সাদা ভূত
ইন্টার্নির প্রথম দিকের কথা। একদিন নাইট ডিউটি ফাঁকি দিয়ে আমরা দুই বন্ধু রাত দুইটার দিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। লোডশেডিং চলছিল। তবে জোছনার আলোয় মোটামুটি আবছা দেখা যাচ্ছিল সবকিছু। এ রকম সময় সামনে দেখি একটা লোক আমাদের দেখে ভূত ভূত বলে ঝেড়ে দৌড় দিল। একটু চুপ করে থেকে দুজন হাসা শুরু করলাম। আসলে আমরা অ্যাপ্রোনগুলো খুলে আসিনি। হয়তো একদিন এই লোকটাই রেডিওর কোনো ভূতের অনুষ্ঠানে গিয়ে বলবে, এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকরতম অভিজ্ঞতা।
সাখাওয়াত হোসেন
শ্রেণী অনুযায়ী প্রেম
পঞ্চম শ্রেণী: এখনই কিসের প্রেম? ক্লাস নাইন-টেনে ওঠো। দেখবা, প্রেমই তোমার পিছে দৌড়াবে।
ক্লাস নাইন: এই দুইটা বছর পড়ো। কলেজে খালি ওঠ বাপ। দেখবি, তুই হবি সার্থক দেবদাস।
কলেজ: দেখ, ভার্সিটির আগে কিন্তু প্রেমটেম করিস না। ভার্সিটিতে উঠলে তুই করতে না চাইলেও আমি তোকে রিকোয়েস্ট করব করতে।
ভার্সিটি: চাকরি করতে হলে পড়তে হবে। আর পড়তে হলে কী করা যাবে না? অবশ্যই প্রেম করা যাবে না। কিন্তু হ্যাঁ, ভালো চাকরি পেলে কিন্তু প্রেমের কোনো অভাব হবে না। তুমি ভালো করেই জানো।
অতঃপর প্রেম আসিবার পূর্বেই এক প্রেমিকের মৃত্যু হলো।
তানভীর মাহমুদুল হাসান
চিরন্তন বাণী
দুটি কিংবা তিনটি নয়
একটির বেশি আর নয়।
সন্তান নয়, ফেসবুক অ্যাকাউন্টের কথা বলছিলাম আর কি!
রিফাত কবীর
নাম
আমার পুরো নাম নুর-ই-তাসনিয়া প্রিয়তা। এসএসসির প্রথম ব্যবহারিক পরীক্ষা ছিল রসায়ন। তাই অনেক নার্ভাস ছিলাম। আমার ভাগ্যে পড়ল কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরীক্ষা। খুব মনোযোগ দিয়ে লিখতে লিখতেই মাঝখান দিয়ে সাইনের কাগজটায় সাইন করলাম। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ স্যার বলে উঠলেন, ‘অ্যা, এখানে নুর-ই-অক্সাইডটা কে?’
নুর-ই-তাসনিয়া
পিচ্চি
আমার এক বান্ধবীর ছোট ভাই, সাড়ে তিন কি চার বছর বয়স। মাত্র প্লে-তে ভর্তি করানো হয়েছে, তো একদিন গেলাম পিচ্চির সঙ্গে ভাব করতে, প্রথমেই সেই ঐতিহাসিক প্রশ্ন,
: বাবু, তুমি মাকে বেশি ভালোবাসো?
: আমি তো আমার গার্লফ্রেন্ডকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।
পিচ্চির এই গম্ভীর মুখের সরল স্বীকারোক্তির পর আর কী বলা যায়, মাথায় এল না। সামলে নিয়ে আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘ও আচ্ছা, স্কুলে যাও না? কেমন লাগে স্কুল?’
: খুব ভালো
: বাহ্! কী কী করো স্কুলে?
: কী আবার? নেহার সঙ্গে গল্প করি। ও-ই তো আমার গার্লফ্রেন্ড।
: তোমাদের টিচার কেমন পড়ায়?
: তা তো জানি না, কিন্তু আমাদের মিস খুব সুন্দরী।
: ও তাই? তো বাবু একটা ছড়া শোনাও তো?
: ছড়া পারি না তো, গান পারি।
: গান? গাও তো শুনি।
: হাম তেরে বিন আব রেহ নেহি সাকতে...
এই পিচ্চি আমার দুনিয়ারই তো? না ভুল করে প্যারালাল ইউনিভার্সে ঢুকে গেছে, বুঝলাম না!
মাইশা সামিহা
উপহার
দেশের একটা নামকরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে নতুন লাল-সবুজ স্টাফ বাস চোখে পড়ল। বাসের নামটা পড়েই আক্কেলগুড়ুম! ওমা! বাসের নাম কোথায়?! ওপরে বড় বড় করে লেখা: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার। উপহার দিয়ে ওটা এভাবে লিখে রাখার মানে কী?
যা হোক, যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী এভাবে নিজের দেওয়া উপহারে নাম লিখে রাখেন, আমি তো নস্যি!
এখন থেকে যাকে গিফট দেব (বেশি কাউকে দিই না অবশ্য) বড় করে লিখে কিংবা খোদাই করে দেব: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক বিদিতার উপহার।
বিদিতা জামান
সিরিয়াল কিলার
বাংলাদেশের শীর্ষ সিরিয়াল কিলার—জি বাংলা, স্টার প্লাস, স্টার জলসা, ইটিভি বাংলা। সিরিয়াল দেখিয়ে বাংলাদেশকে কিল করছে যারা।
No comments:
Post a Comment