মায়ের ধাক্কায় চমকে উঠলাম। মা আমাকে ধাক্কা দিতে দিতে বলছেন, অ্যাই, ওঠ। হাত-মুখ ধুয়ে নাশতা খেয়ে খেলতে যা।
আরেকটু পরে উঠি? রাত জেগে অঙ্ক করেছি।
আবার? কতবার বলেছি এসব নিয়ে সময় নষ্ট করবি না। তোর বাবা শুনলে খুব রাগ করবে। অঙ্ক কি কোনো কাজে আসবে? এই সময়ে কতগুলো গেম খেলতে পারতি! এখন ওঠ। ১০টা পর্যন্ত ঘুমালে খেলবি কখন? ফেসবুকিংই বা করবি কখন? ওঠ ওঠ।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিছানা ছাড়লাম আমি। মনে হলো যেন নিজের সিংহাসন ছেড়ে দিচ্ছি। দ্রুত হাত-মুখ ধুয়ে নাশতার টেবিলে এলাম। খাবারে ভর্তি টেবিল দেখতে আমার বড় ভালো লাগে। কিন্তু সমস্যা হলো, চেয়ারে বাবাও বসে থাকেন। বাবা খুবই রাগী মানুষ। তাঁর সামনে আরাম করে খাওয়াও যায় না। বাবা স্মার্টফোনে ‘অ্যাংরি বার্ডস’ খেলছিলেন। আমাকে দেখে গম্ভীর গলায় বললেন, অ্যাংরি বার্ডসের কয়টা স্টেজ পার করেছ?
দুইটা। মাত্র দুইটা? কী বলো? ভেরি স্লো প্রোগ্রেস। এত ধীরে এগোলে তো সিলেবাস শেষ করতে পারবে না। সিলেবাসে ফিফা থার্টিন, কল অব ডিউটি, টেম্পল রান এগুলো আছে না?
জি আছে।
তো? শেষ করতে হবে না? প্র্যাকটিক্যালের কী অবস্থা? আজ ক্রিকেট প্র্যাকটিস নেই?
আছে, যেতে ইচ্ছে করছে না।
ইচ্ছে করছে না? এমন চড় দেব যে প্রোফাইল পিকচারে নিজের ছবি দিতে পারবে না। দ্রুত নাশতা শেষ করে মাঠে যাও।
আজ ফিজিকস পড়ব ভেবেছিলাম...
কিসের ফিজিকস! ফিজিকস পড়ে কে কবে সাকিব-মেসি হয়েছে? খেলাধুলা করো। মাঝেমধ্যে ফেসবুকে একটু সময় দিলেও তো পারো। তোমার তো কোনো নোটিফিকেশনই দেখি না। গত রাতে কনফেডারেশন কাপ নিয়ে স্ট্যাটাস দিলাম, তুমি তো কোনো কমেন্ট করলে না।
আমার ভালো লাগে না।
মা এমন সময় বললেন, ‘দেখেছ, আমাদের ছেলে কী সুন্দর মুখে মুখে তর্ক করছে? কী সুইট!’
আমি চুপ করে রইলাম। খেলা ব্যাপারটা আসলেই আমার ভালো লাগে না। আমার ভালো লাগে পড়তে। কত কিছু পড়ার আছে; জীববিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, রসায়ন...কত মজার বিষয়! অথচ আমাকে সারা দিন খেলা নিয়ে ভাবতে হয়। সকালে ক্রিকেট প্র্যাকটিস, কখনো ম্যাচ। ফিরতে ফিরতে দুপুর। দুপুরে খেয়ে একটু রেস্ট নিয়ে আবার মাঠে ফুটবলের পেছনে দৌড়াতে হয়। সন্ধ্যায় বাসায় এসেও শান্তি নেই। প্লেস্টেশনে ফিফা, না হয় কল অব ডিউটি প্র্যাকটিস করতে হয়। সামনেই টুর্নামেন্ট, সেখানে চ্যাম্পিয়ন না হলে মা-বাবার টেরাবাইট টেরাবাইট মানসম্মান কমে একেবারে কিলোবাইট হয়ে যাবে। এত খেলা যে দম ফেলারও সময় পাই না। একটু চুপচাপ বসে থাকতে দেখলেই মা একদম শিকারি চিলের মতো ছুটে এসে বলেন, ‘বসে আছো যে? টেম্পল রান টু একটু দেখ না। অ্যাংরি বার্ডসের নতুন স্টেজ পার করার চেষ্টা করো, সাবওয়ে সার্ফারটা একটু রিভিশন দাও।’ বলেই মা তাঁর ফার্মভিলের কুমড়াখেত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এদিকে আমার জীবন শেষ। বারবিকিউ কপাল হলে যা হয়!
কিন্তু কয়েক দিন পর এমন একটা ঘটনা ঘটল যে আমি রাজনীতিবিদের মতো পল্টি খেলাম। হঠাৎই খেলাধুলা আমার খুব ভালো লাগতে শুরু করল। ইদানীং দিন-রাত আমি খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। ফেসবুকেও নিয়মিত স্ট্যাটাস দিই। ফ্রেন্ড-ফলোয়ারও বেড়েছে অনেক। এই হঠাৎ পরিবর্তনে মা-বাবা দারুণ খুশি।
গর্বে তাঁদের মাটিতে পা পড়ে না। ফেসবুকে কেউ যখন তাঁদের নক করে বলে, ‘প্লিজ, আংকেল, আপনার ছেলেকে বলেন আমার রিকোয়েস্টটা অ্যাকসেপ্ট করতে। আমি ওনার ভক্ত।’ তখন তাঁরা খুশিতে ইনবক্সের স্ক্রিনশট প্রিন্ট দিয়ে ড্রয়িংরুমে ঝুলিয়ে রাখেন। কিন্তু এই পরিবর্তনের কারণটা শুধু আমি জানি। আসলে তানিয়ার প্রেমে পড়ার পর থেকে আমার এই পরিবর্তন। তানিয়ার ফেসবুক ইনফো দেখে যখন জানলাম, খেলাধুলা, ফেসবুকই ওর পছন্দ, তখন থেকেই নিজেকে বদলে ফেললাম। এখন প্রায়ই ও আমার স্ট্যাটাস শেয়ার দেয়, মাঠে গিয়ে আমার খেলা দেখে। এমনকি ফার্মভিলের খেতে পানি দেওয়ার জন্য মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে রাখে। শুধু স্ট্যাটাস নয়, কদিন পর বাকি জীবনটাও হয়তো আমার সঙ্গেই শেয়ার করবে ও।
তবে ইদানীং দেখছি মা-বাবার কী যেন হয়েছে। তাঁরা আর আমাকে খেলতে বলেন না। নিজেরাও আগের মতো গেমটেম খেলেন না। আজ কী হলো কে জানে, সকালে উঠে দেখি বাবা বসে পত্রিকা পড়ছেন। আমি ভীষণ অবাক হলাম। দ্রুত নাশতা খেয়ে ব্যাট নিয়ে খেলতে বের হব, হঠাৎ বাবার গম্ভীর গলা—
কোথায় যাচ্ছ?
মাঠে। গুরুত্বপূর্ণ খেলা আছে।
মাঠে যাওয়া যাবে না। খেলাধুলা বাদ। যাও, ঘরে গিয়ে পড়তে বসো।
মানে কী?
সারা দিন শুধু খেলা আর ফেসবুক। ফাজলামো পেয়েছ? কত কিছু পড়ার আছে; জীববিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, রসায়ন...কত মজার বিষয়! এগুলো তো একবারও পড়তে দেখি না। বেয়াদব। তাকিয়ে কী দেখছ? যাও পড়তে বসো!
পড়তে বসব কেন? আমি খেলাধুলা করতে চাই। লেখাপড়া ভালো লাগে না।
এমন সময় মা বললেন, ‘দেখেছ, তোমার ছেলে কী রকম বেয়াদবের মতো মুখে মুখে তর্ক করছে? তার নাকি লেখাপড়া ভালো লাগে না। আরে তোর ভালো লাগা দিয়ে কী দুনিয়ে চলবে? ওগো, পাঁচ মিনিট হয়ে গেল এখনো ওকে চড় দিলে না? ও যে বেয়াদবি করেছে, তাতে তো দুই মিনিটের মধ্যেই কয়েকটা চড় দেওয়া উচিত ছিল।’
সেই থেকে আমার দুর্দশার শুরু। এখন সারা দিন লেখাপড়া করতে করতে আমার জীবন বের হয়ে যাচ্ছে। খেলাধুলা, ফেসবুক সব বন্ধ। সকাল-বিকেল কোচিং, সন্ধ্যায় প্রাইভেট, এক্সাম, অ্যাসাইনমেন্ট—সব মিলিয়ে পুরা ছারখার অবস্থা। মা-বাবা এতেই খুশি।
পাশের বাসার আন্টি যখন বলেন, আপনার ছেলেটা কত ভালো, দিন-রাত লেখাপড়া নিয়ে আছে, তখন গর্বে তাঁরা ফুলে-ফেঁপে একাকার হয়ে যান। মা-বাবারা সন্তানের ভালো চান, কিন্তু সেই ভালোটা হতে হবে তাঁদের ইচ্ছামতো। সন্তানদের কোনো ইচ্ছা থাকতে নেই। তাই মা-বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে করতেই আমার জীবন ভাজা ভাজা হয়ে গেল। আমি যখন বাবা হব, তখন আমার ইচ্ছা আবার সন্তানের ওপর চাপাতে হবে। এটাই বোধ হয় নিয়ম।
আহা, তানিয়াকে দেখি না কত দিন! ও এখন অন্যের স্ট্যাটাস শেয়ার দেয়। বারবিকিউ কপাল হলে যা হয় আর কি!
আরেকটু পরে উঠি? রাত জেগে অঙ্ক করেছি।
আবার? কতবার বলেছি এসব নিয়ে সময় নষ্ট করবি না। তোর বাবা শুনলে খুব রাগ করবে। অঙ্ক কি কোনো কাজে আসবে? এই সময়ে কতগুলো গেম খেলতে পারতি! এখন ওঠ। ১০টা পর্যন্ত ঘুমালে খেলবি কখন? ফেসবুকিংই বা করবি কখন? ওঠ ওঠ।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিছানা ছাড়লাম আমি। মনে হলো যেন নিজের সিংহাসন ছেড়ে দিচ্ছি। দ্রুত হাত-মুখ ধুয়ে নাশতার টেবিলে এলাম। খাবারে ভর্তি টেবিল দেখতে আমার বড় ভালো লাগে। কিন্তু সমস্যা হলো, চেয়ারে বাবাও বসে থাকেন। বাবা খুবই রাগী মানুষ। তাঁর সামনে আরাম করে খাওয়াও যায় না। বাবা স্মার্টফোনে ‘অ্যাংরি বার্ডস’ খেলছিলেন। আমাকে দেখে গম্ভীর গলায় বললেন, অ্যাংরি বার্ডসের কয়টা স্টেজ পার করেছ?
দুইটা। মাত্র দুইটা? কী বলো? ভেরি স্লো প্রোগ্রেস। এত ধীরে এগোলে তো সিলেবাস শেষ করতে পারবে না। সিলেবাসে ফিফা থার্টিন, কল অব ডিউটি, টেম্পল রান এগুলো আছে না?
জি আছে।
তো? শেষ করতে হবে না? প্র্যাকটিক্যালের কী অবস্থা? আজ ক্রিকেট প্র্যাকটিস নেই?
আছে, যেতে ইচ্ছে করছে না।
ইচ্ছে করছে না? এমন চড় দেব যে প্রোফাইল পিকচারে নিজের ছবি দিতে পারবে না। দ্রুত নাশতা শেষ করে মাঠে যাও।
আজ ফিজিকস পড়ব ভেবেছিলাম...
কিসের ফিজিকস! ফিজিকস পড়ে কে কবে সাকিব-মেসি হয়েছে? খেলাধুলা করো। মাঝেমধ্যে ফেসবুকে একটু সময় দিলেও তো পারো। তোমার তো কোনো নোটিফিকেশনই দেখি না। গত রাতে কনফেডারেশন কাপ নিয়ে স্ট্যাটাস দিলাম, তুমি তো কোনো কমেন্ট করলে না।
আমার ভালো লাগে না।
মা এমন সময় বললেন, ‘দেখেছ, আমাদের ছেলে কী সুন্দর মুখে মুখে তর্ক করছে? কী সুইট!’
আমি চুপ করে রইলাম। খেলা ব্যাপারটা আসলেই আমার ভালো লাগে না। আমার ভালো লাগে পড়তে। কত কিছু পড়ার আছে; জীববিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, রসায়ন...কত মজার বিষয়! অথচ আমাকে সারা দিন খেলা নিয়ে ভাবতে হয়। সকালে ক্রিকেট প্র্যাকটিস, কখনো ম্যাচ। ফিরতে ফিরতে দুপুর। দুপুরে খেয়ে একটু রেস্ট নিয়ে আবার মাঠে ফুটবলের পেছনে দৌড়াতে হয়। সন্ধ্যায় বাসায় এসেও শান্তি নেই। প্লেস্টেশনে ফিফা, না হয় কল অব ডিউটি প্র্যাকটিস করতে হয়। সামনেই টুর্নামেন্ট, সেখানে চ্যাম্পিয়ন না হলে মা-বাবার টেরাবাইট টেরাবাইট মানসম্মান কমে একেবারে কিলোবাইট হয়ে যাবে। এত খেলা যে দম ফেলারও সময় পাই না। একটু চুপচাপ বসে থাকতে দেখলেই মা একদম শিকারি চিলের মতো ছুটে এসে বলেন, ‘বসে আছো যে? টেম্পল রান টু একটু দেখ না। অ্যাংরি বার্ডসের নতুন স্টেজ পার করার চেষ্টা করো, সাবওয়ে সার্ফারটা একটু রিভিশন দাও।’ বলেই মা তাঁর ফার্মভিলের কুমড়াখেত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এদিকে আমার জীবন শেষ। বারবিকিউ কপাল হলে যা হয়!
কিন্তু কয়েক দিন পর এমন একটা ঘটনা ঘটল যে আমি রাজনীতিবিদের মতো পল্টি খেলাম। হঠাৎই খেলাধুলা আমার খুব ভালো লাগতে শুরু করল। ইদানীং দিন-রাত আমি খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। ফেসবুকেও নিয়মিত স্ট্যাটাস দিই। ফ্রেন্ড-ফলোয়ারও বেড়েছে অনেক। এই হঠাৎ পরিবর্তনে মা-বাবা দারুণ খুশি।
গর্বে তাঁদের মাটিতে পা পড়ে না। ফেসবুকে কেউ যখন তাঁদের নক করে বলে, ‘প্লিজ, আংকেল, আপনার ছেলেকে বলেন আমার রিকোয়েস্টটা অ্যাকসেপ্ট করতে। আমি ওনার ভক্ত।’ তখন তাঁরা খুশিতে ইনবক্সের স্ক্রিনশট প্রিন্ট দিয়ে ড্রয়িংরুমে ঝুলিয়ে রাখেন। কিন্তু এই পরিবর্তনের কারণটা শুধু আমি জানি। আসলে তানিয়ার প্রেমে পড়ার পর থেকে আমার এই পরিবর্তন। তানিয়ার ফেসবুক ইনফো দেখে যখন জানলাম, খেলাধুলা, ফেসবুকই ওর পছন্দ, তখন থেকেই নিজেকে বদলে ফেললাম। এখন প্রায়ই ও আমার স্ট্যাটাস শেয়ার দেয়, মাঠে গিয়ে আমার খেলা দেখে। এমনকি ফার্মভিলের খেতে পানি দেওয়ার জন্য মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে রাখে। শুধু স্ট্যাটাস নয়, কদিন পর বাকি জীবনটাও হয়তো আমার সঙ্গেই শেয়ার করবে ও।
তবে ইদানীং দেখছি মা-বাবার কী যেন হয়েছে। তাঁরা আর আমাকে খেলতে বলেন না। নিজেরাও আগের মতো গেমটেম খেলেন না। আজ কী হলো কে জানে, সকালে উঠে দেখি বাবা বসে পত্রিকা পড়ছেন। আমি ভীষণ অবাক হলাম। দ্রুত নাশতা খেয়ে ব্যাট নিয়ে খেলতে বের হব, হঠাৎ বাবার গম্ভীর গলা—
কোথায় যাচ্ছ?
মাঠে। গুরুত্বপূর্ণ খেলা আছে।
মাঠে যাওয়া যাবে না। খেলাধুলা বাদ। যাও, ঘরে গিয়ে পড়তে বসো।
মানে কী?
সারা দিন শুধু খেলা আর ফেসবুক। ফাজলামো পেয়েছ? কত কিছু পড়ার আছে; জীববিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, রসায়ন...কত মজার বিষয়! এগুলো তো একবারও পড়তে দেখি না। বেয়াদব। তাকিয়ে কী দেখছ? যাও পড়তে বসো!
পড়তে বসব কেন? আমি খেলাধুলা করতে চাই। লেখাপড়া ভালো লাগে না।
এমন সময় মা বললেন, ‘দেখেছ, তোমার ছেলে কী রকম বেয়াদবের মতো মুখে মুখে তর্ক করছে? তার নাকি লেখাপড়া ভালো লাগে না। আরে তোর ভালো লাগা দিয়ে কী দুনিয়ে চলবে? ওগো, পাঁচ মিনিট হয়ে গেল এখনো ওকে চড় দিলে না? ও যে বেয়াদবি করেছে, তাতে তো দুই মিনিটের মধ্যেই কয়েকটা চড় দেওয়া উচিত ছিল।’
সেই থেকে আমার দুর্দশার শুরু। এখন সারা দিন লেখাপড়া করতে করতে আমার জীবন বের হয়ে যাচ্ছে। খেলাধুলা, ফেসবুক সব বন্ধ। সকাল-বিকেল কোচিং, সন্ধ্যায় প্রাইভেট, এক্সাম, অ্যাসাইনমেন্ট—সব মিলিয়ে পুরা ছারখার অবস্থা। মা-বাবা এতেই খুশি।
পাশের বাসার আন্টি যখন বলেন, আপনার ছেলেটা কত ভালো, দিন-রাত লেখাপড়া নিয়ে আছে, তখন গর্বে তাঁরা ফুলে-ফেঁপে একাকার হয়ে যান। মা-বাবারা সন্তানের ভালো চান, কিন্তু সেই ভালোটা হতে হবে তাঁদের ইচ্ছামতো। সন্তানদের কোনো ইচ্ছা থাকতে নেই। তাই মা-বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে করতেই আমার জীবন ভাজা ভাজা হয়ে গেল। আমি যখন বাবা হব, তখন আমার ইচ্ছা আবার সন্তানের ওপর চাপাতে হবে। এটাই বোধ হয় নিয়ম।
আহা, তানিয়াকে দেখি না কত দিন! ও এখন অন্যের স্ট্যাটাস শেয়ার দেয়। বারবিকিউ কপাল হলে যা হয় আর কি!
No comments:
Post a Comment