কাটাতে চাই। তাই সিনেমা হলের তিনটা টিকিট কেটে আনলাম।’
খুশিতে গদগদ হয়ে বললেন জলিলের স্ত্রী, ‘সে তো ভালো কথা। কিন্তু টিকিট তিনটা কেন গো? তুমি-আমি আর কে যাবে?’
জলিল বললেন, ‘তুমি-আমি না। তুমি আর বাচ্চারা যাবে। আমি বাসায় থাকব।’
অপু বলছে তার প্রেমিকাকে, ‘প্রেয়সী আমার, তোমার সঙ্গে আমি আমার সব কথা শেয়ার করতে চাই। আমার সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না...সব!’
প্রেমিকা: শুরুটা তাহলে তোমার এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ড দিয়েই হোক।
‘ধুত্তোর! কারেন্টটা চলে গেল। এখন নিচে নামব কীভাবে?’ শপিং মলের এস্কেলেটরে দাঁড়িয়ে বললেন সর্দারজি।
জাদুঘরে বেড়াতে গিয়ে বেখেয়ালে একটা চেয়ার ভেঙে ফেলল পল্টু। হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এল জাদুঘরের কর্মচারী। বলল, ‘আরে করেছেন কী? জানেন, এই চেয়ারটা ৪০০ বছরের পুরোনো!’
হেসে বলল পল্টু, ‘যাক, বাঁচালেন। আমি তো ভেবেছিলাম নতুন!’
জুনায়েদ বলছে তার প্রেমিকাকে, ‘আমি যদি শিল্পী হতাম, তুমি হতে আমার ছবি। আমি যদি কবি হতাম, তুমি হতে আমার ছন্দ। আমি যদি গায়ক হতাম, তুমি হতে আমার গান। কিন্তু তোমার দুর্ভাগ্য, আমি একজন কার্টুনিস্ট!’
স্ত্রী: ওগো, আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী। এই বিশেষ দিনে আমরা কী কী করব, বলো তো।
স্বামী: প্রথমে এসো, দুই মিনিট নীরবতা পালন করি।
নিবন্ধ লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে সোহান। পুরস্কার হাতে পাওয়ার পর তাকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করা হলো। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করল সোহান, ‘প্রথমেই আমি ধন্যবাদ দিতে চাই ইন্টারনেট, গুগল, উইকিপিডিয়া, মাইক্রোসফট অফিস এবং কপি-পেস্ট কে...।’
জাপানের এক হোটেলে খেতে গেছেন তরফদার সাহেব। ওয়েটারগুলোও জাপানি ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা বোঝে না। তরফদার খাবারের মেন্যু দেখে কোনটা অর্ডার করবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। অনেক ভেবেচিন্তে একটা খাবার অর্ডার করলেন। কিছুক্ষণ পর গরম গরম এক বাটি স্যুপ নিয়ে হাজির হলো ওয়েটার। খুশিমনে তরফদার সাহেব যে-ই না এক চামচ স্যুপ মুখে দিতে যাবেন, হঠাৎ লক্ষ করলেন স্যুপের মধ্যে একটা তেলাপোকা ভাসছে। আঁতকে উঠে ওয়েটারকে ডাকলেন। রেগে অস্থির, অথচ কোনোভাবেই ওয়েটারকে বোঝাতে পারছিলেন না, সমস্যাটা কী।
অবশেষে মীমাংসা করতে এগিয়ে এলেন হোটেলের ম্যানেজার। ভাগ্যিস, ম্যানেজার লোকটা ইংরেজি বোঝেন। তরফদার সাহেব তাঁর সমস্যা বললেন। শুনে ম্যানেজার ওয়েটারকে ধমক দিয়ে বললেন, ‘এই বুদ্ধু! তেলাপোকার স্যুপে মাত্র একটা তেলাপোকা দিয়েছ কেন?’
সাদা ভূত
ইন্টার্নির প্রথম দিকের কথা। একদিন নাইট ডিউটি ফাঁকি দিয়ে আমরা দুই বন্ধু রাত দুইটার দিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। লোডশেডিং চলছিল। তবে জোছনার আলোয় মোটামুটি আবছা দেখা যাচ্ছিল সবকিছু। এ রকম সময় সামনে দেখি একটা লোক আমাদের দেখে ভূত ভূত বলে ঝেড়ে দৌড় দিল। একটু চুপ করে থেকে দুজন হাসা শুরু করলাম। আসলে আমরা অ্যাপ্রোনগুলো খুলে আসিনি। হয়তো একদিন এই লোকটাই রেডিওর কোনো ভূতের অনুষ্ঠানে গিয়ে বলবে, এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকরতম অভিজ্ঞতা।
সাখাওয়াত হোসেন
শ্রেণী অনুযায়ী প্রেম
পঞ্চম শ্রেণী: এখনই কিসের প্রেম? ক্লাস নাইন-টেনে ওঠো। দেখবা, প্রেমই তোমার পিছে দৌড়াবে।
ক্লাস নাইন: এই দুইটা বছর পড়ো। কলেজে খালি ওঠ বাপ। দেখবি, তুই হবি সার্থক দেবদাস।
কলেজ: দেখ, ভার্সিটির আগে কিন্তু প্রেমটেম করিস না। ভার্সিটিতে উঠলে তুই করতে না চাইলেও আমি তোকে রিকোয়েস্ট করব করতে।
ভার্সিটি: চাকরি করতে হলে পড়তে হবে। আর পড়তে হলে কী করা যাবে না? অবশ্যই প্রেম করা যাবে না। কিন্তু হ্যাঁ, ভালো চাকরি পেলে কিন্তু প্রেমের কোনো অভাব হবে না। তুমি ভালো করেই জানো।
অতঃপর প্রেম আসিবার পূর্বেই এক প্রেমিকের মৃত্যু হলো।
তানভীর মাহমুদুল হাসান
চিরন্তন বাণী
দুটি কিংবা তিনটি নয়
একটির বেশি আর নয়।
সন্তান নয়, ফেসবুক অ্যাকাউন্টের কথা বলছিলাম আর কি!
রিফাত কবীর
নাম
আমার পুরো নাম নুর-ই-তাসনিয়া প্রিয়তা। এসএসসির প্রথম ব্যবহারিক পরীক্ষা ছিল রসায়ন। তাই অনেক নার্ভাস ছিলাম। আমার ভাগ্যে পড়ল কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরীক্ষা। খুব মনোযোগ দিয়ে লিখতে লিখতেই মাঝখান দিয়ে সাইনের কাগজটায় সাইন করলাম। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ স্যার বলে উঠলেন, ‘অ্যা, এখানে নুর-ই-অক্সাইডটা কে?’
নুর-ই-তাসনিয়া
পিচ্চি
আমার এক বান্ধবীর ছোট ভাই, সাড়ে তিন কি চার বছর বয়স। মাত্র প্লে-তে ভর্তি করানো হয়েছে, তো একদিন গেলাম পিচ্চির সঙ্গে ভাব করতে, প্রথমেই সেই ঐতিহাসিক প্রশ্ন,
: বাবু, তুমি মাকে বেশি ভালোবাসো?
: আমি তো আমার গার্লফ্রেন্ডকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।
পিচ্চির এই গম্ভীর মুখের সরল স্বীকারোক্তির পর আর কী বলা যায়, মাথায় এল না। সামলে নিয়ে আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘ও আচ্ছা, স্কুলে যাও না? কেমন লাগে স্কুল?’
: খুব ভালো
: বাহ্! কী কী করো স্কুলে?
: কী আবার? নেহার সঙ্গে গল্প করি। ও-ই তো আমার গার্লফ্রেন্ড।
: তোমাদের টিচার কেমন পড়ায়?
: তা তো জানি না, কিন্তু আমাদের মিস খুব সুন্দরী।
: ও তাই? তো বাবু একটা ছড়া শোনাও তো?
: ছড়া পারি না তো, গান পারি।
: গান? গাও তো শুনি।
: হাম তেরে বিন আব রেহ নেহি সাকতে...
এই পিচ্চি আমার দুনিয়ারই তো? না ভুল করে প্যারালাল ইউনিভার্সে ঢুকে গেছে, বুঝলাম না!
মাইশা সামিহা
উপহার
দেশের একটা নামকরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে নতুন লাল-সবুজ স্টাফ বাস চোখে পড়ল। বাসের নামটা পড়েই আক্কেলগুড়ুম! ওমা! বাসের নাম কোথায়?! ওপরে বড় বড় করে লেখা: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার। উপহার দিয়ে ওটা এভাবে লিখে রাখার মানে কী?
যা হোক, যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী এভাবে নিজের দেওয়া উপহারে নাম লিখে রাখেন, আমি তো নস্যি!
এখন থেকে যাকে গিফট দেব (বেশি কাউকে দিই না অবশ্য) বড় করে লিখে কিংবা খোদাই করে দেব: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক বিদিতার উপহার।
বিদিতা জামান
সিরিয়াল কিলার
বাংলাদেশের শীর্ষ সিরিয়াল কিলার—জি বাংলা, স্টার প্লাস, স্টার জলসা, ইটিভি বাংলা। সিরিয়াল দেখিয়ে বাংলাদেশকে কিল করছে যারা।
পলিপপ
উপকরণ: মুরগি, গরু বা খাসির মাংসের কিমা আধা কেজি, লেবুর রস আধা টেবিল-চামচ, টোস্টের গুঁড়া পরিমাণমতো, সয়াসস ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, স্বাদ লবণ আধা চা-চামচ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, ডিম ১টি, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, মরিচবাটা আধা চা-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল-চামচ, শুকনা মরিচগুঁড়া (পাপরিকা) ১ চা-চামচ, ময়দা ১ টেবিল-চামচ, লেবুর খোসাকুচি সিকি চা-চামচ, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো, টুথপিক প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: ডিম, টোস্টের গুঁড়া ও তেল বাদে সব উপকরণ মাংসের সঙ্গে মাখতে হবে। ডিম ফেটিয়ে নিতে হবে। মাখানো মাংসের কিমা গোল গোল করে ডিমে ডুবিয়ে টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিতে হবে। প্রতিটি গোলা টুথপিক গেঁথে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ফ্রিজে রেখে ডুবো তেলে অল্প আঁচে ভেজে নিতে হবে। পলিপপ টমেটোর সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
মিনি কাবাব
উপকরণ: হাড় ছাড়া যেকোনো মাংস আধা কেজি, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, স্বাদ লবণ আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ, তেল ২ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, সয়াসস ২ টেবিল-চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, ডিম ১টি, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, গোটা পেঁয়াজ ১০-১২টি, লবণ স্বাদমতো, ময়দা আধা কাপ, টুথপিক প্রয়োজনমতো, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: মাংস দেড় ইঞ্চি টুকরা করে কেটে সয়াসস দিয়ে মেখে ৪ ঘণ্টা রাখতে হবে। ডিম, ময়দা, গোটা পেঁয়াজ বাদে বাকি সব উপকরণ মাংসে মেখে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। ডিম, ময়দা, লবণ সামান্য পানি দিয়ে গুলে নিতে হবে। টুথপিকে মাংস, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ গেঁথে ডিম-ময়দার গোলায় ডুবিয়ে ডুবো তেলে অল্প আঁচে হালকা বাদামি রং করে ভেজে নামাতে হবে। মিনি কাবাব তেঁতুল বা টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করা যায়।
আফগানি মালাই কাবাব
উপকরণ: মুরগির হাড় ছাড়া বুকের মাংস কিউব করে কাটা আধা কেজি, আদাবাটা দেড় চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ, পেস্তা-আমন্ড-কাজুবাটা ১ টেবিল-চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, সাদা গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, পনিরকুচি ৪ টেবিল-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ, মালাই ১ কাপ, তেল ২ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: সিকি কাপ মালাই ও বাকি সব উপকরণ দিয়ে মাংস মেখে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। সাসলিক কাঠিতে ৫-৬টি করে মাংসের টুকরা গেঁথে নিতে হবে। ননস্টিক গ্রিল প্যান অল্প আঁচে ২০ মিনিট চুলায় রাখতে হবে। এরপর মাংসভরা কাঠি দিয়ে মাঝারি জ্বালে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রান্না করতে হবে। হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে মাংসের কাঠি সাজিয়ে মালাই দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আচারি মাংস
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, আম অথবা জলপাইয়ের ঝাল আচার ৩ টেবিল-চামচ, পাঁচফোড়ন আধা চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, সরিষাবাটা ১ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, দারুচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২টি, তেজপাতা ১টি, সরিষার তেল আধা কাপ, চিনি ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৮-১০টি।
প্রণালি: মাংস টুকরা করে ধুয়ে আচার ও কিছু কাঁচা মরিচ বাদে সব উপকরণ মেখে নিতে হবে। তেল গরম করে পাঁচফোড়নের ফোড়ন দিতে হবে। তাতে মাখানো মাংস ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। মাংস সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে আচার ও কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে।
কাশ্মীরি কোফতা কারি
কোফতার উপকরণ: মুরগির মাংসের কিমা আধা কেজি, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, পেস্তা-আমন্ড-কাজু-কিশমিশবাটা ১ টেবিল-চামচ, ঘি ১ টেবিল-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল-চামচ, ডিমের কুসুম ১টি, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।
কোফতার প্রণালি: সব উপকরণ দিয়ে মাংস মেখে ছোট ছোট কোফতা বানিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিতে হবে।
গ্রেভির উপকরণ: ঘি সিকি কাপ, তেল আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, বেরেস্তা সিকি কাপ, পেস্তা-আমন্ড-কাজু-কিশমিশবাটা ২ টেবিল-চামচ, টকদই আধা কাপ, মালাই আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা-চামচ, টমেটো কিউব করে কাটা আধা কাপ, ক্যাপসিকাম কিউব করে কাটা আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, কাজু-আমন্ড-পেস্তা-কিশমিশ গোটা আধা কাপ, আদাবাটা দেড় চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, দারুচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি।
প্রণালি: ঘি ও তেল একসঙ্গে গরম করে গোটা পেস্তা-আমন্ড-কাজু-কিশমিশ ভেজে উঠিয়ে রেখে ওই তেলে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে নিতে হবে। তাতে সব বাটা মসলা ও গরমমসলা কষিয়ে টকদই ও মিশ্রিত বাদাম বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে, লবণ ও এক কাপ পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে ভাজা কোফতা দিয়ে দিতে হবে। মালাই ও ভাজা বাদাম-কিশমিশ বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে একটু পর নামাতে হবে। কিছুটা মালাই, ভাজা বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
উপকরণ: মুরগি, গরু বা খাসির মাংসের কিমা আধা কেজি, লেবুর রস আধা টেবিল-চামচ, টোস্টের গুঁড়া পরিমাণমতো, সয়াসস ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, স্বাদ লবণ আধা চা-চামচ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, ডিম ১টি, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, মরিচবাটা আধা চা-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল-চামচ, শুকনা মরিচগুঁড়া (পাপরিকা) ১ চা-চামচ, ময়দা ১ টেবিল-চামচ, লেবুর খোসাকুচি সিকি চা-চামচ, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো, টুথপিক প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: ডিম, টোস্টের গুঁড়া ও তেল বাদে সব উপকরণ মাংসের সঙ্গে মাখতে হবে। ডিম ফেটিয়ে নিতে হবে। মাখানো মাংসের কিমা গোল গোল করে ডিমে ডুবিয়ে টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিতে হবে। প্রতিটি গোলা টুথপিক গেঁথে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ফ্রিজে রেখে ডুবো তেলে অল্প আঁচে ভেজে নিতে হবে। পলিপপ টমেটোর সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
মিনি কাবাব
উপকরণ: হাড় ছাড়া যেকোনো মাংস আধা কেজি, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, স্বাদ লবণ আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ, তেল ২ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, সয়াসস ২ টেবিল-চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, ডিম ১টি, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, গোটা পেঁয়াজ ১০-১২টি, লবণ স্বাদমতো, ময়দা আধা কাপ, টুথপিক প্রয়োজনমতো, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: মাংস দেড় ইঞ্চি টুকরা করে কেটে সয়াসস দিয়ে মেখে ৪ ঘণ্টা রাখতে হবে। ডিম, ময়দা, গোটা পেঁয়াজ বাদে বাকি সব উপকরণ মাংসে মেখে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। ডিম, ময়দা, লবণ সামান্য পানি দিয়ে গুলে নিতে হবে। টুথপিকে মাংস, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ গেঁথে ডিম-ময়দার গোলায় ডুবিয়ে ডুবো তেলে অল্প আঁচে হালকা বাদামি রং করে ভেজে নামাতে হবে। মিনি কাবাব তেঁতুল বা টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করা যায়।
আফগানি মালাই কাবাব
উপকরণ: মুরগির হাড় ছাড়া বুকের মাংস কিউব করে কাটা আধা কেজি, আদাবাটা দেড় চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ, পেস্তা-আমন্ড-কাজুবাটা ১ টেবিল-চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, সাদা গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, পনিরকুচি ৪ টেবিল-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ, মালাই ১ কাপ, তেল ২ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: সিকি কাপ মালাই ও বাকি সব উপকরণ দিয়ে মাংস মেখে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। সাসলিক কাঠিতে ৫-৬টি করে মাংসের টুকরা গেঁথে নিতে হবে। ননস্টিক গ্রিল প্যান অল্প আঁচে ২০ মিনিট চুলায় রাখতে হবে। এরপর মাংসভরা কাঠি দিয়ে মাঝারি জ্বালে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রান্না করতে হবে। হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে মাংসের কাঠি সাজিয়ে মালাই দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আচারি মাংস
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, আম অথবা জলপাইয়ের ঝাল আচার ৩ টেবিল-চামচ, পাঁচফোড়ন আধা চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, সরিষাবাটা ১ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, দারুচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২টি, তেজপাতা ১টি, সরিষার তেল আধা কাপ, চিনি ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৮-১০টি।
প্রণালি: মাংস টুকরা করে ধুয়ে আচার ও কিছু কাঁচা মরিচ বাদে সব উপকরণ মেখে নিতে হবে। তেল গরম করে পাঁচফোড়নের ফোড়ন দিতে হবে। তাতে মাখানো মাংস ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। মাংস সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে আচার ও কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে।
কাশ্মীরি কোফতা কারি
কোফতার উপকরণ: মুরগির মাংসের কিমা আধা কেজি, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, পেস্তা-আমন্ড-কাজু-কিশমিশবাটা ১ টেবিল-চামচ, ঘি ১ টেবিল-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল-চামচ, ডিমের কুসুম ১টি, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।
কোফতার প্রণালি: সব উপকরণ দিয়ে মাংস মেখে ছোট ছোট কোফতা বানিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিতে হবে।
গ্রেভির উপকরণ: ঘি সিকি কাপ, তেল আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, বেরেস্তা সিকি কাপ, পেস্তা-আমন্ড-কাজু-কিশমিশবাটা ২ টেবিল-চামচ, টকদই আধা কাপ, মালাই আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা-চামচ, টমেটো কিউব করে কাটা আধা কাপ, ক্যাপসিকাম কিউব করে কাটা আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, কাজু-আমন্ড-পেস্তা-কিশমিশ গোটা আধা কাপ, আদাবাটা দেড় চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, দারুচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি।
প্রণালি: ঘি ও তেল একসঙ্গে গরম করে গোটা পেস্তা-আমন্ড-কাজু-কিশমিশ ভেজে উঠিয়ে রেখে ওই তেলে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে নিতে হবে। তাতে সব বাটা মসলা ও গরমমসলা কষিয়ে টকদই ও মিশ্রিত বাদাম বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে, লবণ ও এক কাপ পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে ভাজা কোফতা দিয়ে দিতে হবে। মালাই ও ভাজা বাদাম-কিশমিশ বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে একটু পর নামাতে হবে। কিছুটা মালাই, ভাজা বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
শার্ট গ্যালারি
কাপড় কিনে শার্ট বানানোতে ছাড় দিচ্ছে শার্ট গ্যালারি। ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড এবং পিংক সিটি শপিং মলে তাদের শাখা আছে।
এইজলেস
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের লেভেল ২, ব্লক-ডি-তে এইজলেস এনেছে ছেলেদের পোশাক সংগ্রহ। ফরমাল-ক্যাজুয়াল শার্ট, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ইত্যাদি পাওয়া যাবে।
ছাড়
বিয়ের ছবি তোলা ও অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় ছাড় দিচ্ছে ওয়েডিং ডায়েরি। ফোন: ০১৯৭৫৫৫৬৬৩৩
মেলা
ডাবল জিরো ইভেন্টস এবং টিঅ্যান্ডএসের আয়োজনে ঢাকার ধানমন্ডিতে ভিক্টোরিয়া কনভেনশন সেন্টারে চলবে পোশাক মেলা। ১৭ থেকে ১৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
অনলাইনে পোশাক
কালারব্লুম এনেছে বিভিন্ন নকশার কুর্তা ও টি-শার্ট। নিজের পছন্দের নকশার ফরমায়েশও দিতে পারবেন। ফেসবুক ঠিকানা: www.facebook.com/colorbloombangladesh
কাপড় কিনে শার্ট বানানোতে ছাড় দিচ্ছে শার্ট গ্যালারি। ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড এবং পিংক সিটি শপিং মলে তাদের শাখা আছে।
এইজলেস
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের লেভেল ২, ব্লক-ডি-তে এইজলেস এনেছে ছেলেদের পোশাক সংগ্রহ। ফরমাল-ক্যাজুয়াল শার্ট, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ইত্যাদি পাওয়া যাবে।
ছাড়
বিয়ের ছবি তোলা ও অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় ছাড় দিচ্ছে ওয়েডিং ডায়েরি। ফোন: ০১৯৭৫৫৫৬৬৩৩
মেলা
ডাবল জিরো ইভেন্টস এবং টিঅ্যান্ডএসের আয়োজনে ঢাকার ধানমন্ডিতে ভিক্টোরিয়া কনভেনশন সেন্টারে চলবে পোশাক মেলা। ১৭ থেকে ১৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
অনলাইনে পোশাক
কালারব্লুম এনেছে বিভিন্ন নকশার কুর্তা ও টি-শার্ট। নিজের পছন্দের নকশার ফরমায়েশও দিতে পারবেন। ফেসবুক ঠিকানা: www.facebook.com/colorbloombangladesh
Saturday, July 13, 2013
Ready made garment industry is highly labour intensive. Hence labour cost per hour is an important factor in this sector to remain competitive. As per the global Statistics & data available, it reveals that labour cost per hour in India is substantially lower than the developed and developing countries in the world.
image courtesy: Denim experts limited |
However, there are few under developing/developing countries in Asia, where labour cost is lower than India. Countries like Vietnam & Cambodia with lower labor cost are slowly making an inroad in global market and the progress is very fast. It is a fact that labour cost per hour simply does not indicate the impact on garment manufacturing cost. It also depends on value addition made by the individual per hour. It is reported that though labour cost is high in some countries but value addition made by a labor, is substantially higher compared to other countries including India.
Unfortunately, this was not happened in our country in absence of appropriate plan & initiative though, Indian workforce has a good skill & knowledge. As per my knowledge, there are a few industries in NCR & Mumbai, who have framed strategic plan to motivate and encourage the workforce to enhance value addition in productivity. Hence; India should make appropriate initiatives to make this advantageous position in favour, to accrue the more benefit by maintaining higher ratio between labour cost per hour and value addition made by individual per hour.
The labour cost per hour of different countries is given in the Table below
Table: Garments manufacturing labor costs (US$/hour) by Countries
Table: Garments manufacturing labor costs (US$/hour) by Countries
Asian Competitors
|
US Regional Suppliers
| ||
2.54
| |||
0.22
|
1.72-1.82
| ||
0.33
|
1.55-1.95
| ||
0.37
|
0.97-1.03
| ||
0.38
|
0.49-0.55
| ||
0.43
|
EU Regional Suppliers
| ||
0.44
|
2.44
| ||
0.51
|
2.24
| ||
0.55-0.80
|
1.97
| ||
China (other coastal/core areas)
|
0.86-0.94
|
1.68
| |
1.08
|
1.53
| ||
1.18
|
Jorden
|
1.01
| |
1.29-1.36
|
0.83
|
Wednesday, July 10, 2013
সূরা একলাস
1 ) Say (O Muhammad (Peace be upon him)): "He is Allâh, (the) One.
2 ) Allâh-us-Samad. (The Self-Sufficient Master, Whom all creatures need, He neither eats nor drinks).
3 ) "He begets not, nor was He begotten;
4 ) "And there is none co-equal or comparable unto Him."
2 ) Allâh-us-Samad. (The Self-Sufficient Master, Whom all creatures need, He neither eats nor drinks).
3 ) "He begets not, nor was He begotten;
4 ) "And there is none co-equal or comparable unto Him."
COLORFASTNESS TO LAUNDERING OF COTTON AND LINEN
TEXTILE MATERIALS; LAUNDER-OMETER METHOD
10 SCOPE
1.1 This method is intended for determining the colorfastness of cotton and
linen or blends of cotton and linen with other fibers to laundering.
2. TEST SPECIMEN
2.1 Standard sample. Unless otherwise specified in the procurement document,
when a standard sample has been established, the required specimen from each
sample unit of the material to be tested, and one specimen from the standard
sample, shall be as follows:
2.1.1 Cloth. 4 + 0.1 grams of cloth.
2.1.2 Yarn, thread, light cordage, tape, webbing and braid. 4± 0.1 grams of
the applicable material, so held together to form a unit for testing.
2.2 No standard sample. Unless otherwise specified in the procurement
document, when a standard sample has not been established, the required
specimens from the sample unit of the material to be tested shall be as
specified in 2.1.1 or 2.1.2. One additional specimen shall be taken from
sample unit of the material to be tested and shall be retained, untested,
comparison. All specimens shall be taken from adjacent areas of the sample
unit.
each
for
3. NUMBER OF DETERMINATIONS
3.1 Unless otherwise specified in the procurement document, one specimen per
color shall be tested from each sample unit.
4. APPARATUS, REAGENTS, AND METHOD CITED
4.1 Apparatus.
4.1.1 Launder-Ometer. A Launder-Ometer or similar machine having a metal
adapter in which tightly capped stainless steel cylindrical containers 5 inches
(127 mm) in length by 3 inches (76 mm) in diameter are held with their bases
toward a horizontal shaft 2 inches (51 mm) from the center of rotation. The
shaft shall rotate at 40 to 45 rpm. Each container shall be equipped with a
FED. TEST METHOD STD. NO. 191A
TEXTILE MATERIALS; LAUNDER-OMETER METHOD
10 SCOPE
1.1 This method is intended for determining the colorfastness of cotton and
linen or blends of cotton and linen with other fibers to laundering.
2. TEST SPECIMEN
2.1 Standard sample. Unless otherwise specified in the procurement document,
when a standard sample has been established, the required specimen from each
sample unit of the material to be tested, and one specimen from the standard
sample, shall be as follows:
2.1.1 Cloth. 4 + 0.1 grams of cloth.
2.1.2 Yarn, thread, light cordage, tape, webbing and braid. 4± 0.1 grams of
the applicable material, so held together to form a unit for testing.
2.2 No standard sample. Unless otherwise specified in the procurement
document, when a standard sample has not been established, the required
specimens from the sample unit of the material to be tested shall be as
specified in 2.1.1 or 2.1.2. One additional specimen shall be taken from
sample unit of the material to be tested and shall be retained, untested,
comparison. All specimens shall be taken from adjacent areas of the sample
unit.
each
for
3. NUMBER OF DETERMINATIONS
3.1 Unless otherwise specified in the procurement document, one specimen per
color shall be tested from each sample unit.
4. APPARATUS, REAGENTS, AND METHOD CITED
4.1 Apparatus.
4.1.1 Launder-Ometer. A Launder-Ometer or similar machine having a metal
adapter in which tightly capped stainless steel cylindrical containers 5 inches
(127 mm) in length by 3 inches (76 mm) in diameter are held with their bases
toward a horizontal shaft 2 inches (51 mm) from the center of rotation. The
shaft shall rotate at 40 to 45 rpm. Each container shall be equipped with a
FED. TEST METHOD STD. NO. 191A
সাতঘণ্টা ঘুমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে
সাতঘণ্টা ঘুমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে
1 / 1
নিয়মিত সাতঘণ্টারও বেশি সময়ের ঘুম হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় খুবই কার্যকর বলে এক গবেষণায় পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
পরিমিত খাবার-পানীয় গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ধূমপান কমালে তা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে পারে বলে এতোদিন চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে ছিলেন।
তবে বিবিসি জানায়, নতুন ওই গবেষণায় পরিমিত ঘুমানোর মাধ্যমে হৃদরোগে মৃত্যুঝুঁকি কমার কিছু প্রমাণ পান ইউরোপের বিজ্ঞানীরা।
গত ১০ বছর ধরে নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক ১৪ হাজার নারী-পুরুষের মাঝে বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ চালান।
এতে দেখা যায়, এদের মধ্যে ৬০০ মানুষ পাওয়া যায় যারা হৃদরোগে আক্রান্ত এবং এদের ১২৯ জনের মৃত্যু হয়।
নিয়মিত ব্যায়াম, পরিমিত খাবার ও ধূমপান থেকে দূরে থাকার মতো প্রচলিত সতর্কতাগুলো অবলম্বন করে ৫৭ শতাংশ মানুষ হৃদরোগ থেকে এবং ৬৭ শতাংশ মানুষ এ সংক্রান্ত অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
এছাড়া্ প্রচলিত সতর্ক জীবন যাপনের সঙ্গে নিয়মিত সাতঘণ্টার অধিক ঘুমের চর্চাটি হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি ৬৭ শতাংশ থেকে ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে বলে গবেষকরা জানান।
ইউরোপিয়ান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি ছাপানো হয়।
নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব বার্জিনের অধ্যাপক গ্রিথ এস টেল বলেন, এই গবেষণার মূল শিক্ষাটি হচ্ছে সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টসহ আরো দুইটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওই গবেষণা কাজ পরিচালনা করা হয়।
বিবিসি জানায়, অসুস্থ্যতা বা অন্য কোনো কারণে যারা নিদ্রাহীন রাত পার করেন তাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। রাতে অনিদ্রার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এই গবেষণায় এমন কিছুও পাওয়া যায়নি।
শুধুমাত্র প্রচলিত সতর্কতাগুলো অবলম্বনের সঙ্গে লম্বা সময় (সাতঘণ্টা) ঘুমের বিষয়টি যোগ হলেই কেবল তা হৃদরোগের জন্য আরো উপকারি হয় বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে।
Subscribe to:
Posts (Atom)