ছোটপর্দার অভিনেত্রী মিতা নূরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসার ড্রয়িংরুম থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, আজ ভোরের দিকে মিতা নূরের পরিবারের লোকজন থানায় ফোন করে ঘটনার কথা জানায়। সকাল পৌনে সাতটার দিকে পুলিশ মিতা নূরের গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসায় যায়। বাসার ড্রয়িংরুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় পুলিশ। তাঁর গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। পরে ফ্যান থেকে মিতা নূরের নিথর দেহ নামায় পুলিশ। এ সময় বাড়িতে তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিল।
ঘটনা সম্পর্কে মিতা নূরের ছেলে শেহজাদ নূর (১৭) প্রথম আলো ডটকমকে বলেছে, ‘মধ্যরাতের কোনো একসময় ঘটনাটি ঘটেছে বলে আমাদের ধারণা। তবে কী কারণে এটা ঘটেছে, এখন পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারছি না।’
সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের ভাষ্য, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি জানান, দুই দিন আগে নিকেতনে স্বামী শাহনূর রহমানের বায়িং হাউসের অফিসে যান মিতা নূর। সেখানে তাঁদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে একপর্যায়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে হাজির হয়। পুলিশের মধ্যস্থতায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতা হয়।
মিতা নূরের সঙ্গে তাঁর স্বামীর কী নিয়ে কলহ চলছিল, এ ব্যাপারে পুলিশ কিছু জানায়নি।
শাহনূরের ছোট ভাই মাহিনূর রহমান মজুমদার দাবি করেন, গত শনিবার দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নিকেতনে স্বামীর বায়িং হাউসে গিয়েছিলেন মিতা নূর। স্বামীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে নিজেই গুলশান থানায় ফোন করেন।
এ বিষয়ে মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান ও শ্বশুর সৈয়দ আহমেদ মজুমদার এখনই কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ থাকতে পারে। তবে আমরা সেটা জানি না।’
ঘটনার বিষয়ে মিতা নূরের স্বামী শাহনূর রহমান বলেন, ‘মিতা কয়েক দিন ধরেই বিষণ্নতায় ভুগছিল। তবে মিতার এ বিষণ্নতার কারণ আমি নিজেও জানতে পারিনি।’
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিতা নূরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে মিতা নূরের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে শরীরের অন্য কোথাও কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুপুরের পর মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।
১৯৮৯ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সাপ্তাহিক নাটক ‘সাগর সেচার সাধ’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে মিতা নূরের অভিষেক হয়। শেখ রিয়াজউদ্দিন বাদশার প্রযোজনায় ওই নাটকে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেন প্রয়াত সদরুল পাশা। তবে ১৯৯২ সালে আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় অলিম্পিক ব্যাটারির বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়ে তারকাখ্যাতি পান মিতা নূর। এই বিজ্ঞাপনের ‘আলো আলো বেশি আলো’ জিঙ্গেলটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় তখন। এরপর তাঁকে নিয়মিত বিভিন্ন নাটকে দেখা যেতে থাকে।
১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন মিতা নূর। ১৯৮৮ সালে তিনি শাহনুর রহমান রানাকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই ছেলে শেহজাদ নূর তাওস ও সাদমান নূর তাহমিদ (পৃথবী)। বড় ছেলে শেহজাদ সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে প্রোগ্রামিং ভাষা পিএইচপির সর্বোচ্চ পেশাদারি স্বীকৃতি ‘জেন্ড সার্টিফায়েড প্রকৌশলী ২০১১’ অর্জন করে। আর ছোট ছেলে সাদমান রাজধানীর সি-ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।
গত ৫ জুন মিতা নূর ও তাঁর ছেলে শেহজাদ নূরকে নিয়ে প্রথম আলোর অধুনা পাতায় একটি লেখা প্রকাশিত হয়। এর লিংকটি এখানে দেওয়া হলো
মা অবসরে বাগান করেন, ছেলে কাজ করে কম্পিউটারে
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, আজ ভোরের দিকে মিতা নূরের পরিবারের লোকজন থানায় ফোন করে ঘটনার কথা জানায়। সকাল পৌনে সাতটার দিকে পুলিশ মিতা নূরের গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসায় যায়। বাসার ড্রয়িংরুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় পুলিশ। তাঁর গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। পরে ফ্যান থেকে মিতা নূরের নিথর দেহ নামায় পুলিশ। এ সময় বাড়িতে তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিল।
ঘটনা সম্পর্কে মিতা নূরের ছেলে শেহজাদ নূর (১৭) প্রথম আলো ডটকমকে বলেছে, ‘মধ্যরাতের কোনো একসময় ঘটনাটি ঘটেছে বলে আমাদের ধারণা। তবে কী কারণে এটা ঘটেছে, এখন পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারছি না।’
সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের ভাষ্য, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি জানান, দুই দিন আগে নিকেতনে স্বামী শাহনূর রহমানের বায়িং হাউসের অফিসে যান মিতা নূর। সেখানে তাঁদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে একপর্যায়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে হাজির হয়। পুলিশের মধ্যস্থতায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতা হয়।
মিতা নূরের সঙ্গে তাঁর স্বামীর কী নিয়ে কলহ চলছিল, এ ব্যাপারে পুলিশ কিছু জানায়নি।
শাহনূরের ছোট ভাই মাহিনূর রহমান মজুমদার দাবি করেন, গত শনিবার দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নিকেতনে স্বামীর বায়িং হাউসে গিয়েছিলেন মিতা নূর। স্বামীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে নিজেই গুলশান থানায় ফোন করেন।
এ বিষয়ে মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান ও শ্বশুর সৈয়দ আহমেদ মজুমদার এখনই কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ থাকতে পারে। তবে আমরা সেটা জানি না।’
ঘটনার বিষয়ে মিতা নূরের স্বামী শাহনূর রহমান বলেন, ‘মিতা কয়েক দিন ধরেই বিষণ্নতায় ভুগছিল। তবে মিতার এ বিষণ্নতার কারণ আমি নিজেও জানতে পারিনি।’
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিতা নূরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে মিতা নূরের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে শরীরের অন্য কোথাও কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুপুরের পর মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।
১৯৮৯ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সাপ্তাহিক নাটক ‘সাগর সেচার সাধ’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে মিতা নূরের অভিষেক হয়। শেখ রিয়াজউদ্দিন বাদশার প্রযোজনায় ওই নাটকে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেন প্রয়াত সদরুল পাশা। তবে ১৯৯২ সালে আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় অলিম্পিক ব্যাটারির বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়ে তারকাখ্যাতি পান মিতা নূর। এই বিজ্ঞাপনের ‘আলো আলো বেশি আলো’ জিঙ্গেলটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় তখন। এরপর তাঁকে নিয়মিত বিভিন্ন নাটকে দেখা যেতে থাকে।
১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন মিতা নূর। ১৯৮৮ সালে তিনি শাহনুর রহমান রানাকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই ছেলে শেহজাদ নূর তাওস ও সাদমান নূর তাহমিদ (পৃথবী)। বড় ছেলে শেহজাদ সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে প্রোগ্রামিং ভাষা পিএইচপির সর্বোচ্চ পেশাদারি স্বীকৃতি ‘জেন্ড সার্টিফায়েড প্রকৌশলী ২০১১’ অর্জন করে। আর ছোট ছেলে সাদমান রাজধানীর সি-ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।
গত ৫ জুন মিতা নূর ও তাঁর ছেলে শেহজাদ নূরকে নিয়ে প্রথম আলোর অধুনা পাতায় একটি লেখা প্রকাশিত হয়। এর লিংকটি এখানে দেওয়া হলো
মা অবসরে বাগান করেন, ছেলে কাজ করে কম্পিউটারে
No comments:
Post a Comment