আমরা কথায় কথায় বলে থাকি, নাম দিয়ে কী যায়-আসে। কিছু ক্ষেত্রে কথাটি হয়তো সত্য। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নাম নিয়ে পড়তে হয় অনেক বিড়ম্বনা ও বিব্রত অবস্থায়। প্রবাসজীবনের শুরু থেকেই নাম নিয়ে আমাকে অনেকবার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। এখনো হতে হচ্ছে। আমার ধারণা, অধিকাংশ মুসলমান বাংলাদেশিকেই বিদেশে এই ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আমরা আমাদের নামের শুরুতে বেশির ভাগ লিখি মোহাম্মদ। এটা ছোট করে লেখা হয় এমডি। এই এমডি নিয়ে শুরু হয় সমস্যার যাত্রা।
আন্তর্জাতিকভাবে নামের তিনটি অংশ থাকে। প্রথম (ব্যক্তির প্রকৃত নাম), মধ্যম (মায়ের বিয়ের আগের নামের শেষ অংশ, সাধারণত সংক্ষেপে প্রথম অক্ষর লেখা হয়ে থাকে) ও শেষ (বাবার নামের শেষ অংশ, এটা পারিবারিক বা বংশের নাম বলা হয়)। মেয়েরা বিয়ের পরে তাঁর নিজ নামের শেষ অংশ ব্যবহার করেন মধ্যম অংশে এবং শেষ অংশ হয় স্বামীর নামের শেষ অংশ।
কিন্তু আমাদের নামে শুরুতে থাকে এমডি। এটা নিয়ে শুরু হয় প্রশ্ন। তোমার নাম কি এমডি? এমডির অর্থ কী? যদি বলি মোহাম্মদ, তখন থেকে ডাকতে শুরু করবে মি. মোহাম্মদ। হাসপাতালে গেলে আরও বিড়ম্বনা। তারা শুরুতে মনে করে, আমি মনে হয় চিকিৎসক। কারণ, আমার নামে এমডি আছে, যার অর্থ ডক্টর অব মেডিসিন, যেটা সাধারণত চিকিৎসকেরাই নামের সঙ্গে লিখে থাকেন।
আমাদের নামের ক্ষেত্রে শেষ অংশ বাবার নামের সঙ্গে মিল করে রাখা হয় না। মো. রহিমুদ্দিনের ছেলের নাম হয় মো. রকিব হাসান। নামের শেষ ও বাবার নামের শেষ একই না হওয়ায় আবারও বিড়ম্বনা। অনেক রকম প্রশ্ন। আবার আমরা কোনো সুন্দর নাম বা বিখ্যাত ব্যক্তির পুরো নামেই রাখি সন্তানের নাম। বিদেশে ভিসা অনুমোদনের জন্য অপরাধীদের নামের সঙ্গে নাম মিলিয়ে দেখা হয়। প্রথমে বাবার নাম খোঁজা হয় না। একই নাম অনেকের হওয়ায় মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। আর মিলে গেলেই শুরু হয় যন্ত্রণা। প্রমাণ করতে হয়, আসলে সে ওই অপরাধী ব্যক্তি নয়।
আমাদের দেশে নামের জন্য সরকারি কোনো নীতিমালা না থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে। আমার ধারণা, সরকারের সামান্য উদ্যোগেই এই বিড়ম্বনাগুলো এড়ানো যায়। বর্তমানে আমাদের দেশে জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। এই নিবন্ধন যদি নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে অথবা এখন থেকে নবাগত শিশুর জন্মনিবন্ধন করার সময় আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে নাম নিবন্ধিত হয়, তাহলে আজকের শুরু করা এই ছোট পরিবর্তন ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেই আমাদের একটি আন্তর্জাতিক নামকাঠামোসমৃদ্ধ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
এতে শুধু বিদেশে বিড়ম্বনাই দূর হবে না, সুবিধা হবে যেকোনো ডাটেবেইস তৈরির। মা-বাবার নাম না লিখলেও অন্যের সঙ্গে নাম মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। নিজ নামের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকবে মা-বাবা-পরিবার।
আন্তর্জাতিকভাবে নামের তিনটি অংশ থাকে। প্রথম (ব্যক্তির প্রকৃত নাম), মধ্যম (মায়ের বিয়ের আগের নামের শেষ অংশ, সাধারণত সংক্ষেপে প্রথম অক্ষর লেখা হয়ে থাকে) ও শেষ (বাবার নামের শেষ অংশ, এটা পারিবারিক বা বংশের নাম বলা হয়)। মেয়েরা বিয়ের পরে তাঁর নিজ নামের শেষ অংশ ব্যবহার করেন মধ্যম অংশে এবং শেষ অংশ হয় স্বামীর নামের শেষ অংশ।
কিন্তু আমাদের নামে শুরুতে থাকে এমডি। এটা নিয়ে শুরু হয় প্রশ্ন। তোমার নাম কি এমডি? এমডির অর্থ কী? যদি বলি মোহাম্মদ, তখন থেকে ডাকতে শুরু করবে মি. মোহাম্মদ। হাসপাতালে গেলে আরও বিড়ম্বনা। তারা শুরুতে মনে করে, আমি মনে হয় চিকিৎসক। কারণ, আমার নামে এমডি আছে, যার অর্থ ডক্টর অব মেডিসিন, যেটা সাধারণত চিকিৎসকেরাই নামের সঙ্গে লিখে থাকেন।
আমাদের নামের ক্ষেত্রে শেষ অংশ বাবার নামের সঙ্গে মিল করে রাখা হয় না। মো. রহিমুদ্দিনের ছেলের নাম হয় মো. রকিব হাসান। নামের শেষ ও বাবার নামের শেষ একই না হওয়ায় আবারও বিড়ম্বনা। অনেক রকম প্রশ্ন। আবার আমরা কোনো সুন্দর নাম বা বিখ্যাত ব্যক্তির পুরো নামেই রাখি সন্তানের নাম। বিদেশে ভিসা অনুমোদনের জন্য অপরাধীদের নামের সঙ্গে নাম মিলিয়ে দেখা হয়। প্রথমে বাবার নাম খোঁজা হয় না। একই নাম অনেকের হওয়ায় মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। আর মিলে গেলেই শুরু হয় যন্ত্রণা। প্রমাণ করতে হয়, আসলে সে ওই অপরাধী ব্যক্তি নয়।
আমাদের দেশে নামের জন্য সরকারি কোনো নীতিমালা না থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে। আমার ধারণা, সরকারের সামান্য উদ্যোগেই এই বিড়ম্বনাগুলো এড়ানো যায়। বর্তমানে আমাদের দেশে জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। এই নিবন্ধন যদি নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে অথবা এখন থেকে নবাগত শিশুর জন্মনিবন্ধন করার সময় আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে নাম নিবন্ধিত হয়, তাহলে আজকের শুরু করা এই ছোট পরিবর্তন ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেই আমাদের একটি আন্তর্জাতিক নামকাঠামোসমৃদ্ধ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
এতে শুধু বিদেশে বিড়ম্বনাই দূর হবে না, সুবিধা হবে যেকোনো ডাটেবেইস তৈরির। মা-বাবার নাম না লিখলেও অন্যের সঙ্গে নাম মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। নিজ নামের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকবে মা-বাবা-পরিবার।
No comments:
Post a Comment