ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে যানবাহন থেকে সৃষ্ট দূষণের সম্পর্ক রয়েছে। বিজ্ঞানীরা ৫০০ শিশুর ওপর এ বিষয়ে গবেষণা সমীক্ষা চালিয়েছেন। বিশুদ্ধ বায়ুতে যে সব শিশু বড় হয়েছে তাদের চেয়ে উচ্চ মাত্রার বায়ু-দূষণের মধ্যে বেড়ে ওঠা শিশুদের অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তিন গুণ বেশি বলে ওই সমীক্ষায় দেখতে পেয়েছেন গবেষকরা। অবশ্য অন্য অনেক গবেষক এ ফলাফল মেনে নেননি। তারা বলেছেন, যানবাহন থেকে সৃষ্ট দূষণের সঙ্গে অটিজমের সম্পর্ক আছে বলে যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে তা ততটা গ্রহণযোগ্য নয়।
নতুন এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আর্কাইভ অব জেনারেল সাইকাইট্রি জার্নালে। ক্যালিফোর্নিয়ার দূষণের মাত্রা নির্ধারণের জন্য মার্কিন পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থার তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন এ গবেষকরা।
মাতৃগর্ভে থাকার সময় এবং জন্মের প্রথম বছরে শিশু কি পরিমাণ দূষণের ছোঁয়া পেয়েছে অটিজম আক্রান্ত ২৭৯টি শিশুর ক্ষেত্রে তা যাচাই করেছেন গবেষকরা। পাশাপাশি বিশুদ্ধ বাতাসে বেড়ে ওঠা অটিজমমুক্ত ২৪৫ শিশুর সঙ্গে তাদের তুলনা করে দেখেছেন।
সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেন,বিশুদ্ধ বাতাসে যে সব শিশু বেড়ে উঠেছে তাদের তুলনায় দূষিত বাতাসে বেড়ে ওঠা শিশুদের অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় তিনগুণ বেশি। এর আগের গবেষণায় তারা দেখিয়েছেন,বড় বড় রাস্তার কাছে বসবাস করার সঙ্গে অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার একটা সম্পর্ক আছে। গবেষকরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,মানুষের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ওপর হয়ত বায়ু দূষণ স্থায়ী কোনো প্রভাব ফেলছে।
অবশ্য দূষণ কি করে মস্তিষ্কের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং অটিজমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সে প্রশ্নটি তুলেছেন অন্যগবেষকরা। তারা আরো দাবি করেছেন,বায়ু দূষণের সঙ্গে অটিজমের সম্পর্কের বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়নি নতুন এ গবেষণায়। কিন্তু এরপরও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অটিজম গবেষণা সংস্থার গবেষক সোফিয়া সিয়ান সান বলেছেন, দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার পরিকল্পনাকে ভাল চিন্তা হিসেবে মেনে নিতে হবে। তা ছাড়া,যানবাহন থেকে সৃষ্ট দূষণ অনেক রোগ-ব্যাধি ডেকে আনে। তাই বায়ু দূষণের সঙ্গে অটিজমের সম্পর্ক থাক বা না থাক এ জাতীয় দূষণ কমানো গেলে তাতে জনগণের উপকার হবে বলে তিনি মনে করেন।
No comments:
Post a Comment