অনলাইনে প্রথম আলো (prothom-alo.com) নিয়মিত পড়া হয় ১৯০টি দেশ থেকে। পড়ার পাশাপাশি পাঠকেরা প্রতিদিন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন। তাঁদের এ মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো।
নারী নির্যাতন মামলার ৮০ শতাংশই
মিথ্যা: আইনমন্ত্রী
নারী নির্যাতন মামলার বিষয়ে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মন্তব্য জানিয়ে এম এইচ রাহমাতুল্লাহ বাবু লিখেছেন: এ বক্তব্য প্রমাণ করে, বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে আমাদের আইনমন্ত্রীর ধারণা নেই। সত্য হলো, আমাদের দেশের নির্যাতিত নারীদের ২০ শতাংশও বিচার চেয়ে মামলা করেন না। ছেলেবেলা থেকে এ রকম শত শত ঘটনা দেখে আসছি। এমন দায়িত্বহীন বক্তব্য দেওয়ার জন্য মন্ত্রীর উচিত পদত্যাগ করা। দেশের নারী সংগঠনগুলোরও উচিত মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
বাহাউদ্দিন জাকারিয়া: যথার্থই বলেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের দেশের পুলিশ এ ধরনের মিথ্যা মামলার পেছনে ছোটে সবার আগে। কারণ, মিথ্যা মামলার সুবাদে তারা খুব সহজে টাকা কামাতে পারে। টাকার পেছনে না ছুটে পুলিশ যদি ঘটনার তদন্ত করে সঠিক রিপোর্ট থানায় পেশ করত, তাহলে অহরহ মিথ্যা মামলার ঘটনা অনেক কমে যেত।
গ্রামীণ ব্যাংক কারও পৈতৃক
সম্পত্তি নয়: তথ্যমন্ত্রী
গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যসংবলিত প্রতিবেদনে মতামত জানিয়ে মুরাদুল ইসলাম লিখেছেন: মন্ত্রী বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংককে সুন্দর করতে হবে। কিন্তু আপনাদের সুন্দরের ব্যাখ্যা কী, সেটি জানি না। গ্রামীণ ব্যাংক যদি সুন্দর না হয়, তবে কি সোনালী ব্যাংক সুন্দর? গ্রামীণ ব্যাংকের সমস্যা কোথায়, সেটি যদি বুঝতে সক্ষম হন, তবে তা তুলে ধরুন এবং সমাধানের কথা বলুন। এখন এই সুন্দর প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে না ভেবে আসছে নির্বাচনের কথা চিন্তা করুন, কাজে আসবে।
নাসরুল্লাহ আল মাহমুদ: হাসানুল হক ইনুর বক্তব্য ঠিক নয়। গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার ৫০ শতাংশের বেশি নয়, শেয়ার বেশি ঋণগ্রহীতাদের। ড. ইউনূস চট্টগ্রামের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ব্যাংকে সরকারের শেয়ার মাত্র ৩ শতাংশ।
দুই বছর আগেই লক্ষ্য পূরণ
বিশ্বব্যাংক বলছে, দারিদ্র্য হ্রাসে জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্ধ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) হার নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই অর্জন করতে চলেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে করা প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দেবু সরকার লিখেছেন: আমরা ধীরে ধীরে বড়লোক হচ্ছি, এটি আনন্দের কথা। কিন্তু দুঃখের কথা হলো, বড়লোকদের বড় দোষগুলোও আমাদের মধ্যে বেড়ে যাচ্ছে।
ফাহিম: কারও কারও মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে, তাঁরা এটা খেয়াল করেননি যে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটি ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে পরিচালিত সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এ সময়কালে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। তাই এটি কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের সাফল্য নয়, বরং তা পুরো দেশের অর্জন। এটা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের সাফল্য।
আলমগীর কবির: সাধারণত আমরা ভালো খবর খুব বেশি পাই না। অনেক দিন পর বোধ হয় একটা ভালো খবর পাওয়া গেল।
আওয়ামী লীগ হারিয়া প্রমাণ করিল
চার নগর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীদের পরাজয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের প্রসঙ্গ টেনে কলাম লিখেছেন আব্দুল কাইয়ুম। তাঁর লেখা পাঠের পর দেবু সরকার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন: আওয়ামী লীগ হেরে যাবে বলে নির্বাচন বন্ধের চেষ্টা করলে তা হবে অগণতান্ত্রিক। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন থাকবে, আর তাতে হার-জিতও থাকবে। আওয়ামী লীগ যদি ভালো কাজ করার পরও হেরে যায়, তবে সে দায় আওয়ামী লীগের ওপর বর্তাবে না, বরং জনগণের ওপরই বর্তাবে। সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে জনগণ যদি ভুলও করে, তবে তাদের সেই ভুল করতে দিতে হবে। এখানে আক্ষেপের কিছু নেই। ক্ষমতা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়।
গোলাম মোস্তফা: স্থানীয় সরকার নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক নয়। বিএনপির আমলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে, তখনো অনেক স্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন। কিন্তু তখন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসেনি। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধী জোটের দাবি অযৌক্তিক নয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবারই দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
এখন আওয়ামী লীগের চাই তত্ত্বাবধায়ক
সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের পর এ নিয়ে কলাম লিখেছেন আনিসুল হক। তাঁর লেখা পড়ে মতামত জানিয়ে এস এম ফজলে বারি লিখেছেন, এভাবে এগিয়ে আসতে হবে। রাগ-ক্ষোভ থেকে বা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ভোট দেওয়া বোকামি। বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডে হতাশ ও ব্যথিত হয়ে জনতা সরকার পরিবর্তন করতে চাইতেই পারে। এখন ভয় হলো, মৌলবাদ ও হেফাজতের উত্থান। বিএনপি এর আগেও দেশ চালিয়েছে। দেশের নারীশিক্ষা বিস্তারে তাদের অবদান আছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশটা হেফাজতের হয়ে যাবে, এমন ভাবাটা ঠিক নয়। তবে দেশ যেন ২০০১-২০০৫ সালের মতো হয়ে না যায়, সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
মাহিন: জনগণ অনেক আশা করে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল। দেশকে সত্যি পাল্টে দেওয়ার এক সুযোগ এসেছিল শাসক দলটির সামনে। কিন্তু অতিরিক্ত অহংকারের তোড়ে সেই সুযোগ তারা হারিয়েছে। তাদের মনে রাখা উচিত, টিকফা সই করে আমেরিকাকে তুষ্ট করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। ক্ষমতায় যেতে হলে দেশের জনগণকে তুষ্ট করতে হবে।
গ্রামীণ ব্যাংক ভেঙে ১৯ টুকরা করার সুপারিশ
সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে করা প্রতিবেদনে এম মেসবাহ মন্তব্য করেছেন: সোনার ডিম পাড়া হাঁসটি জবাই করে ১৯ টুকরা করে না খাওয়া পর্যন্ত সরকারের পেট মোচড়াতেই থাকবে।
জামিলুর রহমান: যে প্রতিষ্ঠান ও মানুষটি নিয়ে গর্ব করি এবং বিশ্বে বুক উঁচিয়ে চলি, সেই প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে আর কত ছোট করে তারা তৃপ্ত হবে! ধিক এমন মানসিকতাকে!
মামুন: গ্রামীণ ব্যাংককে ১৯ কেন ১৯০ টুকরা করেন, কোনো সমস্যা নেই। তবে এ ব্যাংক নিয়ে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর যত চিন্তা, তার দশমিক ১ ভাগও যদি হল-মার্ক, ডেসটিনি বা বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যাপারে থাকত, দশমিক শূন্য ভাগও যদি সোনালী, জনতা বা এ ধরনের সরকারি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি নিয়ে থাকত, তবে দেশের অবস্থা এত খারাপ হতো না।
নারী নির্যাতন মামলার ৮০ শতাংশই
মিথ্যা: আইনমন্ত্রী
নারী নির্যাতন মামলার বিষয়ে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মন্তব্য জানিয়ে এম এইচ রাহমাতুল্লাহ বাবু লিখেছেন: এ বক্তব্য প্রমাণ করে, বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে আমাদের আইনমন্ত্রীর ধারণা নেই। সত্য হলো, আমাদের দেশের নির্যাতিত নারীদের ২০ শতাংশও বিচার চেয়ে মামলা করেন না। ছেলেবেলা থেকে এ রকম শত শত ঘটনা দেখে আসছি। এমন দায়িত্বহীন বক্তব্য দেওয়ার জন্য মন্ত্রীর উচিত পদত্যাগ করা। দেশের নারী সংগঠনগুলোরও উচিত মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
বাহাউদ্দিন জাকারিয়া: যথার্থই বলেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের দেশের পুলিশ এ ধরনের মিথ্যা মামলার পেছনে ছোটে সবার আগে। কারণ, মিথ্যা মামলার সুবাদে তারা খুব সহজে টাকা কামাতে পারে। টাকার পেছনে না ছুটে পুলিশ যদি ঘটনার তদন্ত করে সঠিক রিপোর্ট থানায় পেশ করত, তাহলে অহরহ মিথ্যা মামলার ঘটনা অনেক কমে যেত।
গ্রামীণ ব্যাংক কারও পৈতৃক
সম্পত্তি নয়: তথ্যমন্ত্রী
গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যসংবলিত প্রতিবেদনে মতামত জানিয়ে মুরাদুল ইসলাম লিখেছেন: মন্ত্রী বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংককে সুন্দর করতে হবে। কিন্তু আপনাদের সুন্দরের ব্যাখ্যা কী, সেটি জানি না। গ্রামীণ ব্যাংক যদি সুন্দর না হয়, তবে কি সোনালী ব্যাংক সুন্দর? গ্রামীণ ব্যাংকের সমস্যা কোথায়, সেটি যদি বুঝতে সক্ষম হন, তবে তা তুলে ধরুন এবং সমাধানের কথা বলুন। এখন এই সুন্দর প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে না ভেবে আসছে নির্বাচনের কথা চিন্তা করুন, কাজে আসবে।
নাসরুল্লাহ আল মাহমুদ: হাসানুল হক ইনুর বক্তব্য ঠিক নয়। গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার ৫০ শতাংশের বেশি নয়, শেয়ার বেশি ঋণগ্রহীতাদের। ড. ইউনূস চট্টগ্রামের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ব্যাংকে সরকারের শেয়ার মাত্র ৩ শতাংশ।
দুই বছর আগেই লক্ষ্য পূরণ
বিশ্বব্যাংক বলছে, দারিদ্র্য হ্রাসে জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্ধ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) হার নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই অর্জন করতে চলেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে করা প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দেবু সরকার লিখেছেন: আমরা ধীরে ধীরে বড়লোক হচ্ছি, এটি আনন্দের কথা। কিন্তু দুঃখের কথা হলো, বড়লোকদের বড় দোষগুলোও আমাদের মধ্যে বেড়ে যাচ্ছে।
ফাহিম: কারও কারও মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে, তাঁরা এটা খেয়াল করেননি যে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটি ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে পরিচালিত সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এ সময়কালে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। তাই এটি কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের সাফল্য নয়, বরং তা পুরো দেশের অর্জন। এটা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের সাফল্য।
আলমগীর কবির: সাধারণত আমরা ভালো খবর খুব বেশি পাই না। অনেক দিন পর বোধ হয় একটা ভালো খবর পাওয়া গেল।
আওয়ামী লীগ হারিয়া প্রমাণ করিল
চার নগর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীদের পরাজয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের প্রসঙ্গ টেনে কলাম লিখেছেন আব্দুল কাইয়ুম। তাঁর লেখা পাঠের পর দেবু সরকার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন: আওয়ামী লীগ হেরে যাবে বলে নির্বাচন বন্ধের চেষ্টা করলে তা হবে অগণতান্ত্রিক। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন থাকবে, আর তাতে হার-জিতও থাকবে। আওয়ামী লীগ যদি ভালো কাজ করার পরও হেরে যায়, তবে সে দায় আওয়ামী লীগের ওপর বর্তাবে না, বরং জনগণের ওপরই বর্তাবে। সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে জনগণ যদি ভুলও করে, তবে তাদের সেই ভুল করতে দিতে হবে। এখানে আক্ষেপের কিছু নেই। ক্ষমতা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়।
গোলাম মোস্তফা: স্থানীয় সরকার নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক নয়। বিএনপির আমলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে, তখনো অনেক স্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন। কিন্তু তখন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসেনি। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধী জোটের দাবি অযৌক্তিক নয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবারই দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
এখন আওয়ামী লীগের চাই তত্ত্বাবধায়ক
সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের পর এ নিয়ে কলাম লিখেছেন আনিসুল হক। তাঁর লেখা পড়ে মতামত জানিয়ে এস এম ফজলে বারি লিখেছেন, এভাবে এগিয়ে আসতে হবে। রাগ-ক্ষোভ থেকে বা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ভোট দেওয়া বোকামি। বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডে হতাশ ও ব্যথিত হয়ে জনতা সরকার পরিবর্তন করতে চাইতেই পারে। এখন ভয় হলো, মৌলবাদ ও হেফাজতের উত্থান। বিএনপি এর আগেও দেশ চালিয়েছে। দেশের নারীশিক্ষা বিস্তারে তাদের অবদান আছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশটা হেফাজতের হয়ে যাবে, এমন ভাবাটা ঠিক নয়। তবে দেশ যেন ২০০১-২০০৫ সালের মতো হয়ে না যায়, সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
মাহিন: জনগণ অনেক আশা করে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল। দেশকে সত্যি পাল্টে দেওয়ার এক সুযোগ এসেছিল শাসক দলটির সামনে। কিন্তু অতিরিক্ত অহংকারের তোড়ে সেই সুযোগ তারা হারিয়েছে। তাদের মনে রাখা উচিত, টিকফা সই করে আমেরিকাকে তুষ্ট করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। ক্ষমতায় যেতে হলে দেশের জনগণকে তুষ্ট করতে হবে।
গ্রামীণ ব্যাংক ভেঙে ১৯ টুকরা করার সুপারিশ
সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে করা প্রতিবেদনে এম মেসবাহ মন্তব্য করেছেন: সোনার ডিম পাড়া হাঁসটি জবাই করে ১৯ টুকরা করে না খাওয়া পর্যন্ত সরকারের পেট মোচড়াতেই থাকবে।
জামিলুর রহমান: যে প্রতিষ্ঠান ও মানুষটি নিয়ে গর্ব করি এবং বিশ্বে বুক উঁচিয়ে চলি, সেই প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে আর কত ছোট করে তারা তৃপ্ত হবে! ধিক এমন মানসিকতাকে!
মামুন: গ্রামীণ ব্যাংককে ১৯ কেন ১৯০ টুকরা করেন, কোনো সমস্যা নেই। তবে এ ব্যাংক নিয়ে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর যত চিন্তা, তার দশমিক ১ ভাগও যদি হল-মার্ক, ডেসটিনি বা বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যাপারে থাকত, দশমিক শূন্য ভাগও যদি সোনালী, জনতা বা এ ধরনের সরকারি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি নিয়ে থাকত, তবে দেশের অবস্থা এত খারাপ হতো না।
No comments:
Post a Comment