Wednesday, June 5, 2013

সাবধান! পানিবাহিত রোগ


সাবধান! পানিবাহিত রোগ
প্রাক-বর্ষা মৌসুমের প্রথম প্রবল বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া এবং কালবৈশাখিতে বজ্রপাত, গাছচাপা, বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যুর পাশাপাশি সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তা হল প্রবল বর্ষণে রাজধানীসহ অধিকাংশ বড় বড় রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়া। এতে দীর্ঘস্থায়ী ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এখন চলছে গ্রীষ্মকাল। আর কদিন পরই পুরো বর্ষাকাল এসে যাবে তখন এ ভোগান্তি মারাত্ম আকার ধারণ করবে। এর মধ্যে আবার ঈদের প্রস্তুতি। সম্প্রতি প্রলয়ঙ্করি মহাসেন আর নিম্নবায়ুর প্রভাবে পুরো দেশ এক ধরনের স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র ৩ দিনের টানা বর্ষণে রাজধানীর অদূরে ডিএনডি বাঁধের ভেতরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় লাখ লাখ লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হাঁটু পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে পানিবাহিত রোগের মাত্রা বেড়ে গেছে।
পানিবাহিত রোগ নিরাময়ে দরকার সচেতনতা
দেশের নানা জায়গায় পানি জমে বন্যা ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েডসহ পানিবাহিত নানা রোগ হতে পারে। সাধারণত যখন পানি নেমে যায়, তখন রোগবালাই দেখা দেয়।
সময়টা বর্ষাকাল হওয়ায় অতিরিক্ত বৃষ্টি আর সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনব্যবস্থার অভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এরই মধ্যে পানি জমে বন্যা ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত যখন পানি নেমে যায়, তখন রোগবালাই দেখা দেয়। কারণ যখন পানি থাকে তখন পানি প্রবাহের কারণে অনেক ধরনের জীবাণুর আক্রমণ ঘটতে পারে না।
বর্ষা না আসতেই বর্ষা
৫ মে থেকে দেশের খাল-বিল পুকুর ও নদীগুলোয় আগাম বর্ষার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চাঁদপুর জেলায় গত ৫ দিনে ৬টি শিশু ডুবে মারা গেছে। গত ২ হাজার ১২ সালে চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে পুকুর ও নদীর পানিতে ডুবে ২৬টি শিশু মারা গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা জানান, শুধু মা-বাবা ও অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবেই খেলারস্থলে এসব শিশুরা পানিতে ডুবে মারা গেছে।

No comments:

Post a Comment