Thursday, July 4, 2013

ছেলেবেলায় আমি আর আমার এক বন্ধু স্কুলে যেতে প্রায়ই বিপদে পড়তাম।

ছেলেবেলায় আমি আর আমার এক বন্ধু স্কুলে যেতে প্রায়ই বিপদে পড়তাম। বিপদের কারণ ছিল রাজহংসের পাল। কী কারণে যেন আমাদের দেখলেই তেড়ে আসত তারা। আমরা চিৎকার করে দৌড়ে পালাতাম। পোষা হাঁসের দল নিয়ে বিপদে থাকতেন হাঁসের মালিক মাফু ভাইও। আমাদের দেখে তেড়ে এলেও বুনো বিড়াল আর শিয়ালের কাছে হাঁসগুলো ছিল অসহায়। প্রায়ই মফু ভাইয়ের দু-একটা হাঁস খোয়া যেত। একদিকে হাঁস হারানো, অন্যদিকে হাঁস নিয়ে প্রতিবেশীদের নানামুখী অভিযোগ—সব মিলিয়ে বেচারা মফু ভাই অস্থির। হাঁস বাঁচাতে তিনি নিজেই হাঁসের ঘরের পাশে ঘুমানো শুরু করলেন। কিন্তু লাভ হলো না বিশেষ। তাঁর ঘুমের ঘোরেই চলত বুনো বিড়াল আর শিয়ালের ধ্বংসযজ্ঞ। তারপর মফু ভাই নামলেন বুনো বিড়াল আর শিয়াল ঠেকানোর অভিযানে। চলল কঠিন নজরদারি। একদিন গভীর রাতে মফু ভাইয়ের ঘর থেকে চিৎকার, ‘আসো আসো, সবাই দেখো, শিয়ালের কী হাল করেছি। হাঁস খাওয়ার মজা টের পাইয়ে দিয়েছি।’ চিৎকার শুনে সবাই হ্যাজাক, হারিকেন নিয়ে ছুটে এল। তারপর দরজা খুলতেই সবাই তো হতবাক। কারণ, তিনি অন্ধকারে ঘুমের ঘোরে একটা রাজহাঁসকে শিয়াল ভেবে এমন রামধোলাই করেছেন যে, হাঁসটি আর চেনার উপায় নেই। এর কিছুদিন পর মফু ভাই হাঁসগুলো বিক্রি করে দেন।
মিলু

No comments:

Post a Comment