অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ কিনতে সহায়তা দেবে সরকার। শিক্ষার্থীদের হাতে সহজে ল্যাপটপ পৌছানোর লক্ষ্যে দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়।
শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ কেনায় ঋণ বিতরণে কর্মকৌশল নির্ধারণে রবিবার রাজধানীর হোটেল রূপসী বাংলায় এক কর্মশালার আয়োজন করে মন্ত্রনালয়। সেখানে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা ঋণ দেয়ার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
লেখাপড়া শিক্ষার্থীদের পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি, আর সেই জীবনের প্রস্ততিতে সহায়তা করতে প্রযুক্তির দরকার রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সহায়তা আমাদের করতেই হবে। না হলে তারা এগিয়ে যাবে কি করে? কর্মশালায় বক্তৃতাকালে প্রশ্ন রাখেন আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ ঋণ বিতরণে সরকারের পক্ষ থেকে একটি ফান্ডের ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে ল্যাপটপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করা যাবে। দেশেই প্রয়োজনে হার্ডওয়্যার প্রস্তুত করা যেতে পারে। প্রয়োজনে ব্যাংক, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, সরকারের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হবে।
আলোচনায় বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে ঋণের টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চান তারা। আর এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে সরকারের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যাংক যখন ঋণ দিচ্ছে তখন অন্য গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে। তাই ঋণ ফেরতের বিষয়ে নিশ্চিয়তা জরুরি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পরিবারকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
‘একই সঙ্গে কমদামে ল্যাপটপে পেতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকেও সম্পৃক্ত করলে সুফল পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ দিলে আউটসোর্সিংয়ের উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর আবুল কাশেম বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র। ব্যাংকের নিজস্ব টাকা নেই। তাই চাইলেই ব্যাংকের টাকা বিনা সুদে দেয়া যায় না। ঋণের জন্য শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট জামানত হিসেবে নেয়া যেতে পারে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য হারুন অর রশিদ বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় রাষ্ট্র বহন করে থাকে। সেখানে আমরা ল্যাপটপ দেয়ার সামান্য উদ্যোগ নিচ্ছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী আছে। তাদের মাঝে ল্যাপটপ দিতে পারলে সারা দেশে প্রযুক্তি খাতে সাড়া জাগানো প্রভাব তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর একে আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস ছালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরটিএনএন
ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ কিনতে সহায়তা দেবে সরকার। শিক্ষার্থীদের হাতে সহজে ল্যাপটপ পৌছানোর লক্ষ্যে দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়।
শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ কেনায় ঋণ বিতরণে কর্মকৌশল নির্ধারণে রবিবার রাজধানীর হোটেল রূপসী বাংলায় এক কর্মশালার আয়োজন করে মন্ত্রনালয়। সেখানে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা ঋণ দেয়ার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
লেখাপড়া শিক্ষার্থীদের পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি, আর সেই জীবনের প্রস্ততিতে সহায়তা করতে প্রযুক্তির দরকার রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সহায়তা আমাদের করতেই হবে। না হলে তারা এগিয়ে যাবে কি করে? কর্মশালায় বক্তৃতাকালে প্রশ্ন রাখেন আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ ঋণ বিতরণে সরকারের পক্ষ থেকে একটি ফান্ডের ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে ল্যাপটপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করা যাবে। দেশেই প্রয়োজনে হার্ডওয়্যার প্রস্তুত করা যেতে পারে। প্রয়োজনে ব্যাংক, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, সরকারের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হবে।
আলোচনায় বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে ঋণের টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চান তারা। আর এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে সরকারের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যাংক যখন ঋণ দিচ্ছে তখন অন্য গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে। তাই ঋণ ফেরতের বিষয়ে নিশ্চিয়তা জরুরি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পরিবারকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
‘একই সঙ্গে কমদামে ল্যাপটপে পেতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকেও সম্পৃক্ত করলে সুফল পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ দিলে আউটসোর্সিংয়ের উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর আবুল কাশেম বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র। ব্যাংকের নিজস্ব টাকা নেই। তাই চাইলেই ব্যাংকের টাকা বিনা সুদে দেয়া যায় না। ঋণের জন্য শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট জামানত হিসেবে নেয়া যেতে পারে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য হারুন অর রশিদ বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় রাষ্ট্র বহন করে থাকে। সেখানে আমরা ল্যাপটপ দেয়ার সামান্য উদ্যোগ নিচ্ছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী আছে। তাদের মাঝে ল্যাপটপ দিতে পারলে সারা দেশে প্রযুক্তি খাতে সাড়া জাগানো প্রভাব তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর একে আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস ছালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
No comments:
Post a Comment