
এরপর পুরো দলটিকে দৈব চয়নের ভিত্তিতে দুটো ভাগে ভাগ করা হয়। একদলকে সপ্তাহে একদিন ২ ঘণ্টা করে ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অন্য দলের সদস্যদের উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক চিকিতসা চালানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়ামের ও উপযুক্ত খাদ্য খাওয়ার ওপর নিয়মিত উপদেশ দেয়া হয়।
ছয় মাসের এ গবেষণা চালানোর সময় তিন মাসের মাথায় দুই দলের সদস্যদের রক্তচাপসহ অন্যান্য বিষয় পরীক্ষা করা হয়। এ পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, যে দল ফুটবল খেলেছে তার সদস্যদের গড়ে রক্তচাপ ১০এমএম এইচজি কমেছে। অথচ অন্য দলের সদস্যদের রক্তচাপ কমেছে গড়ে এর অর্ধেক অর্থাত ৫ এমএম এইচজি। ছয় মাস পেরুনোর পর ফুটবল খেলা দলের সদস্যদের প্রতি চার জনের মধ্যে তিন জনের রক্তচাপ স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে।
ডেনমার্কের জেনটোফট বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট পিটার রিস হ্যান্সেন বলেন,ফুটবল খেলার মধ্য দিয়ে যাদের রক্তচাপ হ্রাস পেয়েছে তাদের স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার এবং আগাম মৃত্যুর আশঙ্কাও কমেছে।
ব্যায়াম করলে উচ্চ রক্তচাপ না কমলেও নিয়ন্ত্রণে আসে- এ কথা দীর্ঘ দিন ধরে বলা হয়েছে। কিন্তু কী ধরণের ব্যায়ামে এ সুফল আসবে এর আগে তা নিয়ে বিশদ কোনো গবেষণা হয়নি।
তবে এখানে আরেকটি কথাও বলে রাখা ভালো, আর তা হলো, আপনার যদি উচ্চরক্ত চাপ থাকে এবং ফুটবল খেলার মতো কোনো ব্যায়াম করতে চান তবে – তার আগে চিকিতসকের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করে নেবেন। তা না হল এর ফলাফল হিতে বিপরীতও হতে পারে।
No comments:
Post a Comment