উচ্চরক্ত চাপের অনেক রোগীই ডিম খেতে চান না। তাদের আশংকা, ডিম খেলে রক্তচাপ বাড়বে। কিন্তু এবারে গবেষকরা এ বিষয় আশার কথা শুনিয়েছেন, তারা বলছেন ডিমের সাদা অংশ রক্তচাপ বাড়ায় না বরং তা কমাতে সাহায্য করে।
চীনের জিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাইপেং ইউর নেতৃত্বে একটি দল গবেষণা সমীক্ষা চালিয়ে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। উচ্চরক্ত চাপ কমানোর জন্য ক্যাপ্টোপ্রিল নামে একটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। জিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের নেতা জাইপেং বলেন, ডিম সাদা অংশটি হলো পেপটাইড। আর যে সব উপাদান দিয়ে আমিষ তৈরি তার অন্যতম এই পেপটাইড। গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্নমাত্রায় ক্যাপ্টোপ্রিল ব্যবহারে রক্তচাপ যতোটা কম প্রায় সে পরিমাণে রক্তচাপ কমতে সহায়তা করে ডিমের সাদা অংশ।
রক্তে এসিই নামের একটি উপাদান আছে এবং রক্তচাপ বাড়ানোর জন্য এই উপাদানই দায়ী।
এর আগে ইউ এবং আমেরিকার সাউথ ক্যারোলিনার ক্লিমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ গবেষকরা আরএসপিএসএল নামের একটি পেপটাইড নিয়ে গবেষণা করেছেন। নিম্নমাত্রায় ক্যাপ্টোপ্রিল, ভাসোটেক এবং মনোপ্রিল ব্যবহারে রক্তে এইসিই’র উতপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তারা দেখতে পেয়েছেন, একই সুফল পাওয়া যায় আরএসপিএসএল দিয়েও।
জাইপেং ইউ বলেন, এ সব গবেষণা থেকে মনে হচ্ছে মানব স্বাস্থ্যের ওপর ডিমের পেপটাইডে প্রভাব নিয়ে আরো গবেষণা দরকার।
তবে তিনি এও বলেছেন, ৯৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রান্না করার পরও ডিমের পেপটাইডের রক্তচাপ হ্রাসের ক্ষমতা বজায় থাকছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
তবে তিনি এও বলেছেন, ৯৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রান্না করার পরও ডিমের পেপটাইডের রক্তচাপ হ্রাসের ক্ষমতা বজায় থাকছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
তিনি মনে করেন, ডিমের সাদা অংশ নিয়মিত খেলে উচ্চরক্ত চাপের ওপর তা সুপ্রভাব ফেলবে।
অবশ্য একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এরই মধ্যে যাদেরকে ডিম খেতে নিষেধ করা হয়েছে তারা যেনো চিকিসকের পরামর্শ ছাড়া এ বিষয় নিজে নিজে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন।
শেষের একথাটি আপনারা সবাই মনে রাখবেন। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার চিকিতসক রোগ ও পথ্য সম্পর্কে অনেক বেশি জানেন। তাই তার পরামর্শ ছাড়া এ বিষয় কোনো রোগীর এক তরফা সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়।
No comments:
Post a Comment