দুধের প্রধান উপাদান মূলত ২টি- ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি। এই ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্ত আর দাঁতকে মজবুত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ভিটামিন ডি হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
দোয়ানোর সময় দুধ কিন্তু যথেষ্টই গরম থাকে, ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ মজা দেখ, সেটা সংরক্ষণ করতে হয় খুবই ঠাণ্ডা স্থানে, মোটে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
তুমি যদি কোন গরুর থেকে ১০ লিটার দুধ চাও, তাকে প্রতিদিন ২০ লিটার পানি খাওয়াতে হবে। মানে, দুধ বানাতে দ্বিগুণ পানি লাগে!
ডাক্তারদের মতে, প্রত্যেক মানুষের দিনে ২ গ্লাস দুধ খাওয়া উচিত।
সাধারণ দুধ আর চকলেট দুধের মূল উপাদানে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কেবল চকলেট দুধে কিছু ক্যালরি বেশি থাকে, যেগুলো চকলেট দুধের স্বাদকে মিষ্টি বানিয়ে দেয়।
আলফ্রেড নোবেল ডিনামাইটের আবিষ্কারক হিসেবেই বেশি পরিচিত। মজার বিষয় হচ্ছে, তার মোট আবিষ্কার ৩৫৫টি!
প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে নোবেল পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
আগে অনেক অঞ্চলের মানুষই স্টিংরে মাছের লেজের পেছনের সরু ধারালো অংশকে বর্শা হিসেবে ব্যবহার করতো!
তোমার চোখদুটোকে পৃথকভাবে নড়াচড়া করাতে পারবে? তুমি না পারলেও সিহর্স বা সিন্ধুঘোটকরা কিন্তু তা করতে পারে!
সিহর্স তো এমনিতেই খুদে প্রজাতির মাছ। আর আটলান্টিক মহাসাগরে ওদের একটা বামন প্রজাতিও আছে। এই বামন সিন্ধুঘোটকরা লম্বায় মোটে দেড় ইঞ্চি হয়!
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে তো চেনো? ছোট থাকতে খেয়ালের বশে তিনি একবার পুরোদস্তুর সন্ন্যাসী বনে গিয়েছিলেন!
বাবা-মা মারা গেলে তিনি কাজের খোঁজে বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বেশ কয়েকবছর সরকারি কেরানির চাকরি করেন।
শরৎচন্দ্রের উপন্যাস ও ছোটগল্পগুলো থেকে ৫০টির মতো সিনেমা বানানো হয়েছে।
বিষ্ণু প্রভাকর নামের এক হিন্দি লেখক হিন্দিতেই তার একটি জীবনী লিখেছেন, নাম ‘আওয়ারা মাসিহা’ (আমাদের পথপ্রদর্শক)।
শরৎচন্দ্র তার জীবনে যেসব স্থানে থেকেছেন, তার জীবনী বই লেখার জন্য বিষ্ণু প্রভাকর প্রায় ১৪ বছর সেসব জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন।
লন্ডন অলিম্পিকে মোট কয়টা দেশ অংশগ্রহণ করছে জানো? ২০৪টা।
লন্ডন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করছে প্রায় সাড়ে দশ হাজার প্রতিযোগী। তারা ২৬টা খেলায় মোট ৩০২টা ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন।
লন্ডন অলিম্পিকের লোগো ডিজাইন করেছেন উল্ফ ওলিন্স। লোগোটি প্রকাশ করা হয় ২০০৭ সালের ৪ জুন।
লন্ডন অলিম্পিকের মাস্কট ওয়েনলক আর মেন্ডেভিলে আসলে দুটি অ্যানিমেটেড স্টিলের টুকরো!
এখন পর্যন্ত ইউরো জেতা সব দলই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বদেশি কোচ নিয়ে খেলে। একমাত্র ব্যতিক্রম গ্রিস। ওরা ২০০৪ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মান কোচ অটো রেহাগেলের প্রশিক্ষণে খেলে।
ইউরোতে সবচেয়ে বেশি গোল দেয়ার রেকর্ডটি মিশেল পাটিনির, ৯ গোল। আর ওই গোলগুলো সবই তিনি করেছেন আবার একই টুর্নামেন্টে, ১৯৮৪ সালে। ৯ গোল দেয়ার পথে তিনি দুটো হ্যাটট্রিকও করেন। আর কেউই ইউরোতে একটির বেশি হ্যাটট্রিক করতে পারেননি।
ইউরোতে সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জার্মানি, ৩ বার। ইউরোতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচও খেলেছে ওরা, ৩৮টি ম্যাচ।
২০১২ ইউরোতে আয়ারল্যান্ডের যে দলটি গিয়েছে, সেই দলের কোনো খেলোয়াড়-ই আয়ারল্যান্ডের লিগে খেলে না। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের সবাই আবার ইংলিশ লিগেই খেলে।
২০১২ ইউরোর সব দলের খেলোয়াড় মিলিয়ে মোটে দুইজন ইউরোপের বাইরের কোনো ক্লাবে খেলে। আয়ারল্যান্ডের রবি কিন খেলে আমেরিকার এলএ গ্যালাক্সিতে, আর সুইডিশ ক্রিশ্চিয়ান উইলহেমসন সৌদি আরবের আল-হিলাল ক্লাবে।
১৯৬৮ ইউরোর সেমিফাইনালে সোভিয়েত ইউনিয়ন (এখনকার রাশিয়া) আর ইটালির ম্যাচটি ড্র হলে ম্যাচের বিজয়ী দল নির্ধারণে টস করা হয়! টসে জিতে ফাইনালে চলে যায় ইটালি। পরে ফাইনালেও যুগোশাভিয়ার সঙ্গে ইতালি ড্র করলে টস না করে ম্যাচটি আবারও আয়োজন করা হয়। দ্বিতীয় ফাইনাল জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ইটালি!
১৯৯২ ইউরোতে ডেনমার্ক বাছাইপর্ব পার হতে ব্যর্থ হয়। পরে যুদ্ধ করার জন্য যুগোশাভিয়াকে বাদ দেয়া হলে সুযোগ পেয়ে যায় ডেনমার্ক। পরে সে আসরে চ্যাম্পিয়নও হয় ডেনমার্ক!
ঘনাদার মেসের আরেক সদস্য শিবু। লেখক প্রেমেন্দ্র মিত্র এই শিবু নামটা বিখ্যাত রম্যলেখক শিবরাম চক্রবর্তীর নামে রেখেছেন বলে ধারণা করা হয়।
‘কিশোর জ্ঞানবিজ্ঞান’ নামের পত্রিকাটিতে ঘনাদার ৫টি গল্প নিয়ে কমিকসও প্রকাশ করা হয়েছিলো। গল্পগুলি হচ্ছে ‘মশা’, ‘তেল’, ‘হাঁস’, ‘মাটি’ ও ‘মঙ্গল গ্রহে ঘনাদা’। অনিল কর্মকারের ভাবনায় কমিকসগুলোতে এঁকেছিলেন গৌতম কর্মকার।
ঘনাদার দুইটি গল্প ‘মশা’ আর ‘নুড়ি’ অবলম্বনে রেডিও নাটকও বানানো হয়েছে।
নাউরু পৃথিবীর পৃথিবীর তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ, আয়তন মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার; যেখানে আমাদের ঢাকা শহরেরই আয়তন ৩৬০ বর্গকিলোমিটার!
নাউরু আসলে একটা দ্বীপরাষ্ট্র। এর চারপাশ দিয়ে একটা রিং রোড বানানো আছে। এই রিং রোড ধরে হাঁটা দিলে তুমি ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই পুরো দেশটা ঘুরে আসতে পারবে!
পুরো নাউরুতে ট্রাফিক সিগন্যাল মাত্র একটা!
নাউরুর একমাত্র ট্রাফিক সিগন্যালটি কোথায়? রিং রোডের যে অংশে দেশের একমাত্র বিমানবন্দরটি অবস্থিত, সেখানে।
নাউরুর একমাত্র ট্রাফিক সিগন্যালটি কোথায়? রিং রোডের যে অংশে দেশের একমাত্র বিমানবন্দরটি অবস্থিত, সেখানে।
এই ট্রাফিক সিগন্যালটিও সবসময় ব্যবহার করতে হয় না। কেবল যখন একমাত্র বিমানটি উড্ডয়ন করে, বা অবতরণ করে, তখনই সিগন্যাল দিয়ে গাড়িগুলোকে দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়!
ইঁদুর আর ঘোড়া- এদের মধ্যে মিল কোথায় বলতে পারো? এরা কেউ-ই বমি করতে পারেনা!
উটপাখির চোখ আকারে ওদের মস্তিষ্কের চেয়েও বড়!
বাঘেদের গায়ে যে ডোরাকাটা দাগ আছে, সেটা শুধু ওদের রঙিন লোমের কারণেই নয়; ওদের গায়ের চামড়াও ডোরাকাটা রঙের!
ইমু পাখি আর ক্যাঙ্গারু- কেউ-ই পেছনের দিকে হাঁটতে পারেনা।
বিড়াল মুখ দিয়ে প্রায় একশ’ ধরনের শব্দ করতে পারলেও কুকুর পারে মোটে দশ রকমের শব্দ করতে।
শামুক কতোদিন ঘুমায় জানো? প্রায় তিন বছর ধরে!
দাবার ‘চেকমেট’ শব্দটি এসেছে পার্সিয়ান ‘শাহ মাত’ শব্দ থেকে, মানে ‘রাজা মারা গেছে’।
জানো, আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথ সড়ক আছে, যশোর জেলায়। যশোরের মনিহার সিনেমা হল থেকে চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির নামকরণ করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ সড়ক।
রবীন্দ্রনাথের নামে নামাঙ্কিত আরেকটা জায়গার নাম বলো তো দেখি? ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরেবার। সেখানে একটা মুক্তমঞ্চও আছে, যেখানে প্রায়ই নানা অনুষ্ঠান হয়।
রবীন্দ্র সরোবর ভারতেও একটা আছে। কলকাতার সবচেয়ে বড়ো হ্রদটারই নামকরণ করা হয়েছে কবিগুরুর নামে।
কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের নামে নামকরণ করা হয়েছে আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের; হাওড়া- কলকাতা শহর দু’টির সংযোগ সেতুর নাম রবীন্দ্র সেতু। ওখানকার একটা বিখ্যাত সিনেমা হলের ভবনের নাম দেয়া হয়েছে রবীন্দ্রসদন, ওটা এখন ওখানকার তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অফিস।
পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কারেরও নামকরণ করা হয়েছে কবিগুরুর নামে- রবীন্দ্র পুরস্কার।
টিউলিপ পেঁয়াজের চাচাতো ভাই। তাই পেঁয়াজের ফুল যেরকম অনেকটাই টিউলিপের মতো, তেমনি টিউলিপ গাছের গোড়াতেও পেঁয়াজের মতো একটা কন্দ হয়। ওকে বলে টিউলিপ বাল্ব।
১৬ শতকে নেদারল্যান্ডে (তখনকার হল্যান্ডে) এই টিউলিপ বাল্বের দাম এতোই বেড়ে গিয়েছিল, একেকটা টিউলিপ বাল্ব সমপরিমাণ সোনার চেয়েও দামি হয়ে গিয়েছিল!
এই টিউলিপ বাল্বকে তুমিও কিন্তু বেশ কাজে লাগাতে পারো; রান্নায় পেঁয়াজের বদলে ব্যবহার করতে পারো!
সূর্যমুখী ফুল সারাদিন সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। মানে সকালে এটি থাকে পুবমুখী, আর সূর্যের সাথে সাথে তো ক্রমাগত পশ্চিমমুখী হতে থাকে।
সূর্যমুখীর বিপরীত স্বভাবের ফুলগুলোকে বলে মুনফ্লাওয়ার। এই ফুলগুলো রাতে ফোটে, সকাল হওয়ার আগেই ঝরে পড়ে।
মুনফ্লাওয়ারগুলোর মধ্যে নাইট-ব্লুমিং সিরিয়াস নামে একটা ফুল আবার একটু বেশিই স্পেশাল। এই ফুলটা বছরে একবার একরাতের জন্যই ফোটে!
সারা পৃথিবীতে প্রায় ১৫ হাজার প্রজাতির গোলাপের চাষ হয়!
জাপানের জাতীয় প্রতীক যে ক্রিসেনথিমাম ফুল, সে তো জানোই। ওরা কিন্তু প্রতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রিসেনথিমাম দিবসও পালন করে।
টাইটানিকের সব ঘরেই বৈদ্যুতিক বাতি ছিল। জাহাজে মোট বাতি ছিল প্রায় ১০ হাজার!
টাইটানিকে গরম পানির সুবিধা সম্পন্ন সুইমিং পুল তো ছিলই, আরো ছিল জিম, দু’টো লাইব্রেরি আর দু’টো সেলুন!
খাওয়ার জন্য টাইটানিকে কেমন খাবার নেওয়া হয়েছিল, তার নমুনা দেখো- ৪০ টন আলু, সাড়ে তিন হাজার পাউন্ড পেঁয়াজ, ৩৬ হাজার আপেল!
প্রতিদিন টাইটানিকের যাত্রী আর ক্রুরা মিলে প্রায় ১৪ হাজার গ্যালন পানি খেত!
হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের জন্মদিনটিকে ইন্টারন্যাশনাল চিল্ড্রেন’স বুক ডে হিসেবে পালন করা হয়। দিবসটি পালন করে ‘ইন্টারন্যাশনাল বোর্ড অফ বুকস ফর ইয়াং পিপল’ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন।
‘ইন্টারন্যাশনাল বোর্ড অফ বুকস ফর ইয়াং পিপল’ নামের সংগঠনটি হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন অ্যাওয়ার্ড নামে একটা অ্যাওয়ার্ডও প্রদান করে। অ্যাওয়ার্ডটিকে বলা হয় শিশুসাহিত্যের নোবেল।
হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন অ্যাওয়ার্ড শুধু শিশুসাহিত্যিককেই দেয়া হয় না, সঙ্গে ছোটদের বইয়ের একজন ইলাস্ট্রেটর মানে আঁকিয়েকেও দেয়া হয়।
হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন লিটারেচার অ্যাওয়ার্ড নামে আরো একটি অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় ডেনমার্ক থেকে। এই অ্যাওয়ার্ডের আর্থিক মূল্যও অনেক, ডেনমার্কের মুদ্রায় ৫ লাখ ক্রোন (প্রায় ৭২ লাখ টাকা)।
হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন লিটারেচার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা শুরু হয়েছে ২০১০ সাল থেকে। আর প্রথমবার এই অ্যাওয়ার্ডটি জিতে নেন ‘হ্যারি পটার’-এর লেখিকা জে কে রওলিং।
পৃথিবীতে মোট বনভূমির পরিমাণ কতো জানো? পৃথিবীর মোট আয়তনের ৯.৪%।
পুরো পৃথিবীকে হিসেবে না নিয়ে যদি শুধু স্থলভাগের হিসেব করা হয়, তাহলে বনভূমির পরিমাণটা দাঁড়ায় ৩০%।
আগে বনভূমির মোট পরিমাণ আরো অনেক বেশি ছিল। মানুষ বন কেটে উজাড় করতে শুরু করার আগে মোট বনভূমি ছিল স্থলভাগের প্রায় ৫০%!
পাইয়ের কথা জানো তোমরা? ঐ যে, গণিতের ধ্রুবক। এই পাইয়ের মান কিন্তু এখনো কেউ পুরোপুরি নির্ণয় করতে পারেনি।
গণিতের এই পাইকে কিন্তু যেন-তেন ভেবো না। এই পাইয়ের জন্য কিন্তু একটা বিশেষ দিবসই পালিত হয়- পাই দিবস!
পাইয়ের মানের প্রথম অংশ ৩.১৪, তাই না? তাই পাই দিবসও মার্চের ১৪ তারিখ (৩ নম্বর মাসের ১৪ তারিখ)।
পাইকে নিয়ে কিন্তু অনেকে আরো একটা দিবসও পালন করে- ২২ জুলাই। আরে, ভগ্নাংশে প্রকাশ করলে পাই যে ২২/৭-এর কাছাকাছি মান হয়। দিন-মাসের হিসেব করলে তা হয় ২২ জুলাই!
১৪ মার্চ পাই দিবস পালন করা শুরু করেন ল্যারি শ’। তিনি স্যান ফ্রান্সিসকো এক্সপ্লোরেটোরিয়ামের একজন পদার্থবিদ।
২০০৪ সালের পাই দিবসে ডেনিয়েল টেমেট নামের এক শিক্ষাবিদ ভীষণ এক কাজ করেছিলেন। তিনি দশমিকের পরে ২২,৫১৪ ঘর পর্যন্ত পাইয়ের মান পড়ে শুনিয়েছিলেন!
কিছু দেশের পতাকার ডাকনাম আছে। যেমন- বৃটেনের পতাকার নাম ইউনিয়ন জ্যাক, তারপর গ্রিসের পতাকার নাম দ্য ব্লু-এন্ড-হোয়াইট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার ডাকনাম আবার দু’টি- দ্য স্টার্স এন্ড স্ট্রাইপস এবং ওল্ড গ্লোরি।
পতাকা দিয়ে আকারে-ইঙ্গিতে কথা বলার একটা বিশেষ ব্যবস্থাও আছে, ভাষা না মিললেও যাতে জরুরি ভাব বিনিময় করা যায়, তার জন্যে। এই ব্যবস্থার নাম ‘সেমাফোর’।
বিপিএলের সফলতম উইকেট কিপার কে জানো? খুলনার সগীর হোসেন। চারটা ক্যাচ আর চারটা স্ট্যাম্পিং মিলিয়ে ওর ডিসমিসাল মোট আটটা।
সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরে পার্পল রঙের ক্যাপটি মাথায় চড়িয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। পুরো টুর্নামেন্টে তিনি মোট নয়টি ক্যাচ ধরেছেন।
রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় খুলনার, ৬৯ রানে। আর উইকেটের হিসেবে বরিশালের, পুরো ১০ উইকেট হাতে রেখেই। আর দুইটি ম্যাচেরই পরাজিত দল সিলেট।
সবচেয়ে বেশি রানের ম্যাচটি খেলেছে ঢাকা আর বরিশাল। ৩৯৫ রানের ম্যাচটি জিতেছিল ঢাকা।
বিপিএল-এ সেঞ্চুরি হয়েছে মোট চারটি। এর দু’টিই ক্রিস গেইলের। বাকি দু’টির একটি আবার আরেক ক্যারিবিয়ান ডোয়াইন স্মিথের। অন্য সেঞ্চুরিটি পাকিস্তানি আহমেদ শেহজাদের।
সবচেয়ে বড় জুটিটি গড়েছিলেন ক্রিস গেইল আর আহমেদ শেহজাদ, ১৬৭ রানের।
বিপিএলে সবচেয়ে বেশি ছক্কা কার, তা তো জানোই। মাত্র পাঁচ ম্যাচেই ২৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ক্রিস গেইল। আর সবচেয়ে বেশি চার আহমেদ শেহজাদের, ৪৬টি।
পুরো টুর্নামেন্টে সবচেয়ে হিসেবি বোলিং করেছে মার্শাল আইয়ুব। গড়ে প্রতি ওভারে ও মাত্র পাঁচটি করে রান দিয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বাংলা একাডেমী চত্বরে প্রথম বই বিক্রি করতে শুরু করেন চিত্তরঞ্জন সাহা।
চিত্তরঞ্জন সাহার প্রকাশনীর নাম ‘মুক্তধারা’।
বাংলা একাডেমী প্রথম বইমেলার দয়িত্ব গ্রহণ করে ১৯৭৮ সালে।
বইমেলাটির নাম ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ রাখা হয় ১৯৮৪ সালে।
সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট ১২ সেকেন্ড।
পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের সময় লাগে ২৭ দিন ৭ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ১১.৬ সেকেন্ড।
পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের ২৭ দিন ৭ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ১১.৬ সেকেন্ড সময় লাগলেও চান্দ্রমাস গণনা করা হয় ২৯ দিন ৭ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ১১.৬ সেকেন্ডে!
মায়ানরা যে একটা ক্যালেন্ডার বানিয়েছিল, সে কথা তো মূল রচনাতেই পড়ে ফেলেছো। কিন্তু জানো, সেই ক্যালেন্ডার এখনো গুয়েতেমালার কিছু জনগোষ্ঠী অনুসরণ করে!
মায়ানদের ভাষাও কিন্তু এখনো মোটেও বিলুপ্ত হয়নি; বরং এখনো এই ভাষায় কথা বলে প্রায় ৬০ লাখ মায়ান আদিবাসী। ওরা মূলত গুয়েতেমালা, মেক্সিকো, বেলিজ আর হন্ডুরাসে থাকে।
১৯৯৬ সালে গুয়েতেমালায় এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু সেই দেশেই তখনো মায়ানদের ২১টি আলাদা আলাদা ভাষা আছে! মেক্সিকোতে চিহ্নিত করা গেছে তাদের আরো ৮টি আলাদা আলাদা ভাষা!
চিউয়েবল টুথব্রাশ নামে একটি মজার টুথব্রাশ আছে, যেটি দিয়ে দাঁত মাজতে পেস্ট-পানি কিচ্ছু লাগে না, মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ চাবালেই হয়! তারপর ফেলে দিলেই দাঁত একদম পরিস্কার! কিন্তু খবরদার! ওই টুথব্রাশ কিন্তু খাওয়া যায় না।
২০০৩ সালের জানুয়ারিতে আমেরিকাতে একটি জরিপ হয়, কোন কোন আবিষ্কার ছাড়া আমেরিকানরা একদিনও চলতে পারবে না- তার উপর। তাতে প্রথম আবিষ্কার হিসেবে মনোনীত হয় টুথব্রাশ!
দাঁতনকে ইংরেজিতে একটা গালভরা নামে ডাকা হয়- চিউ স্টিক।
আমরা যে টুথব্রাশ ব্যবহার করি, সেটি মূলত সিনথেটিক ব্রিসল টুথব্রাশ। পৃথিবীর প্রথম বাজারজাতকৃত সিনথেটিক ব্রিসল টুথব্রাশের নাম কি ছিল জানো? ডক্টর ওয়েস্ট’স মিরাকল টুথব্রাশ।
প্রতি ৪০০ বছরে ৯৭টা লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ থাকে।
প্রতি ৪০০ বছরে ১৩ বার লিপ ইয়ার শুরু হয় শনি, সোম আর বৃহস্পতিবার দিয়ে। সেই বছরগুলোতে ২৯ ফেব্রুয়ারি হয় যথাক্রমে রবি, মঙ্গল আর বৃহস্পতি।
১৪ বার লিপ ইয়ার শুরু হয় মঙ্গল আর বুধবার দিয়ে, আর ২৯ ফেব্রুয়ারি হয় যথাক্রমে শুক্র আর শনিবার।
বাকি ৩০টা লিপ ইয়ারের ১৫টা শুরু হয় শুক্রবার, আর ১৫টা শুরু হয় রবিবার। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি হয় সোমবার আর বুধবার।
বড়দিন উপলক্ষে কিন্তু অনেক দেশে ডাকটিকিটও প্রকাশিত হয়। আর প্রথম বড়দিন উপলক্ষ্যে ডাকটিকিট প্রকাশ করে কানাডার ডাক বিভাগ। তাতে ছিল কানাডার মানচিত্র, আর নিচে লেখা ক্রিসমাস ১৮৯৮।
তবে ওই ডাকটিকিটটা নিয়ে অনেক বিতর্কও আছে। ওটাকে বাদ দিলে বড়দিন উপলক্ষ্যে প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশ করে অস্ট্রিয়ার ডাক বিভাগ, ১৯৩৭ সালে। আর তার পরপরই ব্রাজিল আর হাঙ্গেরির ডাক বিভাগ।
১৯৪৩ সালে হাঙ্গেরি দ্বিতীয় বারের মতো বড়দিন উপলক্ষ্যে ডাকটিকিট প্রকাশ করার পর টানা ৮ বছর বড়দিনে কোনো দেশই ডাকটিকিট প্রকাশ করেনি। এই নীরবতা ভাঙ্গে কিউবার ডাক বিভাগ (১৯৫১ সালে)। আর তারপর থেকেই নিয়মিত বড়দিনে ডাকটিকিট প্রকাশ করে আসছে বিভিন্ন দেশের ডাক বিভাগ।
১৯৯০ সাল পর্যন্ত মোটমাট ১৬০টি দেশের ডাক বিভাগ বড়দিনকে সামনে রেখে প্রকাশ করেছে ডাকটিকিট বা স্ট্যাম্প।
সবচেয়ে বেশিবার এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কে বলো তো? ল্যান্স আর্মস্ট্রং, মোটমাট ৭ বার। আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে আমেরিকার এই সাইক্লিস্টকে কিন্তু আরো একটা যুদ্ধে জিততে হয়েছে; ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে।
এই প্রতিযোগিতাটি প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় ১৯০৩ সালে। আর সেই প্রথম ট্যুর ডি ফ্রান্সে জয়ী হন ফরাসি সাইক্লিস্ট মরিস গারিন।
সাইকেলের যে রেস হয়, সে তো তোমরা সবাই-ই জানো। সবচেয়ে বিখ্যাত সাইকেল রেসের নাম কি জানো? ট্যুর ডি ফ্রান্স। এই বছরের জুলাইতে বসেছিলো প্রতিযোগিতাটির ৯৮ তম আসর।
আমেরিকার শহরের মানুষ খুব কমই সাইকেলে চড়ে; হিসেব করলে তা ১ শতাংশও হবে কিনা সন্দেহ। অনেকটা আমাদের দেশের ঢাকা শহরের মতো আরকি! তুলনায় ইউরোপের শহরে মানুষ অনেক বেশি সাইকেলে চড়ে বেড়ায়। এই যেমন ইতালির শহরগুলোর যানবাহনের ৫%-ই সাইকেল। আর নেদারল্যান্ডে তো সংখ্যাটা আরো বেশি, প্রায় ৩০%। ওখানে নাকি প্রতি ৮ জন মানুষের মধ্যে ৭ জনেরই সাইকেল আছে!
বাইসাইকেল শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৮৬০ সালের দিকে, ফ্রান্সে।
প্লেনের আবিষ্কারক দুই ভাইয়ের কথা মনে আছে, অরভিল রাইট আর উইলবার রাইট? ওদের কিন্তু একটা সাইকেল মেরামতের দোকান ছিলো!
এখনো পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১০০ মিলিয়ন সাইকেল তৈরি করা হয়!
চীনে আজো সাইকেল ব্যবহার করে প্রায় আধা বিলিয়ন, মানে ৫০ কোটি মানুষ!
তোমার মাথায় কয়টা চুল আছে বলো তো? থাক, মাথা চুলকিয়ো না, কিছু চুল আবার পড়ে যেতে পারে। তোমার মাথায় চুল আছে এক থেকে দেড় লক্ষ!
যাদের চুলের রং সোনালি, তাদের মাথায় চুলও একটু বেশি। আরেকটা কথা, সোনালি আর লাল রং কাছাকাছি হলে কি হবে, চুলের ক্ষেত্রে কিন্তু এই হিসাব একদম উল্টো। সোনালি-চুলোদের যেখানে চুল সবচেয়ে বেশি থাকে, সেখানে লালচুলোদের মাথায় চুল থাকে সবচেয়ে কম!
তোমাদের সবার বাসাতেই তো আয়না আছে। আর সেই আয়নাতে নিজের চেহারা দেখতেও তো খুব মজা লাগে, তাই না? এখন মজার তথ্যটা শোনো- ছেলেরা গড়ে তাদের জীবনের ৬ মাসই কাটায় আয়নার দিকে তাকিয়ে। আর মেয়েরা কাটায় প্রায় ২ বছর!
আগে অবশ্য মানুষ বাঁহাতি শিশুদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারতো না। তখন কোনো শিশু বাঁহাতি হলে ওকে জোর করে ডানহাতি বানানোর চেষ্টা করা হতো!
তোমাদের মধ্যে কয়জন বাঁহাতি বলো তো? খেয়াল করলে দেখবে, দু-একজন অবশ্যই পেয়ে যাবে। এখন মজাটা কি জানো? ১৯০০ সালের দিকেও পৃথিবীতে এতো বাঁহাতি মানুষ ছিলো না। তখন বাঁহাতি মানুষ ছিলো মাত্র ৩%। আর এখন বাঁহাতিরা মোটমাট কতো শতাংশ জানো? ১১!
মানুষের শরীরে মোট হাড়গোড় কয়টা বলো তো? হ্যাঁ, ২০৬টা। কিন্তু তোমাদের, মানে কিডজ বা শিশুদের শরীরে হাড় কিন্তু অনেক বেশি-ই থাকে। কয়টা? প্রায় ৩০০টা!
ইলা মিত্র শুধু যে অনুবাদ করেছিলেন, তাই না, ‘হিরোশিমার মেয়ে’ বইটির জন্য তিনি ‘সোভিয়াত ল্যান্ড নেহেরু’ পুরস্কারও লাভ করেন।
ইলা মিত্র যে খুব বড়ো মাপের নেত্রী ছিলেন, সেই সঙ্গে ছিলেন তুখোড় অ্যাথলেট, সেই সব গল্পই তো তোমরা বিশেষ রচনাতে পড়ে ফেলেছো। কিন্তু জানো, তিনি যে লেখকও ছিলেন? তিনি একগাদা রুশ বইয়ের অনুবাদ করেছিলেন। তার মধ্যে আছে ‘হিরোশিমার মেয়ে’, ‘জেলখানার চিঠি’, আরো কত্তোগুলো!
২০০৯ সালে স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী গিয়েছিলো। আর সেই উপলক্ষে তার অমর সৃষ্টি শার্লক হোমসকে নিয়ে ৬টি ডাকটিকিটের একটি সেট বের করা হয়েছিলো। আর সেটের প্রতিটি ডাকটিকিটে আসল ছবির নিচে লুকানো ছিলো আরেকটি ছবি, যেটি বিশেষ লেন্স ছাড়া দেখাই যাবে না। ঠিক যেনো গোয়েন্দা গল্পের ডাকটিকিট!
ফ্রান্সের ডাকবিভাগ একবার চিন্তা করলো, ওদের চকোলেটের তো বেশ সুনাম। তো ওরা ঠিক করলো কি, চকোলেটের মতো এক সেট ডাকটিকিট বের করবে। তা বেরও করলো। এখন মজার কথা কি জানো? এই ডাকটিকিটগুলো থেকে চকোলেটের সুবাসও বের হয়! আর তা নাকি থাকেও ২ বছর!
২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডে প্রথম লাইট হাউজ প্রতিষ্ঠার ১৫০ বছর পূর্ণ হলো। এ উপলক্ষ্যে ডাকবিভাগেরও তো কিছু করা উচিত, তাই না? ওরা লাইট হাউজের ছবি নিয়ে কতোগুলো ডাকটিকিট বের করলো। আর জানো, সেই লাইট হাউজগুলোর যে আলোর রেখাগুলো আঁকা ছিলো, সেগুলো সত্যি সত্যি অন্ধকারে জ্বলে!
চীন তো প্রযুক্তির দিক দিয়ে সবসময় একটু এগিয়েই থাকে। ডাকটিকিটেই বা ওরা পিছিয়ে থাকবে কেন? ওরা এমনই এক ডাকটিকিট বের করলো, বিশেষ পেন দিয়ে ওটাকে ছুঁয়ে দিলেই ওটা প্রাচীন চীনা কবিতা আবৃত্তি করতে শুরু করে দেয়! ঐ বিশেষ পেনগুলোকে বলে এইগো পেন।
রাতে না ঘুমালে তো তোমাদের ভালোই লাগে না! অনেকে আবার রাতে একদমই ঘুমাও না। আর দিনের বেলা স্কুলে গিয়ে ঢুলতে থাকো। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানো? বিজ্ঞানীরা আঁক কষে বের করেছেন, আমরা আমাদের জীবনের তিন ভাগের এক ভাগ সময়ই কাটাই ঘুমিয়ে!
নেপোলিয়নকে তো চেনোই, সেই যে বীর যোদ্ধা; তারপর ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল, বিশ্বযুদ্ধের সময় লণ্ঠন হাতে আহত যোদ্ধাদের সেবা করতে করতে যার নামই হয়ে গিয়েছিলো ‘হাতে নিয়ে আলোকবর্তিকা’; আর মার্গারেট থ্যাচার, যার নামই হয়ে গেলো ‘লৌহমানবী’; ভাবছো, হঠাৎ এই তিনজনের কথা কেনো, বললাম? আরে, এই তিনজনই দিনে মাত্র ৪ ঘণ্টা করে ঘুমাতেন!
ওরা তো তবু কম ঘুমাতেন, আর বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন তো ঘুমকে রীতিমতো গালমন্দ করতেন! তার মতে, ঘুম হলো স্রেফ সময় নষ্ট করা! এদিক দিয়ে আবার আইনস্টাইন খুবই ভালো ছিলেন। তিনি নিয়মিত ১০ ঘণ্টা করে ঘুমুতেন!
আচ্ছা, একটানা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে না ঘুমানোর বিশ্ব রেকর্ড কার জানো? র্যান্ডি গার্ডনার। ১৯৬৫ সালে তিনি একবার টানা ১১ দিন না ঘুমিয়ে ছিলেন!
ডোরেমনের মোটমাট গল্প কয়টা জানো? ১৩৪৪টা!
এই ১৩৪৪টা গল্প নিয়ে ভলিউমই বের করা হয়েছে মোটমাট ৪৫টা!
এই ৪৫ টা ভলিউম সংরক্ষণ করা আছে জাপানের তাকাওকা সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে। আর মজার কথা কি জানো? ডোরেমনের দুই স্রষ্টা ফুজিকো ফুজিয়ো (ফুজিমোতো এবং আবিকো) দু’জনেই জন্মেছিলেন তোয়েমা প্রদেশের এই তাকাওকাতেই!
ডোরেমন প্রথম জাপানের বাইরে মুক্তি পায় ১৯৮২ সালে। তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর অনেক দেশেই মুক্তি পেয়েছে ডোরেমন। কিন্তু মুক্তি পায়নি ইংরেজি-ভাষী চারটি বড়ো দেশেই- আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডে।
ডোরেমনকে নিয়ে মোটমাট কয়টা ভিডিও গেম বানানো হয়েছে জানো? ৬৩টা!
কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটা পড়েছো না? কবিতাটা নজরুল কবে লিখেছিলেন জানো? ডিসেম্বর মাসে। বছরের শেষ সপ্তাহে, কলকাতার এক শীতের রাতে, রাত জেগে জেগে।
বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম কতো সালে জন্মেছিলেন বলো তো? হ্যাঁ, ১৮৯৯ সালে। সেই বছর কিন্তু আরো একজন কবি জন্মেছিলেন- রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ।
নজরুল যে এত্তোকিছু লিখেছেন, তিনি মোট কতো বছর সাহিত্য রচনা করেছেন জানো? মাত্র ২৩ বছর। ১৯১৯ সালে তাঁর প্রথম গল্প পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। আর ১৯৪৩ সালে তো তিনি প্যারালাইসড-ই হয়ে গেলেন!
নজরুল কিন্তু কিছু অনুবাদও করেছিলেন। তিনি অমর কবি হাফিজ, ওমর খৈয়াম, ওয়াল্ট হুইটম্যান- এদের অনুবাদ তো করেছেনই, এমনকি কুরআনের কিছু সূরাও তিনি বাংলায় অনুবাদ করেছেন।
বড়োদের চেয়ে ছোটোদের শরীরে হাড় কিন্তু একটু বেশি-ই থাকে। বড়োদের শরীরে যে ২০৬টা হাড় থাকে, তা তোমরা সবাই জানো। কিন্তু ছোটোবেলায় আমাদের শরীরে হাড় ক’টা থাকে জানো? ৩০০টা!
হাঁচি দেয়ার সময় পারলে চোখ খুলে রাখো তো দেখি! সেটা কখনোই পারবে না। হাঁচি দেয়ার সময় তোমাকে অবশ্যই চোখ বন্ধ করতে হবে।
তোমার শরীর যে অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা বা কোষ দিয়ে তৈরি, তা তো জানোই। তোমার রক্তেরও কিন্তু এ রকম অনেকগুলো ছোট্ট ছোট্ট কণা বা রক্তকণিকা আছে। প্রতি সেকেন্ডে এরকম কতোগুলো নতুন রক্তকণিকা তৈরি হয় আর পুরোনো রক্তকণিকা ধ্বংস হয়, তা কি জানো? প্রায় ১৫ মিলিয়ন!
একজন মানুষের মস্তিষ্ক প্রতি সেকেন্ডে কতটি গণনা করতে পারে জানো? ১০ কোয়াড্রিলিয়ন মানে ১০০ কোটি কোটি। ভুল পড়োনি, কোটি দুইবারই হবে! আজ পর্যন্ত এমন কোনো কম্পিউটার তৈরি হয়নি, যেটির হিসাব করার এরকম অসাধারণ ক্ষমতা আছে।
এরকম একটা কথা তো তোমরা সবাই শুনেছো, যে আমরা সারা জীবনে আমাদের মস্তিষ্কের মাত্র ১০% ব্যবহার করি। এটা কিন্তু মোটেও ঠিক কথা নয়। এমনকি ঘুমানোর সময়ও আমরা আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় পুরোটাই ব্যবহার করি, আর জেগে থাকলে তো বটেই।
প্রতিদিন হাজারটা করে মস্তিষ্কের কোষ বা ব্রেন সেল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শুনে যারা খুব ভয় পেয়েছো, তাদের বলছি- তোমাদের ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কারণ, আমাদের মস্তিষ্কে মোট কোষ আছে ১০০ বিলিয়ন। প্রতিদিন ১ হাজারটা করে নষ্ট হতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্কের সবগুলো কোষ নষ্ট হতে সময় লাগবে মোটমাট ৩ লক্ষ বছর!
ছোটোবেলা থেকেই তো আমাদের মস্তিষ্ক একটু একটু করে বাড়ছে। কিন্তু ১৮ বছর বয়সে আমাদের মস্তিষ্কের এই বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। উল্টো প্রতিদিন ১ হাজার মস্তিষ্কের কোষ বা ব্রেন সেল নষ্ট হয়ে যেতে থাকে!
একজন মানুষের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ কোনটা, বলো তো? হ্যাঁ, তার মস্তিষ্ক। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের এই মস্তিষ্কের ওজন কতো হয় জানো? প্রায় ৩ পাউন্ড। মানে দেড় কেজির মতো।
আচ্ছা, বলো তো, প্রতিদিন পৃথিবীতে কতোবার বিজলি চমকায়? প্রায় ৮৬ লক্ষ ৪০ হাজার বার!
শুধু এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়েই প্রতি বছর ২৫ বার বিদ্যুৎ আঘাত করে।
যখন বিজলি চমকায় তখন সেখানে কতো ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় জানো? প্রায় ১ বিলিয়ন ভোল্ট! আর তাতে যেই তাপ উৎপন্ন হয় তা সূর্যের চেয়েও ৫ গুণ বেশি!
আচ্ছা, কখনো কি ভেবেছো, বিজলি চমকালে শব্দ হয় কেনো? অনেকে হয়তো বলবে, মেঘ ডাকে তাই শব্দ হয়! সত্যি সত্যি কি আর মেঘ ডাকতে পারে নাকি? মেঘ কি আর গরু-ছাগল নাকি যে ডাকবে! তোমরা তো নিশ্চয়ই এটা জানো যে, যে কোনো কম্পনের ফলেই শব্দ সৃষ্টি হয়। আসলে বিজলি চমকালে এমনই তাপ উৎপন্ন হয়, তাতে বাতাসের অণুগুলোর মধ্যে এমনই কম্পনের সৃষ্টি হয়, যে বিকট শব্দ হয়।
বিজলি চমকানোর তুলনায় ভূমিকম্প কিন্তু অনেক কম হয়। তাই বলে ভেবো না সে নিতান্তই কম। প্রতি বছর ভূমিকম্প হয় প্রায় ৫ লক্ষ বার! তবে তার বেশিরভাগই এতোই মৃদু হয়, যে আমরা টেরই পাই না!
সুফিয়া কামালের প্রথম কবিতা পত্রিকায় ছাপা হয় ১৯২৬ সালে, ‘সওগাত’ নামের তখনকার বেশ নামকরা এক সাহিত্য পত্রিকায়।
১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’। আর এটির ভূমিকা কে লিখে দেন জানো? আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম!
১৯৫৬ সালে তিনি শুধু তোমাদের জন্যই একটা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটির নাম তোমরা সবাই-ই শুনেছো। কেনো, ‘কচিকাঁচার মেলা’-র নাম শোনোনি, এমন কেউ-ই কি তোমাদের মাঝে আছে?
পৃথিবীতে মোট পিঁপড়া আছে ২৮০ প্রজাতির।
লাল পিঁপড়াদের আকৃতি ২ মিলিমিটার থেকে ৬ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আর এই সব আকৃতির লাল পিঁপড়ারা সবাই এক বাসাতেই থাকে।
লাল পিঁপড়ারা সাধারণত গাছের বীজ, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভিদ ইত্যাদি খায়। তবে মাঝে মাঝে এরা ঝিঁঝিপোকাও খায়!
এই লাল পিঁপড়াদের অত্যাচার সবচেয়ে বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান আর অস্ট্রেলিয়ায়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর তাইওয়ান ওদের দমনে ব্যর্থ হলেও, অস্ট্রেলিয়া কিন্তু এ ব্যাপারে সফল। তাতে অবশ্য ওদের ১৭৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই লাল পিঁপড়ার কারণে প্রতি বছর প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষয়-ক্ষতি হয়! আর ওদের আক্রমণের শিকার মানুষের চিকিৎসা আর ওদের দমনের খরচ যোগ করলে প্রতি বছর কেবল এই পিঁপড়াদের জন্যই খরচ হয় প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার!
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যে চলচ্চিত্র খুব ভালোবাসতেন, তা কী জানো? শুধু তাই নয়, একসময় তিনি রূপালি পর্দার জগতে কাজও করতে শুরু করেছিলেন! ৩টি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের কাজও তিনি করেছিলেন। মানে কাহিনী লিখেছিলেন তিনি। আর ২টি চলচ্চিত্রের গানের কম্পোজিশনও করেছিলেন । এমনকি নজরুল চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন।
আরেকটা মজার কথা কি জানো, তিনি যে ২টি ছবির গানের কম্পোজিশন করেছিলেন, তার একটি হলো ‘গোরা’। কী নামটা খুব চেনা চেনা লাগছে? হ্যা, এই ‘গোরা’ ছবিটা বানানো হয়েছিলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গোরা’ উপন্যাসের কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই। মানে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর কাজী নজরুল ইসলাম একই সঙ্গে, একই ছবিতে!
বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো সমস্যা কোনটা, তা তো জানোই- পরিবেশ দূষণ। আর এই দূষণের জন্য দায়ী কিন্তু আমরাই। কিন্তু এই দূষণের দিক দিয়ে পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দেশ কোনটি জানো? চীন।
অবশ্য কিছুদিন আগেও কিন্তু চীন পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দূষণকারী দেশ ছিলো না। আগে সবচেয়ে দূষণকারী দেশ ছিলো আমেরিকা। একবার চিন্তা করো, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫% লোক ওখানে বাস করে, আর কিনা পৃথিবীর মোট দূষণের ২৫% দূষণই করে ওই ৫% লোক!
(আসলে পৃথিবীর মোট কার্বন ডাই-অক্সাইডের ২৫% আমেরিকায় উৎপন্ন হয়। এই কার্বন ডাই-অক্সাইডের উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে কোন দেশ কতোটা দূষণ করছে তা পরিমাপ করা হয়।)
(আসলে পৃথিবীর মোট কার্বন ডাই-অক্সাইডের ২৫% আমেরিকায় উৎপন্ন হয়। এই কার্বন ডাই-অক্সাইডের উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে কোন দেশ কতোটা দূষণ করছে তা পরিমাপ করা হয়।)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। এটা তো তোমরা সবাই-ই জানো। কিন্তু এটা কি জানো যে, তিনিই প্রথম ইউরোপের বাহিরের কোনো দেশ থেকে নোবেল পেয়েছিলেন?
রবি ঠাকুর তাঁর কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন, বলো তো? হ্যা, ‘গীতাঞ্জলি’। কিন্তু যারা নোবেল পুরস্কার দেয়, তারা কিভাবে বাংলা কবিতার বইটা পড়লো, সেটা একবার ভেবে দেখেছো? খুবই জটিল এক প্রশ্ন! না, আসলে যারা নোবেল পুরস্কার দেয়, তারা তো আর বাংলা পড়তে পারতো না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই কবিতার বইটা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন। আর ওটা পড়ে সবার এতোই ভালো লেগে গেলো, তাঁকে নোবেল না দিয়ে থাকতেই পারলেন না।
‘গীতাঞ্জলি’ বইটাতে মোট কয়টা কবিতা ছিলো জানো? বাংলা বইটাতে কবিতা ছিলো ১৫৭টা। আর ইংরেজি বইটাতে ছিলো ১০৩টা।
‘গীতাঞ্জলি’র ইংরেজি অনুবাদ করতে গিয়ে রবি ঠাকুর কিন্তু পুরো বইটার হুবুহু অনুবাদ করেননি। মোট ১০৩টা কবিতার মধ্যে ৫২টা কবিতা নিয়েছিলেন বাংলা ‘গীতাঞ্জলি’ থেকে। বাকিগুলো নিয়েছিলেন ‘গীতিমাল্য’, ‘নৈবেদ্য’ আর ‘খেয়া’ বইগুলো থেকে।
ডলফিন নিয়ে তো অনেক কিছুই জানলে। একটা মজার বিষয় কি জানো, ডলফিন কখনোই পুরোপুরি ঘুমায় না? হ্যা, সত্যি সত্যিই ওরা কখনোই পুরোপুরি ঘুমায় না। সবারই কিন্তু মস্তিষ্কের দুটো অংশ আছে। এগুলোকে ইংরেজিতে বলে হেমিস্ফেয়ার। একটা হলো ডান হেমিস্ফেয়ার বা ডানার্ধ, আরেকটা বাম হেমিস্ফেয়ার বা বামার্ধ। আর ওরা যখন ঘুমায়, তখন এই দুটোর একটা ঘুমায় তো আরেকটা জেগে থাকে। ফলে সবসময়ই ওরা একটু হলেও সচেতন থাকে।
ডলফিন কেনো লাঁফ দেয়, বলতে পারো? বিজ্ঞানীরাই যেখানে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি, সেখানে তোমরা না পারলেও কোন দোষ নেই। তাদের ধারণা, ডলফিনরা লাঁফ দিয়ে দেখে নেয়, পানির নিচে তাদের শিকাররা কি করছে। অনেকটা শিকারি পাখিদের মতো। আবার অনেকে বলে এটা তাদের যোগাযোগের একটা উপায়। আবার অনেক বিজ্ঞানী বলেন, ওসব কিছু না। ওরা মজা করার জন্যই এরকম লাফালাফি করে। ওরা বাচ্চাদের মতোই খুব আমুদে কিনা!
এ তো জানোই যে, গ্রহগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে তো ঘুরছেই। কিন্তু সূর্যকে ঘিরে একবার ঘুরতে কোন গ্রহের সবচেয়ে বেশি সময় লাগে জানো? নেপচুনের। নেপচুন আবিষ্কৃত হয়েছিলো ১৮৪৬ সালে। আর তারপর নেপচুনের সূর্যকে ঘিরে একবার ঘোরা শেষ হলো এ বছরেই, ২০১১ সালে!
মঙ্গল গ্রহ দেখতে যেমন বড়ো, এর পাহাড়-পর্বতগুলোও তেমনই বিশাল। শুধু তাই না, এর খালগুলোও তেমনিই গভীর। ওখানকার যেটা সবচেয়ে বড়ো খাল, ওটা একেবারে আমেরিকার এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত বড়ো হবে! সৌরজগতের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরিও আছে ঔ মঙ্গলেই, নাম অলিম্পাস মন্স।
পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কতো জানো? প্রায় ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল! আর এই দূরত্ব পার হতে সূর্যের আলোর কতো সময় লাগে জানো? মাত্র ৮ মিনিট!
ভস্তক-১’এ করে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করতে ইউরি গ্যাগারিনের সময় লেগেছিলো মোট ১০৮ মিনিট। আর এ সময় ভস্তকের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ২৭,৪০০ কিলোমিটার!
ভস্তক-১’র ওজনও নেহাত কম ছিলো না। প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কেজি!
ভস্তক-১’র ভেতরে দুটো অংশ ছিলো, একটি ইউরি গ্যাগারিনের থাকার জন্য। আরেকটা গ্যাগারিনের প্রয়োজনীয় নানা জিনিস যেমন, অক্সিজেন, খাবার, এগুলো রাখার জন্য।
এটা তো নিশ্চয়ই খেয়াল করেছো যে, পৃথিবীর সব দেশের পতাকার আকৃতিই চতুর্ভুজ। তবে আরেকটু ভালো করে খেয়াল করলে দেখবে সব দেশের পতাকাই আয়তাকার। যেমন, আমাদের দেশের পতাকার অনুপাত ৫:৩, মানে দৈর্ঘ্য ৫ সেন্টিমিটার হলে প্রস্থ হবে ৩ সেন্টিমিটার। এর ব্যতিক্রম হলো সুইজারল্যান্ড আর ভ্যাটিকান সিটির পতাকা। এই দুটো দেশের পতাকা পুরোই চারকোণা, মানো বর্গাকৃতির। দৈর্ঘ্য প্রস্থ দুটোই সমান। আর শুধু একটি দেশের পতাকার আকৃতিই চতুর্ভুজ নয়। বলো তো সেটা কোন দেশের? হ্যাঁ, সেটা আমাদের প্রতিবেশী দেশ নেপালের।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/কিডজডেস্ক/মার্চ ৩১/১১
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/কিডজডেস্ক/মার্চ ৩১/১১
ফিলিপাইনের পতাকার না আবার একটা মজা আছে। অন্য সব দেশই যুদ্ধের সময়ের জন্য আলাদা একটা পতাকা ব্যবহার করে। কিন্তু ফিলিপাইন সেটা করে না। ওরা ওদের মূল পতাকাটাই যুদ্ধের পতাকা হিসেবে ব্যবহার করে, কেবল তখন নীল রঙের অংশটা চলে যায় নিচে, আর লাল রঙের অংশটা থাকে উপরে। মানে পতাকাটা একটু উল্টে নেয় আরকি!
যদি বলি, একটা দেশের পতাকায় অস্ত্র আঁকা আছে! এবার নিশ্চয়ই বাজি-ই ধরে বসবে, সে হতেই পারে না। বাজি ধরেছো তো হেরে গেছো! কারণ, এমন পতাকাও আছে দুনিয়াতে। মোজাম্বিক আর গুয়েতেমালার পতাকায় অস্ত্রই আঁকা আছে। আর মোজাম্বিকের পতাকায় তো অস্ত্রটা যে সে অস্ত্রও না, রীতিমতো একে ৪৭! আর গুয়েতেমালার পতাকায় আছে দুটো রেমিংটন রাইফেল।
আচ্ছা, দুইটা দেশের পতাকা কি একইরকম হওয়া সম্ভব? নিশ্চয়ই দুই দিকে মাথা জোরে জোরে নাড়তে নাড়তে বলবে, তাই কি হয় নাকি? ঐ তো ভুল করলে। এমন দুই দেশের একই পতাকা কিন্তু আসলেও আছে। বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে আমি সে সব দেশের নাম বলে দিচ্ছি। তুমি নিজেই মিলিয়ে দেখো। ইন্দোনেশিয়া আর মোনাকোর পতাকা দেখতে একইরকম, শুধু শাদা আর লাল রঙের অনুপাতটা একটু আলাদা। আবার নেদারল্যান্ড- লুক্সেমবার্গের পতাকা আর চাদ- রোমানিয়ার পতাকা আলাদা করতে চাইলে নীল রঙটা গাঢ় না হালকা সেটা তোমাকে খুব ভালো করে খেয়াল করতে হবে। এছাড়া ওদের পতাকায় আর কোনোই পার্থক্য নেই। সুতরাং, এই ৩ জোড়া দেশের পতাকা যখন চোখে পড়বে, খুব সাবধান! জেনে শুনেও যেনো ভুল না হয়।
আমাদের দেশের পতাকার রং কি বলো তো? লাল আর সবুজ। সবুজ জমিনের মাঝে গাঢ় লাল রঙের একটা বৃত্ত নিয়েই আমাদের জাতীয় পতাকা। সব দেশের পতাকাতেই তো এরকম কয়েকটা রং আছে। একেকটা রঙ একেক অর্থ বোঝায়। আর পতাকার ডিজাইনগুলোরও কিন্তু নানা অর্থ আছে। বিভিন্ন দেশের পতাকার বিভিন্ন রকম ডিজাইন থাকে। আঁকার সময় নানা বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। কোনো কোনোটা আবার আঁকাও বেশ কঠিন। তবে একটা দেশের পতাকা আঁকা কিন্তু খুবই সোজা। শুধু একটা আয়তক্ষেত্র এঁকে তাতে সবুজ রং করে দিলেই হয়! সত্যি সত্যি সেই পতাকাতে আর কিচ্ছুই নেই! জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, এমন অদ্ভূত পতাকাটা কোন দেশের? এই অদ্ভূত পতাকাটা হলো লিবিয়ার।
দক্ষিণ আফ্রিকা তো ক্রিকেটের এক শক্তিশালী দেশ, তাই না? কিন্তু বেচারারা বারবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হেরে যায় বলে ওদের নামই দেয়া হয়েছে ‘চোকার্স’। দক্ষিণ আফ্রিকা কিন্তু ক্রিকেটের তৃতীয় টেস্ট খেলুড়ে দল। কিন্তু হিসেব করলে দেখবে, ওরা অন্য অনেক দলের চেয়েই কম ম্যাচ খেলেছে। কেন জানো? কারণ, ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ওদের টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নেয়া হয়েছিলো। ওদের কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো জানো? কারণ ওদের দেশে তো তখন সাদা চামড়ার মানুষের শাসন। ওরা কালো চামড়ার মানুষদের কোনো অধিকারই দিতো না। কিন্তু ওখানকার আসল অধিবাসী কিন্তু এই কালোরাই! তাই ওদের ক্রিকেট দলও কোনো কালো চামড়ার খেলোয়াড়কে দলে নিতো না, সে যতো ভালো খেলোয়াড়ই হোক। আর অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ড ছাড়া কোনো কালো চামড়ার দলের বিরুদ্ধেই ওরা খেলতো না। এবার নিশ্চয়ই বলবে, ওদের নিষিদ্ধ করে ঠিকই করেছিলো। এই সব অত্যাচারের বিরুদ্ধেই তো লড়াই করে কালো চামড়ার লোকেদের অধিকার আদায় করেন নেলসন ম্যান্ডেলা।
এমন দলের খাতায় কিন্তু আরেকটা নামও আছে। তোমরা অনেকেই হয়তো এই দলের গল্প জানোই। আর এই দলটা একসময় তো পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই রাজত্ব করতো। হ্যা, এই দলের নাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ান সাগরের দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোকে বলা হয় ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্র। এরকম ১০টা দেশ মিলে এই দলটা গঠিত হয়। আমাদের লিগে যেমন অনেকগুলো ক্লাব খেলে, সেরকমভাবে ওদের লিগে খেলে ঐ ১০টা দেশ। দেশগুলোর নাম শুনবে? ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, বার্বাডোস, জ্যামাইকা, গায়ানা, অ্যান্টিগা এন্ড বারবুডা, গ্র্যানাডা, ডোমিনিকা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস আর সেন্ট ভিনসেন্ট এন্ড দ্যা গ্র্যানাডিয়ানস।
আচ্ছা, তোমাদের অনেকের মনেই হয়তো এখন প্রশ্ন জেগেছে, ১৯৮৯ সালের পর দলটার কী হলো? তাই তো, কী হলো দলটার? আসলে ততোদিনে কেনিয়া আলাদা একটা দল হিসেবেই আইসিসির সহযোগী সদস্য হয়ে গেছে। আর বাকি ৩ সদস্যের সঙ্গে মালাওয়ি যোগ হয়ে ওরা গঠন করলো নতুন আরেকটা ক্রিকেট দল। এই দলের নাম দেয়া হলো পূর্ব ও মধ্য আফ্রিকা। এই দল প্রথম মাঠে নামে ১৯৯০ সালের আইসিসি ট্রফিতে। কিন্তু পরে প্রথমে উগান্ডা আর তারপর একে একে তানজানিয়া আর মালাওয়িও আইসিসির অস্থায়ী সদস্য হয়ে গেলে এই দলটিও ২০০৩ সালে ভেঙে দেওয়া হয়।
তোমরা যারা এবারের বিশেষ রচনা পড়েছো, তারা এরইমধ্যে জেনে গেছো যে প্রথম বিশ্বকাপে কোন কোন দল খেলেছিলো। সেই বিশ্বকাপে কিন্তু একটা দল ছিলো, যাদের নাম ছিলো পূর্ব আফ্রিকা। মানচিত্রে একটু খুঁজে দেখো তো, দেশটা খুঁজে পাও কিনা! নেই, তাই না? সুতরাং, যারা ভাবছিলে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো এটাও একটা দেশ, তারা কিন্তু ভুল করেছো। এটা আসলে কোনো দেশই নয়। বরং ৪টা আলাদা আলাদা দেশের খেলোয়াড়দের নিয়ে এই ক্রিকেট দলটা গঠন করা হয়েছিলো। দেশগুলো হলো, কেনিয়া, উগান্ডা, তানজানিয়া আর জাম্বিয়া। একবার চিন্তা করো, তানজানিয়া আর জাম্বিয়ার মতো ক্রিকেটের আসরে একেবারই অজ্ঞাত দেশের ক্রিকেটাররাও প্রথম বিশ্বকাপে খেলেছিলো, আর আমাদের দল কিনা প্রথম বিশ্বকাপ খেললো এই ১৯৯৯ সালে! ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ছিলো এই দলটা। প্রথম বিশ্বকাপের পর ওরা সবগুলো আইসিসি ট্রফিতেও খেলেছিলো। কিন্তু পরে আর কখনোই বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি।
ব্যাটসম্যান রান নেয়ার জন্য দৌঁড়াচ্ছে। ফিল্ডার বল ধরে জোরে থ্রো করলো। ব্যাটসম্যান ঢুকলো কি ঢুকেনি, উইকেট কিপার থ্রো ধরেই দিলো উইকেট ভেঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ারের কাছে আবেদন। আম্পায়ার করলেন কি, আকাশের দিকে আঙুল তুলে আউটও দেখালেন না, মাথা এদিক ওদিক নেড়ে এটাও বললেন না যে, আউট হয়নি। আঙুল দিয়ে বাতাসে চারকোনা ঘরের মতো একটা বাক্স বানিয়ে কি বোঝালেন, কে জানে! আসলে এটার মানে হলো, টিভি আম্পায়ার রিপ্লে দেখে বলবেন, আউট হয়েছে, নাকি হয়নি। এই টিভি আম্পায়ার প্রথম কাকে আউট দিয়েছিলেন জানো? কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারকে! আর সেই রানআউট কে করেছিলো জানো? কিংবদন্তী ফিল্ডার জন্টি রোডস!
ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংস খেলতে নামলেন ক্লেম হিল। ভালোই খেলছিলেন, সবাই ধরেই নিয়েছিলো, প্রথম ইনিংসেই তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু অল্পের জন্য মিস হয়ে গেলো সেঞ্চুরিটা। আউট হয়ে গেলেন ৯৯ রানে! পরের ইনিংসে তার ব্যাটিং দেখে সবাই মনে করলো, নাহ, প্রথম ইনিংসের আক্ষেপ সে দ্বিতীয় ইনিংসেই ঘুঁচিয়ে দেবে। অন্তত প্রথম টেস্টেরই দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে যাচ্ছেন হিল। এবারও অল্পের জন্য ফসকে গেলো সেঞ্চুরিটা। আউট হয়ে গেলেন ৯৮ রানে! পরের টেস্টের প্রথম ইনিংসেও যথারীতি হিলের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ফসকালো। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছো, এবার তিনি আউট হলেন ৯৭ রানে!
বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছে ফাস্ট বোলাররা। একের পর এক বাউন্সার আসছে। আর ব্যাটসম্যান কোনোমতে মাথা বাঁচাচ্ছে। কারণ, ব্যাটসম্যানের মাথায় যে কোনো হেলমেটই নেই। ভাবছো, এ নিশ্চয়ই কোনো ভুলোমনা ব্যাটসম্যানের গল্প! না, আসলে আগে তো হেলমেটই ব্যবহার করা হতো না। প্রথম হেলমেটের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৭৮ সালে। আর প্রথম হেলমেট পরে মাঠে নামেন যেই ব্যাটসম্যান, তাঁর নাম হলো গ্রাহাম ইয়ালোপ।
প্রজাপতি দেখতে তো আমাদের দারুণ ভালো লাগে তাই না? এই প্রজাপতির কিন্তু অনেকগুলো চোখ। আন্দাজ করো তো কতোগুলো হতে পারে! একটা প্রজাপতির ১২ হাজার চোখ থাকে। বিশ্বাস হয়?
আমরা তো সবাই গরুর দুধ খাই। আর গরু বেশ আমাদের দুধ দিয়েও যায়। একবার কি চিন্তা করেছো, একটা গরু তার সারা জীবনে কতো দুধ দেয়? বেশি না, একটা গরু তার সারা জীবনে গড়ে মোট ২ লক্ষ গ্লাস দুধ দেয়। সত্যিই বিশাল ব্যাপার, তাই না?
পোলার বিয়ার বা মেরু ভালুক দেখতে কিরকম? পুরো সাদা তাই না? মনে হয় বরফ দিয়েই ওরা তৈরি। কিন্তু মজার বিষয় হলো ওদের চামড়ার রঙ কিন্তু কালো। আর লোমগুলোও সাদা নয় মোটেই। বরং ওগুলো একদম স্বচ্ছ।
পাখিরা কিন্তু রঙ দেখতে পারে এবং চেনে। এটা তো সবাই জানে, তাই না? কিন্তু অজানা কথাটি হলো কোনো পাখিই নীল রঙ দেখতে পারে না। অবশ্য একটা পাখি কিন্তু এই নীল রঙ দেখতে পারে। এই পাখিটি আবার দিনে বের হয় না। রাতেই তাদের আনাগোনা। বলো তো কোন পাখি? হ্যাঁ, ঠিক বলেছো, প্যাঁচা। পাখিদের মধ্যে একমাত্র প্যাঁচারাই নীল রঙটা দেখতে পারে।
অনেকেই হেভি মেটাল মিউজিক শুনতে ভালোবাসে, আবার অনেকেই ভালোবাসে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো উইপোকারা হেভি মেটাল মিউজিক খুব পছন্দ করে। মিউজিক শোনার সময় তারা দ্বিগুণ গতিতে কাঠ কাটতে পারে।
সবচেয়ে বেশি খায় কে, হাতি? একদিনে হয়তো তোমার চেয়ে অনেক বেশিই খায়। কিন্তু তুমি সারাজীবনে কতটুকু খাবার খাও সেকি জানো? মোটামুটি প্রায় ৬০,০০০ পাউন্ড খাবার তোমার পেটে যায় সারজীবনে, যা ৬ টা হাতির ওজনের সমান। হাতিকে আর পেটুক বলবে?
MvRi †Zv †Zvgv‡`i A‡b‡KiB Lye wcÖq| Avi evMm evwb †Zv MvRi Qvov GK gyûZ©I _vK‡Z cv‡i bv| gRvi welq wK Rv‡bv? kx‡Z MvRi MvQ g‡i hvq| wKš‘ Ifv‡e †i‡L w`‡j kxZ †k‡l MvRi Zvi Rgv‡bv Lv`¨ †_‡K Avevi bZzb Mv‡Qi Rb¥ w`‡Z cv‡i|
giæf~wg‡Z GK ai‡bi K¨vKUvm R‡b¥ †h¸‡jv‡K ejv nq e¨v‡ij K¨vKUvm| K¨vKUvm¸‡jvi we‡klZ¡ n‡jv G¸‡jv Zv‡`i Kv‡Ð cvwb Rgv K‡i ivL‡Z cv‡i| A‡bKUv D‡Ui Kuy‡Ri g‡Zv AviwK!
ঘরের শোপিসের কোন কিছু ভেঙে গেলে তা জোড়া লাগাতে সুপার গ্লু’র জুড়ি নেই। শুধু ভাঙা জায়গায় লাগিয়ে বাতাসে রেখে দিলেই হলো, ব্যাস, জোড়া লেগে যায় সঙ্গে সঙ্গেই। তবে মজার ব্যাপার হলো বাতাস নয়, বাতাসের আদ্রতাই ‘সুপার-গ্লু’কে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে ফেলে।
পৃথিবীতে কতই না প্রাণী। এতো বড় থেকে শুরু করে চোখে দেখা যায় না এমন প্রাণীও রয়েছে। তবে আমাদের পৃথিবীতে ৯৫% প্রাণীই একটা মুরগীর ডিমের চেয়েও ছোট।
সাপ
সাপ দেখলে ভয় লাগে না এমন মানুষ আছে নাকি? যেকোন সাপ দেখলেই তো ভয়ে আত্মারাম খাচাছাড়া হতে চায়। আর যদি বিষধর কোনো সাপ হয় তাহলে তো কথাই নেই। আর এমন একটা বিষয় যে পৃথিবীর সব জায়গাতেই সাপ রয়েছে। তবে হ্যা যারা সাপ ভয় পাও তাদের জন্য একটা সুখবর আছে। সাপের ভয় এড়াতে অ্যান্টার্কটিকায় যেতে পারো‘। পৃথিবীতে অ্যান্টার্কটিকাই একমাত্র মহাদেশ যেখানে কোনো সাপ বা সরীসৃপ নেই!
সাপ দেখলে ভয় লাগে না এমন মানুষ আছে নাকি? যেকোন সাপ দেখলেই তো ভয়ে আত্মারাম খাচাছাড়া হতে চায়। আর যদি বিষধর কোনো সাপ হয় তাহলে তো কথাই নেই। আর এমন একটা বিষয় যে পৃথিবীর সব জায়গাতেই সাপ রয়েছে। তবে হ্যা যারা সাপ ভয় পাও তাদের জন্য একটা সুখবর আছে। সাপের ভয় এড়াতে অ্যান্টার্কটিকায় যেতে পারো‘। পৃথিবীতে অ্যান্টার্কটিকাই একমাত্র মহাদেশ যেখানে কোনো সাপ বা সরীসৃপ নেই!
গোল্ডফিস
গোল্ডফিস দেখতে কেমন লাগে? এ্যাকুরিয়ামের মধ্যে সুন্দর সাঁতরে বেড়ায় যে সোনালী রঙের মাছটা। কতো সুন্দর তার গায়ের রঙ, তাই না? কিন্তু মজার কথা কি জানো! যদি একটা গোল্ডফিস কে অন্ধকার ঘরে রেখে দেয়া হয় তবে এর রঙ কিন্তু সাদা হয়ে যাবে।
গোল্ডফিস দেখতে কেমন লাগে? এ্যাকুরিয়ামের মধ্যে সুন্দর সাঁতরে বেড়ায় যে সোনালী রঙের মাছটা। কতো সুন্দর তার গায়ের রঙ, তাই না? কিন্তু মজার কথা কি জানো! যদি একটা গোল্ডফিস কে অন্ধকার ঘরে রেখে দেয়া হয় তবে এর রঙ কিন্তু সাদা হয়ে যাবে।
বিশ্বকাপে সবচে বেশি গোল করেছে ব্রাজিল। তাদের গোল সংখ্যা ২০১। আবার সবচেয়ে বেশি গোল খেয়েছে জার্মানি। ১১২টি গোল হজম করে তারা এই তালিকার শীর্ষে।
বিশ্বকাপ ফুটবল সবচে বেশিবার জিতেছে ব্রাজিল, ৫ বার। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, ব্রাজিল কখনোই অলিম্পিক ফুটবল জিততে পারেনি। আবার, অলিম্পিকের সবচে সফল দল হাঙ্গেরি। কিন্তু বিশ্বকাপে তাদের ঝুলিটি একবারেই শুন্য।
বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ব্রাজিলের রোনাল্ডো। তিনি গোল করেছেন ১৫টি। রোনাল্ডোর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন জার্মানির গার্ড ম্যুলার। তার গোল সংখ্যা ১৪।
রাতের বেলায় একটি জিনিস না হলে আমাদের একদমই চলে না। সেই জিনিসটি হচ্ছে- বৈদ্যুতিক বাতি। এই বাতি আবিস্কার করেছিলেন বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন। আর আজ এরই বদৌলতে আমরা রাতের বেলাতেও অন্ধকার দেখি না। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানো, এডিসন নিজেই অন্ধকার কে প্রচন্ড ভয় পেতেন। ভাগ্যিস তিনি অন্ধকার ভয় পেতেন। তা না হলে হয়তো বৈদ্যুতিক বাতি আবিস্কারই হতো না।
রাতের বেলায় বেজায় কিচ কিচ শব্দ করে ছুটে চলে ছুঁচো। দেখতে ইঁদুরের মতোই। কিন্তু এরা রাতে ছাড়া বেরই হয় না। যেনো সব কাজ তাদের রাতের বেলাতেই। এই ছুঁচো কিন্তু আবার মহা করিৎকর্মা প্রাণী। এক রাতেই এরা প্রায় ৩০০ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ খুঁড়তে পারে। বিরাট ব্যাপার, তাই না!
পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি লাইব্রেরী থেকেই বই চুরি হয়। কখনও কোনো গল্পের বই কখনও বা কোনো গবেষণার বই। কিন্তু তোমরা কি জানো পৃথিবীতে সবচে বেশিবার চুরি হওয়া বই হিসেবে কোন বইটি রেকর্ড করেছে? ‘গিনেজ বুক অফ রেকর্ডস’ এর নাম তো আমরা সবাই জানি। এ বইটিই কিন্তু লাইব্রেরি থেকে সবচে বেশিবার চুরি হওয়া বই হিসেবে রেকর্ড করেছে।
উটপাখি তো সবাই চেনো। ঐ যে যে পাখি উড়তে পারে না তবে দারুণ জোরে ছুটতে পারে। সেই উটপাখির মগজ কিন্তু খুবই ছোট। এদের মগজ তাদের চোখের চেয়েও ছোট। ভাবা যায়!
আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ মোট সাতটি মিনার নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে মাঝের মিনারটির উচ্চতা হলো ১৫০ ফুট। সর্বমোট ১০৮ একর জায়গা নিয়ে এই স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে। স্মৃতিসৌধে অবস্থিত সাতটি মিনার বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের সাতটি পর্যায় বুঝিয়ে থাকে। এই সাতটি পর্যায় হচ্ছে ১৯৫২ -র ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬ এর ধারাবাহিক স্বাধীকারের সংগ্রাম, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যূত্থান সবশেষে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ।
আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি সৈয়দ মঈনুল হোসেন। স্বাধীনতার পরে সরকারীভাবে স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের চিন্তা করা হয়। এর নকশার জন্য দেশব্যাপী এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিলো। সর্বমোট ৫৭ টি নকশা থেকে সৈয়দ মঈনুল হোসেনের নকশাটি চুড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছিলো।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের সাতটি মিনার আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাতটি পর্যায়কে বুঝিয়ে থাকে। এই সাত সংখ্যাটি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এই সালটির দুটি সংখ্যার যোগফল ৫+২= ৭। আবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ০৭ তারিখেই। আমাদের বিজয়দিবস হচ্ছে- ১৬ ডিসেম্বর। এই তারিখের দুটি সংখ্যার যোগফলও কিন্তু ১+৬= ৭
পৃথিবীতে সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বাচ্চারাই লাফালাফি করে থাকে। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু হাতিদের বেলাতে। কারণ হচ্ছে, শুধু হাতিরাই লাফাতে পারে না। বেচারা হাতি! ওরা কোনদিন বুঝতেও পারবে না লাফঝাঁপ দেয়ার কি মজা।
গন্ডারের শিং তো আমরা সবাই দেখেছি। ঐ যে যেটা দিয়ে গুঁতোতে আসে! জানো তো এই শিং কি দিয়ে তৈরি? এটা কিন্তু চুল দিয়ে তৈরী। খুব ঘন আর পাশাপাশি থাকা চুলগুলো একত্রিত হয়েই এই শিংটি তৈরি হয়। মজার তাই না!
পৃথিবীর সবচে ছোট পাখিটির নাম কি জানো? সবাই জানে এর উত্তর। হ্যাঁ, হামিং বার্ড। সবচে ছোট পাখির ওজন যে সবচে কম হবে এটাইতো স্বাভাবিক। তাই বলে কতো কম হতে পারে আন্দাজ করো তো! বিশ্বাস করো আর নাই করো, একটি হামিং বার্ডের ওজন এক টাকার একটি কয়েনের চেয়েও কম।
জলহস্তী দেখেছো তো সবাই তাই না? কি পরিমাণ বড় হা করে সেটা দেখেছো? আন্দাজ করো তো ওদের হা কতো বড়ো হতে পারে! এদের হা এতো বড় হয় যে সেখানে ৪ ফুট লম্বা কোন মানুষ দিব্যি শুয়ে বসে থাকতে পারবে।
জেলী ফিশ দেখেছো তো তোমরা, তাই না? তোমরা কি জানো যে জেলি ফিশের শরীর শুধু পানি দিয়েই তৈরি। বিশ্বাস হচ্ছে নাতো? সত্যি সত্যি কিন্তু জেলি ফিশের শরীরের ৯৫ ভাগই পানি। এখন তোমরাই ঠিক করো যে একে আর জেলি ফিশ বলবে নাকি পানি মাছ বলবে!
আমরা আমাদের কান কি দিয়ে পরিস্কার করি? কটন বাড দিয়ে, তাই তো? কিন্তু জিরাফ কিন্তু এর কোনো কিছুরই ধার ধারে না! সে তার কান পরিস্কার করে নিজের জিভ দিয়ে। কারণ কি জানো? জিরাফের আছে লম্বা একটা জিভ। জিরাফের জিভ প্রায় ২১ ইঞ্চি লম্বা। আর তাই কষ্ট করে ওকে আর কোন কিছুরই ধার ধারতে হয় না।
বিদেশে প্রথম শহীদ মিনারঃ জাপানের রাজধানী টোকিওর ইকেবুকুরো পার্কে ২০০৬ সালের ১৬ এপ্রিল উদ্বোধন হয়। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গানটি ইতিমধ্যে সুইডিশ ও জাপানিজ ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
সর্বোচ্চ শহীদ মিনারঃ বাংলাদেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। উচ্চতা ৭১ ফুট, ব্যাস ৫২ ফুট।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
বর্তমান শহীদ মিনারের স্থপতিঃ হামিদুর রহমান। নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিলো ১৯৫৬ সালে।
বর্তমান শহীদ মিনারের স্থপতিঃ হামিদুর রহমান। নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিলো ১৯৫৬ সালে।
পৃথিবীতে একটি প্রাণীর নাম বলো তো, যার কোনো মগজ বা মস্তিস্ক অর্থাৎ ব্রেইন নেই? ভাবছো যাহ, মগজ ছাড়া প্রাণী তা আবার হয় নাকি? আরে সত্যিই তাই! স্টার ফিশ নামের একধরনের সামুদ্রিক মাছের নাকি কোনো মগজই নেই। মগজের বদলে এক ধরনের স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমেই তারা তাদের যাবতীয় কাজ করে থাকে। প্রশ্ন করতেই পারো যে তাদেরকে কেনোই বা মাছ বলা হয়? তাহলে শোনো, তারা আসলে মাছ নয়। পানির নিচে থাকে বলেই তাদেরকে তারা মাছ বা স্টার ফিস বলে ডাকা হয়।
ক্যানাডা একটি দেশের নাম সেটা কে না জানে। কিন্তু তোমাকে যদি জিজ্ঞেস করি বলো তো ক্যানাডা মানে কি? তাহলে তুমি নিশ্চয় আমাকে পাগল ভাববে তাইনা? মজার ব্যাপার কি জানো? ক্যানাডা একটি ভারতীয় শব্দ। এর মানে হলো বড় গ্রাম। তাহলে! কী দাঁড়াচ্ছে? ক্যানাডা একটি বড় গ্রাম, তাই তো!
আমরা যেমন খাবার মুখে দিয়ে জিহ্বা দিয়ে নেড়ে চেড়ে, দাঁত দিয়ে চিবিয়ে খাই; কুমিররা কিন্তু তা করেনা। খাবার সময় ওরা জিহ্বা তো নাড়াতে পারেই না এমনকি খাবারও চিবুতে পারেনা। তাহলে ওরা খায় কিভাবে? খাবার হজম করার জন্য একধরণের জারক রস ওদের মুখে জমা হয়। এই জারক রসের কারণেই খাবার নরম হয়ে হজম হয়ে যায়। এই রসের এতোই ক্ষমতা যে, স্টিল পর্যন্ত এটা হজম করে ফেলে!
মানুষের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগামী সাঁতারু ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬ মাইল পর্যন্ত সাঁতরাতে পারে। আর স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগামী সাঁতারু হলো- ডলফিন। ওরা ঘন্টায় কতো মাইল পর্যন্ত সাঁতরে যেতে পারে জানো? ৩৫ মাইল!
ক্যাঙ্গারুদের সামনের পা, পেছনের পা থেকে কিছুটা ছোট হয়। অন্যভাবে বললে, পেছনের পা বেশ বড়ো হয়। শুধু বড়োই নয়, শক্তিশালীও হয় ভীষণ। এই পায়ের ওপর ভর দিয়েই ক্যাঙ্গারুরা একেকবারে তিন থেকে পাঁচ মিটার পর্যন্ত লাফিয়ে পেরুতে পারে! আর যখন শিকারীরা তাড়া করে, তখন এই লাফের দৈর্ঘ্য কতো হয় জানো? সাত থেকে নয় মিটার! আর ওদের যে মোটাসোটা লেজটা আছে, সেই লেজের উপর ভর দিয়ে জাঁকিয়ে বসাটা ওদের দারুণ পছন্দ। তাছাড়া, লাফ দেওয়ার সময় এই লেজ ওদের ভারসাম্যও রক্ষা করে থাকে।
হীরা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পদার্থ। আবার সবচেয়ে শক্ত পদার্থও কিন্তু হীরা। অন্য কোনো পদার্থ দিয়ে নয়, হীরাকে কাটতে পারে একমাত্র হীরাই। হীরা পাওয়া যায় খনি থেকে। আর বিদ্যুত কুপরিবাহী হলেও হীরা তাপ সুপরিবাহী। এর তাপ পরিবাহিতা তামার চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি।
পানির অপর নাম জীবন বলার কারণ হলো, খাবার ছাড়া আমরা প্রায় ১ মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি। কিন্তু পানি ছাড়া? পানি ছাড়া টেনেটুনে বড়জোর ১ সপ্তাহ বেঁচে থাকা সম্ভব। আমাদের শরীর থেকে যদি ১% পানি বেরিয়ে যায়, তাহলেই আমরা পানির তৃষ্ণা অনুভব করি, আর শরীর থেকে যদি ১০% পানি বেরিয়ে যায়, তাহলে আমরা কিন্তু অবস্থা বিশেষে মারাও যেতে পারি। কাজেই, বেশি করে পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে কেমন! আর এই পানি কিন্তু অযথা নষ্ট করাও চলবে না।
সবাই মনে করে উট-ই বুঝি সবচেয়ে বেশিদিন পানি পান না করে থাকতে পারে। কিন্তু অদ্ভুত তথ্য হলো, একটা ইঁদুর, উটের চেয়েও বেশিদিন পানি পান না করে বেঁচে থাকতে পারে।
কাঠবিড়ালীরা পিছু হটতে পারেনা। মানে পেছন দিকে যেতে চাইলেও পুরো উল্টা ঘুরে তারপর ওদেরকে পিছন দিকে যেতে হয়।
মুরগীর ডান পা থেকে বাম পা বেশি নরম। তাই রান্না করার সময় বাম পা সিদ্ধ হয় তাড়াতাড়ি।
পাশের দেশ ভারতে এক জরিপে করে দেখা গেছে, সেখানে মোট বানরের সংখ্যা পাঁচ কোটিরও বেশি।
এটা জানো! গরু সহজেই সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে পারে, কিন্তু নামার বেলায় কোনভাবেই নামতে পারে না।
আগুন বা আলো দেখলেই মথ কেনো ঝাঁপিয়ে পড়ে, বল তো? ওরা কিন্তু আলোর প্রতি আকৃষ্ট হয় না, আলোর পেছনের অন্ধকারই ওদেরকে টানে বেশি।
একজন মানুষ কোন খাবার না খেয়ে বাঁচতে পারে এক মাস, কিন্তু পানি পান না করলে এক সপ্তাহের বেশি বাঁচতে পারে না।
চা আবিষ্কার হয় চীনে, আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে। ফুটন্ত পানিতে ভুলে কিছু চা পাতা পড়ে গিয়ে এই পানীয় তৈরি হয়ে যায়। নিউ ইয়র্কে ১৯০৯ সালে টমাস স্যুলিভান প্রথম টি-ব্যাগের প্রচলন করেন।
চা আবিষ্কার হয় আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে চীনে। ফুটন্ত পানিতে ভুলে কিছু চা পাতা পড়ে গিয়ে এই পানীয় তৈরি হয়ে যায়।
মশা কামড় দেয় না, হুল ফোঁটায়, এটা তো সবাই জানো। তাই বলে মশার যে দাঁত নেই, তা কিন্তু নয়। মশার সর্বমোট ৪৭টি দাঁত আছে।
মানুষের মতো একেক দেশের গরুও কিন্তু একেক ভাষায় ডাকে!
যখন তুমি হাঁচি দাও, তখন তোমার মস্তিষ্কের কিছু কোষ মারা যায়। কিন্তু, হাঁচি আসলে কী করবো?
উড়ার সময় বাদুড় সবসময় বামদিকে মোড় নেয়, কখনো ডানদিকে যায় না।
ডলফিনরা ঘূমানোর সময় এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়।
তোমার শরীরে হাড্ডির সংখ্যা ২০৬ টি। তবে জন্মের সময় তোমার হাড্ডির সংখ্যা ছিল ৩০০টি। কেউ যদি জন্মাবার সময় গুনতে পারে, তাহলে চেষ্টা করে দেখ।
মাথা কাটা পড়লেও তেলাপোকা বেঁচে থাকে কয়েক সপ্তাহ! ঐ কয়দিন কিভাবে সে খানাপিনা করে কে জানে?
ওক গাছ প্রায় ২০০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। আর ৫০ বছর বয়স না হলে এই গাছে কোন ফল ধরে না।
অনেকেই জানে না লিপস্টিকে মাছের আঁশ থাকে।
আমেরিকার ‘দি নিউ ইয়র্ক টাইমস’ সংবাদপত্রের রবিবারের সংখ্যাটি ছাপতে যে পরিমাণ কাগজ প্রয়োজন তার জন্য ৬৩ হাজার গাছ কাটতে হয়।
সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ৪৯২ সেকেন্ড।
মানুষের মাথার চুল মৃত্যু অবধি বাড়তে থাকে। এভাবে মানুষের চুল প্রায় ৫৯০ মাইল লম্বা হতে পারে।
শামুক একটানা তিন বছর ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে পারে।
সিংহের গর্জন পাঁচ মাইল দূর থেকেও স্পষ্ট শোনা যায়।
কুমিরের দাঁত পড়ে গেলেও কোন সমস্যা নেই। একটা দাঁত পড়ে গেলেই কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে নতুন আরেকটা দাঁত গজায়। এমনকি বুড়ো বয়সেও।
প্রত্যেক মানুষের হাতের ছাপের মতো জিহ্বার ছাপও পুরোপুরি আলাদা। কারোটার সাথে কারোটার কোন মিল নেই।
বিগত চার হাজার বছর মানুষ নতুন কোন প্রাণীকে পোষ মানাতে পারেনি।
বিশ্বাস করো আর নাই করো, পৃথিবীতে মানুষের বেশি ব্যবহৃত নাম মোহাম্মদ।
তোমার বয়স যখন ৭০ বছর হবে ততোদিনে তোমার ১২ হাজার গ্যালন পানি পান করা হয়ে যাবে।
মানুষ তার সারাজীবনে যে খাদ্য খায় তার পরিমাণ কতো জানো? ৬০ হাজার পাউন্ড। তার মানে ৬টি জলজ্যান্ত হাতির সমান!
পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের যদি প্রতিদিন গোসলের অভ্যাস থাকতো, তাহলে পৃথিবীর পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানির বেশিরভাগই একদিনেই নোংরা হয়ে যেতো। বাঁচা গেছে!
প্রতিবছর তুমি কতবার চোখের পলক ফেলো তার হিসেব রাখো! এক কোটি বার!
এন্টার্কটিকা হচ্ছে সবচেয়ে ঠাণ্ডা মহাদেশ। যেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে থাকে সবসময়। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ১২৬.৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট রেকর্ড করা হয়েছে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে যতই উপরে উঠবে ততই ঠাণ্ডা। মাত্র ১০ মাইলের উপরে তাপমাত্রা কত জানো। মাইনাস ১৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
শিশুরা কথা বলতে শিখলেই নানান প্রশ্ন করে। একটি ৪ বছরের শিশু প্রতিদিন গড়ে ৪৩৭টি প্রশ্ন করে।
তোমার পেন্সিলের লেড (গ্রাফাইট) আর হীরক একই পদার্থ থেকে তৈরি। উভয়ই বিশুদ্ধ কার্বনের রূপ। পৃথক পৃথক চাপ আর তাপমাত্রার কারণে একটি সস্তা গ্রাফাইটে আরেকটি বহুমূল্যবান হীরকে রূপান্তরিত হয়।
টুথ ব্রাশ আবিষ্কার হয় ১৪৯৮ সালে। তার আগের মানুষ দাঁত ব্রাশ করতো কীভাবে!
কোমল পানীয় কোকাকোলায় এক ধরনের রঙ মেশানো হয়। রঙ না মেশালে কোকাকোলার রঙ সবুজ হতো।
চোখ খুলে হাঁচি দেখা সম্ভব নয়। আয়নায় চেষ্টা করে দেখতে পারো।
আমরা একটু বেশি খেলেই মুটিয়ে যাই। কিন্তু পাফিন (এক জাতের হাঁস) সারাদিন ধরে তার নিজ দেহের ওজনের সমান খাবার খায়। তারপরও সে মোটা হয় না। এটা কি ঠিক হলো?
আজ যদি তোমার জন্মদিন হয় তাহলে জেনে রেখো তুমি পৃথিবীর প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে তোমার জন্মদিন পালন করছো। কারণ আজ ওদেরও জন্মদিন।
আমেরিকার ইলিনোয়স রাজ্যে আছে এক অদ্ভূত আইন। সেটা হচ্ছে, কোন মৌমাছি এই শহরের উপর দিয়ে উড়ে যেতে পারবে না।
জিরাফের গলা লম্বা- কে না জানে। কিন্তু জিরাফের কাশি হলেও সে কখনো কাশতে পারে না। হায় রে!
তোমরা হয়তো মনে করো যে, শামুকের কোন দাঁত নেই। অথচ শামুকের ২৫ হাজার দাঁত আছে। কল্পনা করো শামুক যদি কখনো তোমাকে কামড় দেয় তাহলে কি হবে।
একটি তেলাপোকা তার মাথা ছাড়া ৯ দিন দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে।
তোমার যদি একটি তারা গুণতে এক সেকেন্ড সময় লাগে, তাহলে একটি গ্যালাক্সির সব গুণে শেষ করতে ৩ হাজার বছর লাগবে। দোয়া করি দীর্ঘজীবী হও।
একটি রক্তকণিকা আমাদের পুরো দেহ ঘুরে আসতে সময় নেয় মাত্র ২২ সেকেন্ড।
তুমি ৮ বছর ৭ মাস ৬ দিন একটানা চিৎকার করলে যে শক্তি খরচ হয়। তা দিয়ে এক কাপ কফি অনায়াসে বানানো যাবে। কি, চেষ্টা করে দেখবে?
তুমি খালি চোখে কতো দূরত্ব দেখতে পাও জানো? দুই দশমিক মিলিয়ন আলোকবর্ষ। মানে ১৪ এরপর ১৯টি শূন্য বসালে যে সংখ্যাটি হয় সেই দূরত্ব।
তুমি প্রতিদিন কথা বলতে গড়ে ৪৮০০টি শব্দ ব্যবহার করো। বিশ্বাস না হলে এখনই গুনতে শুরু করতে পারো।
কাঁচ আসলে বালি থেকে তৈরি হয়।
প্রাচীনকালে গ্রীক ও রোমানরা শুকনো তরমুজকে মাথার হেলমেট হিসেবে ব্যবহার করতো।
মানুষ তার জীবনের তিন ভাগের একভাগ সময় শুধু ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। অর্থাৎ একটি মানুষের বয়স যদি ৬০ বছর হয়, তাহলে সে ২০ বছর স্রেফ ঘুমিয়ে থাকে।
পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে ৮০ ভাগই হচ্ছে পোকামাকড়।
টমেটো আসলে এক প্রকার সবজি। কোনো ফল নয়।
বজ্রপাতের সময় আলোর যে বিচ্ছুরণ ঘটে তার তেজ থাকে ৯ লাখ ডিগ্রি ফারেনহাইট। যা সূর্যের উপরিভাগের তাপমাত্রার তিনগুণেরও বেশি।
জিরাফের লম্বা গলায় মাত্র ৭টি হাড় আছে।
একটি মাছির গড় আয়ু মাত্র ১৭ দিন। দুঃখই বলতে হবে মাছিরা জন্মদিন পালন করতে পারে না।
পৃথিবীর সব সাপই ছন্নছাড়া। কিন্তু কিং কোবরা পৃথিবীর একমাত্র সাপ যে বাসা বাঁধে।
চায়নায় কোন জাতীয় ফুল ও পাখি নেই।
তুমি তো জানোই হাঙর মানুষকে হাতের কাছে পেলে মেরে ফেলে। কিন্তু অবাক ব্যাপার হচ্ছে প্রতিবছর হাঙরের হাতে যে পরিমাণ মানুষ মরে তার চেয়ে মানুষের হাতেই হাঙর মরে বেশি।
সিংহের গর্জন ৫ মাইল দূর থেকেও দিব্যি শোনা যায়।
বিড়ালের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ১০০.৪° ফারেনহাইট থেকে ১০২.৫°ফারেনহাইট। থার্মোমিটার দিয়ে মেপে দেখতে পারো।
বাচ্চা বিড়াল চোখ বন্ধ অবস্থায় জন্মায়। ৭ থেকে ১৪ দিন এভাবে চোখ বন্ধ অবস্থাতেই থাকে।
তুমি কি জানো, একটি হাতি প্রতিদিন গড়ে ১৩৬ কেজি খাবার খেয়ে থাকে। কী রকম খাদক রে!
শিম্পাঞ্জি অন্যান্য প্রাণীদের চেয়ে (মানুষ ছাড়া) বেশি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে।
নীল তিমি সবচেয়ে বড় প্রাণী। এর ওজন গড়পড়তা ১২৫ টন হয়ে থাকে। যা প্রায় ১৮০০ জন মানুষের ওজনের যোগফল।
একটি বাদুড় কমসে কম ৩০ বছর বেঁচে থাকে।
বিড়াল ১০০ রকম শব্দ করতে পারে। আর কুকুর পারে মাত্র ১০ রকম।
স্টারফিসের কয়টি চোখ জানো কি? ৮টি। স্টারফিসের প্রতি বাহুতে একটি করে চোখ থাকে।
পৃথিবীর প্রধান নভোচারী কে ছিল জানো তো। একটি কুকুর। যার নাম ছিলো লাইকা।
চায়নায় লাল রঙকে সৌভাগ্যের রঙ হিসেবে দেখা হয়।
প্রাচীনকালে শুধু চায়নায়ই রেশম চাষ হতো। তা হতো কড়া পাহারায়। কেউ এই গোপনীয়তা ফাঁস করার চেষ্টা করলে তার শাস্তি হতো মৃত্যুদণ্ড।
আইসক্রিম সর্বপ্রথম কোথায় তৈরি হয়েছিল জানো? চায়নায়। তাও খ্রিস্টের জন্মেরও দুইহাজার বছর আগে।
তুমি চোখ খুলে কখনোই হাঁচি দিতে পারবে না। বিশ্বাস না হলে এক্ষুণি চেষ্টা করে দেখা।
তোমার মতোই শিম্পাঞ্জিরাও হ্যান্ডশেক করে ভাব বিনিময় করে!
অক্টোপাসকে কি হৃদয়বান বলা যায়? ওর দেহে যে তিনটি হৃৎপিণ্ড আছে!
১০০ বছর আগেও বোর্নিওতে মানুষের মাথার খুলি মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
একটি পোকাখেকো ফ্যালকন পাখি তোমার চেয়েও চোখে বেশি দেখে। সে আধামাইল দূর থেকেই একটা ফড়িংকে ঠিক ঠিক শনাক্ত করতে পারে।
অতীতে রোমান সৈন্যরা বিশেষ এক ধরনের পোশাক পরত। এই পোশাকটাই এখন মেয়েদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। পোশাকটার নাম স্কার্ট।
ডলফিন একচোখ খোলা রেখে ঘুমায়। তুমিও একটু চেষ্টা করে দেখো, সম্ভব কি না।
তুমি কি জানো, এক পাউন্ড বিশুদ্ধ তুলা থেকে ৩৩ হাজার মাইল লম্বা সুতা তৈরি সম্ভব!
আমাদের ত্বকের প্রতি বর্গইঞ্চিতে প্রায় ৬২৫টি ঘামগ্রন্থি আছে। ওগুলো এতো সূক্ষ্ম যে তুমি গুনে দেখতে চাইলেও পারবে না।
পৃথিবীর সব সাগরে যে পরিমাণ লবণ আছে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৫০০ ফুট পুরু লবণের স্তুপ দিয়ে ঢেকে ফেলা যাবে।
গ্যালিলিও দূরবীন আবিষ্কার করার আগে মানুষ খালি চোখে আকাশে মাত্র পাঁচটি গ্রহ দেখতে পেতো!
জলের হাতি বা জলহস্তি পানির নিচে ৩০ মিনিট দম বন্ধ করে থাকতে পারে।
ফড়িংয়ের কান মলে দিতে চাইলে কিন্তু একটু সমস্যা হবে। কারণ ফড়িংয়ের কান হাঁটুতে।
কাঠঠোকরা এতো যে কাঠ ঠোকড়ায় তাতে ওর মাথা ব্যথা হয় না? না, হয় না। কারণ কাঠঠোকরার খুলির চারপাশে অনেকগুলো বায়ু প্রকোষ্ঠ আছে, যা নরম কুশনের কাজ করে।
ভালুক অলস হলে কি হবে, সে প্রতি ঘণ্টায় ৪৮ কিলোমিটার (৩০ মাইল) গতিতে দৌড়াতে পারে।
তুমি তো গাছ থেকে সহজেই খাবার পাও। কিন্তু জানো কি এক পাউন্ড খাবার তৈরি করতে গাছের প্রায় ১০০ পাউন্ড বৃষ্টির পানি খরচ করতে হয়।
পৃথিবীর ওজন কতো জানো? ৬৬-এর ডানপাশে ২০টি শূন্য বসালে যে সংখ্যাটি হয় সেটাই পৃথিবীর ওজন। এবার নিজেই হিসেব করে দেখো।
গিরগিটির জিহ্বার আকার তার শরীরের চেয়েও বড়। যতো বড়ো মোবাইল নয় তত বড় সীম, আর কি!
একজন মানুষ প্রতিদিন যে পরিমাণ বাতাস শ্বাস হিসাবে গ্রহণ করে তা দিয়ে একটি নয় ১০০০টি বেলুন ফোলানো সম্ভব।
২০০৪ সাল পর্যন্ত মোট ২২৪৯ জন অভিযাত্রী এভারেস্ট জয় করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন প্রায় ১৮৬ জন।
প্রথম এভারেস্ট জয়ী ‘শেরপা’ শুধু শেরপা তেনজিং নোরগের একার নামের মধ্যে আছে এমন নয়। বরং শেরপা হলো একটা পুরো গোত্রের নাম।
একটা কথা কি জানো হিমালয় পর্বতের যে উচ্চতা রয়েছে তা কিন্তু বাড়ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিবছর প্রায় ৪ মিলিমিটার করে বাড়ছে হিমালয়ের উচ্চতা!
সমুদ্র সমতল থেকে হিসেব করলে পৃথিবীর দ্বিতীয় সবোর্চ্চ শৃঙ্গ পাকিস্তান ও চীন সীমান্তের কে-টু পাহাড়। এর উচ্চতা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট (৮ হাজার ৬১১ মিটার)।
আপেল খেতে যতই স্বাদ লাগুক, জেনে নিও আপেলের ৮৪ ভাগই পানি।
সবচেয়ে লম্বা ঘাসের নাম জানো? বাঁশ। এই ঘাস লম্বায় ১৩০ ফুটও হতে পারে।
প্রতি মিনিটে তোমার শরীর থেকে প্রায় ৩০০টি মৃত দেহ কোষ ঝরে পড়ছে।
সাপ হচ্ছে একমাত্র সত্যিকারের মাংসাশী প্রাণী। কারণ অন্য প্রাণীরা কিছু না কিছু উদ্ভিদ জাতীয় খাবার খেলেও সাপ কখনোই তা করে না।
প্রতি চার মিনিটে মায়েরা একবার তার সন্তানের কথা ভাবেন। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ২১০ বার সন্তানের কথা চিন্তা করেন একজন মা।
প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে মা দিবসে প্রায় ১৫ কোটি ২০ লাখ কার্ড বিলি হয় মায়েদের কাছে।
সবচেয়ে ছোট ডাকটিকেটটি ছিলো ৯.৫ x৮ মিমি। ১৮৬৩ সালে এই টিকেটটি প্রকাশ করেছিলো বলিভারের কলাম্বিয়ান স্টেট।
এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ডাকটিকেট প্রকাশ করেছে চীন। বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে তারা ২১০ x ৬৫ মিমি মাপের ডাকটিকেটটি প্রকাশ করে।
ডাকটিকেটের পেছনে প্রথম আঁঠা লাগানোর পদ্ধতি চালু করে সিয়েরা লিয়ন নামের আফ্রিকা মহাদেশের দেশটি। সালটা ছিলো ১৯৬৪।
ডাকটিকেট কখনো কলার মতো হয়! শুনে তুমি অবাক হবে, কিন্তু উত্তরটা হচ্ছে, হ্যাঁ হয়। প্যাসিফিক আইল্যান্ড অব টঙ্গা কলার মতো দেখতে একটি ডাকটিকেট প্রকাশ করেছিলো একবার।
মানুষের নখ প্রতিদিন ০.০১৭১৫ ইঞ্চি করে বাড়ে।
মানুষের শরীরের রক্ত শরীরের ভেতর প্রতিদিন ১৬ লাখ ৮০ হাজার মাইল সমান পথ অতিক্রম করে।
মানুষ প্রতিদিন ৪৩৮ ঘনফুট বাতাস শ্বাস প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহার করে।
মানুষের কান প্রতি বছর এক ইঞ্চির প্রায় ০.০০৮৭ অংশ করে বাড়ে। ভাগ্যিশ! বেশি বাড়লে শেষে একেবারে গাধার কানের মতো লম্বা হয়ে যেতো!
দাড়িপাল্লায় যদি ওজন করা সম্ভব হতো তাহলে পৃথিবীর ওজন ৮১টি চাঁদের ওজনের সমান হতো।
নীল তিমিই প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে জোরে শব্দ করতে পারে। পরস্পর ভাববিনিময়ের সময় ওরা যে শিস দেয়, সেটা ৫৩০ মাইল দূর থেকেও শোনা যায়।
অংকে এক মিলিয়ন লিখতে ৭টি সংখ্যা লাগে। তেমনি ইংরেজিতে মিলিয়ন শব্দটি লিখতে ৭টি অক্ষর লাগে।
পিঁপড়েও চিরুনি ব্যবহার করে। শুধু কি তাই ওরা নিজের কাছে চিরুনি রাখেও সবসময় সামনের দুপায়ের ভাঁজের কাছে। যা দিয়ে প্রয়োজন মতো নিজেকে একটু পরিপাটি করে নেয়।
তুমি যদি ড্রাগনফ্লাই বা গঙ্গা ফড়িংয়ের সঙ্গে দৌড়ে পাল্লা দাও, তাহলে হেরে যাবে নিশ্চিত। কারণ ড্রাগনফ্লাই ঘন্টায় ৩০ মাইল পথ উড়ে যেতে পারে।
নাকের বদলে পা দিয়ে নিঃশ্বাস নিলে কেমন হবে বলো তো? স্যান্ড বারলার ক্র্যাব (এক প্রকার কাঁকড়া) তার পা দিয়েই বিশেষভাবে নিঃশ্বাস নেয়। কারণ ওর নাক নেই।
বোলা স্পাইডার নামের এক ধরনের মাকড়শা বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মতো করে পোকামাকড় ধরে খায়।
কোয়েলা ঘুম কাতুরে। ওরা দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই ঘুমিয়ে কাটায়।
পৃথিবীতে একমাত্র মানুষই হাসতে পারে। এই তুমি কি হাসতে পারো? না পারলে মানুষের খাতা থেকে তোমার নাম কাটা।
কেঁচোর কোন চোখ না থাকায় সে অন্য প্রাণীদের মতো দেখতে পায় না। তবে সমস্যা নেই, ত্বকের বিশেষ ধরনের কোষের সাহায্য চারিপাশের অবস্থা সে ঠিকই বুঝতে পারে।
তোমার পুরো শরীরের মাংসপেশী আছে মোট ৬৫০টি। গুনে দেখবে একটু?
আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবী ৫০টি চাঁদের সমান। অর্থাৎ পৃথিবীর সমান আয়তনে কোনো পাত্রে ৫০টি চাঁদ রাখা যাবে।
তোমরাই বলো, জাল ছাড়া আবার মাকড়সা হয় নাকি! কিন্তু বোলা স্পাইডার নামে এক ধরনের মাকড়সা আছে যারা কোন জালই বোনে না।
ঘোড়ার নাকের ফুটো দুটো শুধু আকারেই বড় নয়, কাজেও ঠিক তেমনি। ঘোড়ার রয়েছে অসাধারণ ঘ্রাণশক্তি।
কেঁচোকে সারাজীবনে কখনোই চশমা পরতে হয় না। কেন জানো? কারণ ওর শরীরে কোন চোখই নেই।
মানুষের শরীর থেকে প্রতিদিন গড়ে এক চা কাপের সমান ঘাম ঝরে।
মাত্র ৫ লিটার মধু খেয়ে এক একটি মৌমাছির ঝাঁক ৪০ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে পারে।
একটি কলার শতকরা পঁচাত্তর ভাগই পানি। তুমি যদি ছোট্ট এক গ্লাস পানির বদলে এক গ্লাস কলা খাবো বলো, তাহলে কিন্তু খুব একটা ভুল হবে না!
জানোই তো একজন মানুষের আঙুলের ছাপ আরেকজন মানুষের চেয়ে ভিন্নতর। তেমনি ঠোঁটের ছাপ ও একজনের চেয়ে আরেকজনেরটা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
একটি কলার শতকরা পঁচাত্তর ভাগই পানি। তুমি যদি ছোট্ট এক গ্লাস পানির বদলে এক গ্লাস কলা খাবো বলো, তাহলে কিন্তু খুব একটা ভুল হবে না!
মাশরুমে প্রোটিনের পরিমান আলুর চেয়ে দ্বিগুন, টমেটোর চারগুন এবং কমলা লেবুর ছয় গুন বেশি। তাই বলে মাশরুম কাঁচা খেয়ে ফেলাটা কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
মুরগি পাখি বলে ধরা হয়। তো এ পর্যন্ত একটি মুরগি শূন্যে ডানা ঝাপ্টে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড হচ্ছে ৩০২ ফুট। হায়রে মুরগি!
তুমি কি মাকড়সা ভয় পাও? ভয় পাওয়ার কিছু নেই, ওরা খুব নিরীহ। কিন্তু আমেরিকার ব্ল্যাক উইডো মাকড়সাকে ভয় পেতেই হবে। ওরা এতো বিষাক্ত যে এক কামড়ে মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।
খ্রিস্টপূর্ব ৫ শতকে ভারতের পাণিনি সংস্কৃত ভাষার ব্যকরণ রচনা করেন। এই ব্যকরণে ৩৯৫৯টি নিয়ম লিপিবদ্ধ করেন তিনি।
বাংলাভাষায় বিশ্বের বিশ কোটিরও মানুষ কথা বলে। এসব মানুষের বেশির ভাগই বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করে।
বাংলাভাষায় লেখা প্রথম ব্যাকরণ রচিত হয় ১৭৩৪ থেকে ১৭৪২ সালের মধ্যে। এর লেখক ছিলেন মানোএল দা আসসুম্পসাঁউ নামের এক পুর্তগিজ পাদ্রি।
হ্যারি পটার সিরিজের বই এ পর্যন্ত ৬৫টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তবে ব্রিটিশ ইংরেজিতে লেখা বইটি প্রথমে আমেরিকান ইংরেজিতে অনূবাদ করা হয়েছিল।
এ পর্যন্ত হ্যারি পটার সিরিজের বই বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ৪০০ মিলিয়ন কপিরও বেশি বিক্রয় হয়েছে।
হ্যারি পটার সিরিজের কল্যানে লেখিকা জে কে রাউলিং বিশ্বে ১৩৬তম এবং ব্রিটেনে ১৩তম ধনী।
বাংলা ভাষায় ছাপা প্রথম সম্পুর্ন গদ্যগ্রন্থ ছাপা হয় ১৭৮৫ সালে। বইটি ছিল জোনাথান ডানকানের লেখা ‘ইম্পে কোড’ নামের একটি আইনের বইয়ের বাংলা অনুবাদ।
ইংরেজিতে ছাপা প্রথম বইয়ের নাম ছিল ‘দি রেকুইয়েল অব দি হিস্টোরিয়েস অব ট্রয়’ (The Recuyell of the Historyes of Troye)। এই বইটি ছাপা হয় ১৪৭৫ সালে আর লেখক ছিলেন উইলিয়াম ক্যাক্সটন।
জার্মানির গুটেনবার্গ ১৪৪০ সালে মুভেবল টাইপ উদ্ভাবন করেন। এই ছাপাখানায় তিনি ল্যাটিন ভাষায় ১৪৫৫ সালে বাইবেল ছাপেন। এটিই বিশ্বের প্রথম মুদ্রিত বই।
পৃথিবীতে যত লিপস্টিক আছে, তার বেশিররভাগই তৈরি হয় মাছের আঁশ দিয়ে। (তাইতো বলি এত মাছ খাই, তার আঁশগুলো যায় কোথায়!)
একটার ওপর একটা বিশাল বিশাল ব্লক বসিয়ে তৈরা করা হয়েছে মিশরের পিরামিডগুলো। তাতে একটা দুটো নয়, যেমন ধর গিজার পিরামিড বানাতে লেগেছে আড়াই মিলিয়ন ব্লক। আচ্ছা, তা না হয় বানালো কিন' বসে বসে ওগুলো গুনলো কে?
বিজ্ঞানি টমাস আলভা এডিসন অনেক আগে একটি হেলিকপ্টার বানানোর বুদ্ধি করেছিলেন যেটা চলবে বন্দুকের বারূদ দিয়ে। কিন' তার এই বুদ্ধিটা খুব একটা বুদ্ধিমানের মত ছিল না, কারণ এটা বানাতে যেয়ে সে তার পুরো ল্যবরেটরি উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
ভয় পেলে বা কোন কারণে উত্তেজিত হলে একটা টার্কি প্রতি ঘন্টায় ২০ মাইল জোড়ে দৌড়াতে পারে আর দৌড়াতে দৌড়াতে যখন লাফ দেয়, তখন বাতাসে সে প্রতি ঘন্টায় ৫০ থেকে ৫৫ মাইল বেগে উড়ে যেতে পারে।
বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন চেয়েছিলেন আমেরিকার জাতীয় পাখি হোক টার্কি (এক ধরনের বড় মোরগ)। কিন্তু ওনার স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
হাতের বুড়ো আঙ্গুলের নখ বড় হয় খুব আস্তে আস্তে, আর সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বড় হয় মধ্যমার নখ।
হাসাহাসি করা কিন্তু সোজা না। সে তুমি মুচকি হাসো আর হো হো করে হাসো, প্রতিবার হাসার সময় মুখের কমপক্ষে ৫ জোড়া মাংশপেশী তোমাকে ব্যবহার করতে হয়। আর বেশী হাসি পেলে তো মোট ৫৩টা পেশী লাগবে।
কোন কথা না বলেই মানুষ তার তার মুখ দিয়ে হাজার রকম ভাব প্রকাশ করতে পারে। রাগ, অভিমান, মেজাজ এইসব আরকি। কিন্তু এগুলোর ভেতরে আমরা সবচেয়ে বেশী কি করি জানো? হাসি! হি হি হি!
স্টার ফিশগুলো কিন্তু মস্ত বোকা। ওদের কোন মগজই নেই।
গোল্ড ফিস ছোট্ট হলে কি হবে, ওদের কেউ কেউ ৪০বছর পর্যন্তও বাঁচতে পারে।
আট পা’অলা অক্টোপাসের হৃৎপিন্ড থাকে তিনটা। ওফ্ এই অক্টোপাসগুলোর সবকিছুই বেশী বেশী।
খোলহীন শামুক দেখেছ না? ওদের একটাও খোল না থাকলে কি হবে, ওদের নাক কিন্তু চারটা!
হি হি হি... জানো নাকি কচ্ছপরা ওদের পেছন দিক দিয়েও নিঃশ্বাস নিতে পারে।
স্টোন ফিশ নামের একটি মাছ পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ার তীর ঘেঁষে। এই স্টোন ফিশের শরীর পাথরের মত শক্ত কিনা জানি না, পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত মাছ কিন্তু এটাই।
দুনিয়া জুড়ে হিসাব করলে প্রতি বছর প্লেন ক্রাশে যত মানুষ মারা যায়, তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় গাঁধার পিঠ থেকে পড়ে। এ জন্যই বোধহয় মানুষ গাধার পিঠে না, প্লেনে করেই বিদেশ বেশি যায়।
বসে বসে টিভি দেখার চেয়ে শুয়ে শুয়ে ঘুমালে শরীরের অনেক বেশি ক্যালরি পোড়ে। অবশ্য যদি লাফাতে লাফাতে টিভি দেখ তাহলে অন্য হিসাব।
ওয়াল্ট ডিজনিকে চেনো তো? তিনি মিকি মাউসের স্রষ্টা। কিন্তু এটা কি জানো যে তিনি নিজেই ইঁদুর মারাত্মক ভয় পেতেন।
ব্যাংক অফ আমেরিকার আসল নাম ছিল ব্যাংক অফ ইতালি।
অজ্ঞান হয়ে উল্টে পড়ার সময় পিপঁড়ারা সবসময় তাদের ডান দিকে পড়ে। কাজেই কোন পিপঁড়াকে যদি বাম দিকে উল্টে থাকতে দেখ, বুঝে নিবে সে নিশ্চয়ই স্কুল ফাঁকি দেবার জন্য অজ্ঞান হবার অভিনয় করছে।
মাত্র দশ বছর আগেও চীনের ৫০০ জন মানুষ বরফে স্কি করতে জানতো, কিন্তু এ বছর প্রায় ৫ লক্ষ চীনা স্কিইং করতে বিভিন্ন স্কি রিসোর্টে ঘুরতে গেছে!
ডানহাতি মানুষেরা সাধারণত বাঁহাতি মানুষের চেয়ে অল্প কিছুদিন বেশী বাঁচে। অবশ্য যারা দুই হাতেই সমান তালে কাজ করতে জানে তাদের ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
একজন মানুষ তার জীবনের অন্তত দুই সপ্তাহ কাটায় ট্রাফিক সিগনালের লাল বাতিতে। আর জ্যাম লাগলে তো কথাই নেই।
No comments:
Post a Comment