দরজা খুলেই তো অতিথিদের নিয়ে যেতে হবে বসার ঘরে। নিজেও বাড়িতে ঢুকেই হয়তো দুদণ্ড জিরিয়ে নেন এ ঘরের সোফাতেই। পর্দা, আসবাব, দেয়ালের রং, নানা রকম শোপিস—সব মিলেই কিন্তু সেজে উঠবে এই ঘরটি। এসবের সামঞ্জস্যে নিজের রুচি অনুযায়ী সাজিয়ে তুলুন এই ঘরটি। তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গুলশান নাসরীন চৌধুরী।‘বসার ঘরের সজ্জার বড় একটা অংশ জুড়ে থাকে আসবাব। সময় এবং ব্যবহারকারীদের রুচি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে আসবাবের ধরন। বাহারি নকশা, ব্যবহারে আরামদায়ক এমন নিত্যনতুন আসবাবই আজকাল সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য।’ বলেন গুলশান নাসরীন চৌধুরী। বসার ঘরে বসার জায়গাটার কথাই আগে মাথায় আসে। আজকাল নিচু ধাঁচের সোফার কদর বেশি। এতে ব্যবহূত হচ্ছে নানা আকারের বাহারি কুশন। অনেকেই বসার ঘরের দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে সোফার কুশন ব্যবহার করে থাকেন। আবার ম্যাট্রেস দিয়েও বসার ব্যবস্থা করা যায়।আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে চা-কফি তো থাকবেই। নানা ধরনের কফি টেবিল বা টি-টেবিল থাকতে পারে সোফার পাশেই। উডকিউব কিংবা উডব্লক সাইডটেবিলের মতো আসবাবগুলো ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকায় বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
আধুনিক বসার ঘরের অন্দরসজ্জায় দেয়াল ঘেঁসে বড় আকারের ওয়াল ইউনিট, মিডিয়া স্টোরেজ কিংবা মিডিয়া কেবিনেট ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। টেলিভিশন, আপনজনের সঙ্গে তোলা ছবির বাঁধানো ফ্রেম, পছন্দের কিছু বই, সিডি কিংবা নানা রকম শোপিসের সংগ্রহ—এসবই একবারে সাজিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ওয়াল ইউনিট, মিডিয়াস্টোরেজ কিংবা মিডিয়া কেবিনেটের জুড়ি মেলা ভার। ঘরের কোণগুলোও সাজিয়ে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন কর্নার কেবিনেট।
বসার ঘরের আকার ছোট হলে দেয়ালে হালকা রং কিংবা মাঝারি আকার হলে একটু গাঢ় রং ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেকেই আবার পুরো ঘরে একটি রং ব্যবহার না করে দেয়ালে নানারকম টেক্সচার ব্যবহার করছেন। এতে অন্দরসজ্জায় একটু ভিন্নতা চলে আসে।
বসার ঘরের অন্দরসজ্জায় কার্পেট এবং কার্টেন (পর্দা) খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান। অনেকেই আসবাব এবং দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলে পর্দা ও কার্পেট ব্যবহার করেন। ফলে পুরো বসার ঘরটিতেই চলে আসে সামঞ্জস্যের আবহ। আবার দেখা যায় বৈপরীত্য তুলে ধরতে পর্দা এবং কার্পেটের রং হয়ে যায় দেয়াল কিংবা আসবাবের রঙের ঠিক বিপরীত।
বসার ঘরে সজ্জায় আলোর ব্যবহারে যত্ন নিন। নানা রকম ল্যাম্পশেড, ঝাড়বাতির ব্যবহার ঘরের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে দেবে অনায়াসে। তবে অন্য সব আসবাবের সঙ্গে আলোর ব্যবহারে যেন সামঞ্জস্য থাকে। ডিফিউজ লাইটিং আজকাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ ধরনের আলোকসজ্জা স্নিগ্ধ, নরম ধাঁচের হয়। ফলে ঘরে ঢুকে বেশ প্রশান্তি অনুভব হয়।
No comments:
Post a Comment