সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের অন্তত ২২ কোটি ৯০ লাখ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত আছে। এ অর্থ প্রায় ২৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা এক হাজার ৯০৮ কোটি টাকার সমান। এটি সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংকে যে অর্থ গচ্ছিত রাখা হয়েছে, তার মোট পরিমাণ।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) কর্তৃক প্রকাশিত ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড ২০১২’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে দেখা যায়, ২০১২ সালের শেষে এসে সুইস ব্যাংকগুলোয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের এক লাখ ৪০ হাজার কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় এক লাখ ৫২ হাজার কোটি ডলার গচ্ছিত আছে। সে হিসাবে সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থ খুবই নগণ্য। অবশ্য বাংলাদেশি বা অন্য কোনো দেশের নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান নিজের বদলে অন্যের নামে কোনো অর্থ গচ্ছিত রেখে থাকলে তা এ হিসাবের মধ্যে আসেনি। একইভাবে গচ্ছিত রাখা মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমান হিসাব করে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তবে গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ গচ্ছিত ছিল ২০০৭ সালে। এ বছর সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা দুই হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এ বছরই সুইস ব্যাংকগুলোর বৈশ্বিক গ্রাহকেরা সর্বোচ্চ দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ২১৭ লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রেখেছিল।
২০০৮ সালে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ নেমে আসে ১০ কোটি ৭০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা ৮৯২ কোটি টাকায়। ২০০৯ সালে এটি কিছুটা বেড়ে হয় ১৪ কোটি ৯০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা এক হাজার ২৪১ কোটি টাকায়। ২০১০ সালে তা আরও বেড়ে হয় ২৩ কোটি ৬০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা এক হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত সব অর্থই পাচারকৃত বা অবৈধ তা বলা যাবে না। যাঁরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় দীর্ঘদিন কাজ করেছেন, তাঁরা অনেকেই সুইস ব্যাংকে অর্থ রেখেছেন। এটা বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আর বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থ খুবই কম।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, তবে সরকার যদি গচ্ছিত অর্থ সম্পর্কে জানতে চায়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে সমঝোতা স্মারক বা তথ্যবিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। আর বাংলাদেশ যেহেতু এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হতে যাচ্ছে, সেহেতু আগামী দিনে অর্থ পাচার বা স্থানান্তরসংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
বৈশ্বিক চিত্র: প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায়, গত বছরের শেষ নাগাদ গচ্ছিত মোট অর্থের প্রায় ২২ শতাংশই এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে, যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৫০০ কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ৩১ হাজার ৬০ কোটি ডলার। অর্থ গচ্ছিত রাখার শীর্ষ দশের মধ্যে এরপর যথাক্রমে আছে যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জার্সি, গুয়েরনসে, জার্মানি, ফ্রান্স, বাহামা, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ও হংকং। জার্সি ও গুয়েরনসে ইংলিশ চ্যানেলে অবস্থিত ব্রিটিশ রাজের ওপর নির্ভরশীল দুটি দ্বীপ, সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়।
এতে আরও দেখা যায়, প্রতিবেশী ভারতের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩৪ কোটি সুইস ফ্রাঁ বা ১৪৩ কোটি ডলার। এটি ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি রুপি। এর বাইরে গত বছর ভারতীয়দের সাত কোটি ৭০ লাখ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত রাখা হয়েছে বিভিন্ন তহবিল ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো অর্থ গচ্ছিত রাখার তথ্য নেই।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে সুইস ব্যাংকগুলোয় গচ্ছিত অর্থ-সম্পদের তথ্য প্রকাশ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সুইজারল্যান্ডের ওপর চাপ তৈরি করা হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ কারণেই দু-তিন বছর ধরে তথ্য প্রকাশ ও বিনিময়ের চাপ তৈরি হওয়ায় কোনো কোনো দেশ থেকে সুইস ব্যাংকগুলোয় অর্থ গচ্ছিত রাখার প্রবণতা কমেও এসেছে। এসব অর্থ বরং অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) কর্তৃক প্রকাশিত ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড ২০১২’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে দেখা যায়, ২০১২ সালের শেষে এসে সুইস ব্যাংকগুলোয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের এক লাখ ৪০ হাজার কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় এক লাখ ৫২ হাজার কোটি ডলার গচ্ছিত আছে। সে হিসাবে সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থ খুবই নগণ্য। অবশ্য বাংলাদেশি বা অন্য কোনো দেশের নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান নিজের বদলে অন্যের নামে কোনো অর্থ গচ্ছিত রেখে থাকলে তা এ হিসাবের মধ্যে আসেনি। একইভাবে গচ্ছিত রাখা মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমান হিসাব করে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তবে গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ গচ্ছিত ছিল ২০০৭ সালে। এ বছর সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা দুই হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এ বছরই সুইস ব্যাংকগুলোর বৈশ্বিক গ্রাহকেরা সর্বোচ্চ দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ২১৭ লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রেখেছিল।
২০০৮ সালে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ নেমে আসে ১০ কোটি ৭০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা ৮৯২ কোটি টাকায়। ২০০৯ সালে এটি কিছুটা বেড়ে হয় ১৪ কোটি ৯০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা এক হাজার ২৪১ কোটি টাকায়। ২০১০ সালে তা আরও বেড়ে হয় ২৩ কোটি ৬০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা এক হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত সব অর্থই পাচারকৃত বা অবৈধ তা বলা যাবে না। যাঁরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় দীর্ঘদিন কাজ করেছেন, তাঁরা অনেকেই সুইস ব্যাংকে অর্থ রেখেছেন। এটা বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আর বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থ খুবই কম।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, তবে সরকার যদি গচ্ছিত অর্থ সম্পর্কে জানতে চায়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে সমঝোতা স্মারক বা তথ্যবিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। আর বাংলাদেশ যেহেতু এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হতে যাচ্ছে, সেহেতু আগামী দিনে অর্থ পাচার বা স্থানান্তরসংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
বৈশ্বিক চিত্র: প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায়, গত বছরের শেষ নাগাদ গচ্ছিত মোট অর্থের প্রায় ২২ শতাংশই এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে, যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৫০০ কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ৩১ হাজার ৬০ কোটি ডলার। অর্থ গচ্ছিত রাখার শীর্ষ দশের মধ্যে এরপর যথাক্রমে আছে যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জার্সি, গুয়েরনসে, জার্মানি, ফ্রান্স, বাহামা, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ও হংকং। জার্সি ও গুয়েরনসে ইংলিশ চ্যানেলে অবস্থিত ব্রিটিশ রাজের ওপর নির্ভরশীল দুটি দ্বীপ, সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়।
এতে আরও দেখা যায়, প্রতিবেশী ভারতের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩৪ কোটি সুইস ফ্রাঁ বা ১৪৩ কোটি ডলার। এটি ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি রুপি। এর বাইরে গত বছর ভারতীয়দের সাত কোটি ৭০ লাখ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত রাখা হয়েছে বিভিন্ন তহবিল ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো অর্থ গচ্ছিত রাখার তথ্য নেই।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে সুইস ব্যাংকগুলোয় গচ্ছিত অর্থ-সম্পদের তথ্য প্রকাশ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সুইজারল্যান্ডের ওপর চাপ তৈরি করা হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ কারণেই দু-তিন বছর ধরে তথ্য প্রকাশ ও বিনিময়ের চাপ তৈরি হওয়ায় কোনো কোনো দেশ থেকে সুইস ব্যাংকগুলোয় অর্থ গচ্ছিত রাখার প্রবণতা কমেও এসেছে। এসব অর্থ বরং অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment