বাবাদেরও বাবা থাকে। সাধারণত তাদের আমরা দাদু বা দাদা ডেকে থাকি।
যে পিতা তাঁর সন্তানকে তাঁর দায়িত্ব বা কর্তব্য সম্পর্কে শিক্ষা দিতে পারেন না তিনি যেমন দোষী, সেই পুত্রও দোষী যে সেগুলোকে অবহেলা করে।
কনফুসিয়াস
সেই বাবাই জ্ঞানী যে তার সন্তান সম্পর্কে জানে।
শেক্সপিয়ার
বাবারা সব সময় জ্ঞানী হবেন এমন কোনো কথা নেই।
নিউটন অনেক কিছু আবিষ্কার করেছিলেন কিন্তু তাঁর বাবা তেমন কিছুই আবিষ্কার করতে পারেননি।
বাবা তাঁর ছেলেমেয়েদেরও বাবা বলে ডাকতে পারেন।
বাবারা সব সময় চকলেট খেতে বারণ করেন কিন্তু ছোটবেলায় তাঁরাও চকলেটের ভক্ত ছিলেন।
বাবা সম্পর্কে চিন্তার বিবর্তন
বয়স যখন ৪ : আমার বাবা সবকিছু করতে পারেন।
বয়স যখন ৭ : আমার বাবা অনেক জানেন, সবকিছু।
বয়স যখন ৮ : আমার বাবা অনেক কিছু জানেন, কিন্তু সবকিছু নয়।
বয়স যখন ১২ : স্বভাবতই বাবা এটা জানেন না।
বয়স যখন ১৪ : বাবা এখনো বড্ড সেকেলে।
বয়স যখন ২১ : ওহ! তিনি তো আদিম মানুষ।
বয়স যখন ২৫ : তিনি এ ব্যাপারে খুব অল্পই জানেন।
বয়স যখন ৩০ : আমি এটা অবশ্যই খুঁজে বের করব, বাবা এ ব্যাপারে কী ভাবেন।
বয়স যখন ৩৫ : আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাবার আইডিয়াটা নেওয়া দরকার।
বয়স যখন ৫০ : বাবা এ ব্যাপারে কী চিন্তা করতেন?
বয়স যখন ৬০ : আমার বাবা সবকিছুই জানতেন!
বয়স যখন ৬৫ : ইশ্! এটা নিয়ে যদি বাবার সঙ্গে একবার কথা বলতে পারতাম!
বাবার জন্য ভালোবাসা
সোনোরা লুইস ডডের মা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে যখন মারা যান, তখন ডডের বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। বাবা উইলিয়াম জ্যাকসন সবে যুদ্ধ থেকে ফিরেছেন। তার পর থেকেই তিনি দেখেছেন তাঁর বাবা তাঁদের ছয় ভাই-বোনকে মানুষ করার জন্য রাত-দিন কী কঠিন পরিশ্রমই না করছেন। তাঁরা তাঁদের মায়ের অভাব বুঝতেই পারেননি বলতে গেলে। বাবাই তাঁদের মা। বাবাই ছিল তাঁদের সবকিছু। ১৯০৯ সালে ডডের বয়স যখন ২৭, তখন তিনি অবাক হয়েই দেখলেন মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের জন্য একটি দিন আছে, যে দিনটি বিশ্বের প্রায় সবাই পালন করে অথচ বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের কোনো দিন নেই, যেন বাবাকে কেউ ভালোই বাসে না।
ডড ভাবলেন, মা দিবসের মতো বাবা দিবস থাকলে কেমন হয়! কিন্তু তাঁর এ ভাবনা যখন অন্যরা শোনে তখন হেসেই বাঁচে না। এমনকি তাঁকে নিয়ে এ জন্য রঙ্গ-রসিকতা করতেও কেউ বাদ রাখেনি। কিন্তু ডড এতে ভীষণ কষ্ট পেলেও দমলেন না একদম, বরং তাঁর মধ্যে জেদ আরও প্রবল হয়ে উঠল। কারণ, তিনি তাঁর বাবাকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। তাই তিনি আন্তরিকভাবে বাবা দিবস পালনের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে লাগলেন। আন্তরিক প্রচেষ্টা আর কঠোর পরিশ্রম যে সফলতার মূল চাবিকাঠি সেটা আরেকবার প্রমাণিত হলো। কারণ তাঁর পরের বছর মানে ১৯১০ সালে ওয়াশিংটনের স্পোকান নামের ছোট্ট শহরে (ডডের নিজ শহর) কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে পালিত হলো বাবা দিবস।
তারপর ১৯১৬ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন এ দিবসকে সমর্থন করেন। একসময় এটা জাতীয় পার্লামেন্টেও স্বীকৃতি পায়। সেই থেকে জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্ব বাবা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। তুমিও এই দিনে তোমার বাবাকে ভালোবাসা জানাও।
ও ভালো কথা, গোল্লাছুটের পক্ষ থেকে তোমার বাবার জন্য রইল আমাদের অনেক অনেক ভালোবাসা।
যে পিতা তাঁর সন্তানকে তাঁর দায়িত্ব বা কর্তব্য সম্পর্কে শিক্ষা দিতে পারেন না তিনি যেমন দোষী, সেই পুত্রও দোষী যে সেগুলোকে অবহেলা করে।
কনফুসিয়াস
সেই বাবাই জ্ঞানী যে তার সন্তান সম্পর্কে জানে।
শেক্সপিয়ার
বাবারা সব সময় জ্ঞানী হবেন এমন কোনো কথা নেই।
নিউটন অনেক কিছু আবিষ্কার করেছিলেন কিন্তু তাঁর বাবা তেমন কিছুই আবিষ্কার করতে পারেননি।
বাবা তাঁর ছেলেমেয়েদেরও বাবা বলে ডাকতে পারেন।
বাবারা সব সময় চকলেট খেতে বারণ করেন কিন্তু ছোটবেলায় তাঁরাও চকলেটের ভক্ত ছিলেন।
বাবা সম্পর্কে চিন্তার বিবর্তন
বয়স যখন ৪ : আমার বাবা সবকিছু করতে পারেন।
বয়স যখন ৭ : আমার বাবা অনেক জানেন, সবকিছু।
বয়স যখন ৮ : আমার বাবা অনেক কিছু জানেন, কিন্তু সবকিছু নয়।
বয়স যখন ১২ : স্বভাবতই বাবা এটা জানেন না।
বয়স যখন ১৪ : বাবা এখনো বড্ড সেকেলে।
বয়স যখন ২১ : ওহ! তিনি তো আদিম মানুষ।
বয়স যখন ২৫ : তিনি এ ব্যাপারে খুব অল্পই জানেন।
বয়স যখন ৩০ : আমি এটা অবশ্যই খুঁজে বের করব, বাবা এ ব্যাপারে কী ভাবেন।
বয়স যখন ৩৫ : আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাবার আইডিয়াটা নেওয়া দরকার।
বয়স যখন ৫০ : বাবা এ ব্যাপারে কী চিন্তা করতেন?
বয়স যখন ৬০ : আমার বাবা সবকিছুই জানতেন!
বয়স যখন ৬৫ : ইশ্! এটা নিয়ে যদি বাবার সঙ্গে একবার কথা বলতে পারতাম!
বাবার জন্য ভালোবাসা
সোনোরা লুইস ডডের মা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে যখন মারা যান, তখন ডডের বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। বাবা উইলিয়াম জ্যাকসন সবে যুদ্ধ থেকে ফিরেছেন। তার পর থেকেই তিনি দেখেছেন তাঁর বাবা তাঁদের ছয় ভাই-বোনকে মানুষ করার জন্য রাত-দিন কী কঠিন পরিশ্রমই না করছেন। তাঁরা তাঁদের মায়ের অভাব বুঝতেই পারেননি বলতে গেলে। বাবাই তাঁদের মা। বাবাই ছিল তাঁদের সবকিছু। ১৯০৯ সালে ডডের বয়স যখন ২৭, তখন তিনি অবাক হয়েই দেখলেন মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের জন্য একটি দিন আছে, যে দিনটি বিশ্বের প্রায় সবাই পালন করে অথচ বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের কোনো দিন নেই, যেন বাবাকে কেউ ভালোই বাসে না।
ডড ভাবলেন, মা দিবসের মতো বাবা দিবস থাকলে কেমন হয়! কিন্তু তাঁর এ ভাবনা যখন অন্যরা শোনে তখন হেসেই বাঁচে না। এমনকি তাঁকে নিয়ে এ জন্য রঙ্গ-রসিকতা করতেও কেউ বাদ রাখেনি। কিন্তু ডড এতে ভীষণ কষ্ট পেলেও দমলেন না একদম, বরং তাঁর মধ্যে জেদ আরও প্রবল হয়ে উঠল। কারণ, তিনি তাঁর বাবাকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। তাই তিনি আন্তরিকভাবে বাবা দিবস পালনের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে লাগলেন। আন্তরিক প্রচেষ্টা আর কঠোর পরিশ্রম যে সফলতার মূল চাবিকাঠি সেটা আরেকবার প্রমাণিত হলো। কারণ তাঁর পরের বছর মানে ১৯১০ সালে ওয়াশিংটনের স্পোকান নামের ছোট্ট শহরে (ডডের নিজ শহর) কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে পালিত হলো বাবা দিবস।
তারপর ১৯১৬ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন এ দিবসকে সমর্থন করেন। একসময় এটা জাতীয় পার্লামেন্টেও স্বীকৃতি পায়। সেই থেকে জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্ব বাবা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। তুমিও এই দিনে তোমার বাবাকে ভালোবাসা জানাও।
ও ভালো কথা, গোল্লাছুটের পক্ষ থেকে তোমার বাবার জন্য রইল আমাদের অনেক অনেক ভালোবাসা।
No comments:
Post a Comment