চলছে লিচুর মৌসুম। তবে দাম একটু বেশি। ঢাকায় দাম বেশি হলেও গ্রামে কিন্তু এখনও লিচু শোভা পাচ্ছে গাছে। আর যদি টাটকা লিচু খেতে চান তাহলে যেতে পারেন দিনাজপুর। এ জেলার সব জায়গাতেই আছে লিচু বাগান। সাধারণত জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝি থেকে লিচু পাকা শুরু হয়। সবার আগে পাকে দেশি জাতের লিচু। এরপর একে একে পাকতে থাকে বোম্বাই, বেদানা, মাদ্রাজি, চায়না থ্রি ইত্যাদি। দিনাজপুর সদরের মাশিমপুর লিচুর জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত। এখানকার বাগানগুলো অপেক্ষাকৃত পুরান। এছাড়া সদরের দক্ষিণ কোতোয়ালি ও আউলিয়াপুরেও বর্তমানে প্রচুর লিচুর চাষ হচ্ছে। এ জেলার বিরল, বোচাগঞ্জ, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ি, বিরামপুর, ঘোড়াঘাট প্রভৃতি উপজেলায় আছে অনেক লিচুবাগান। দিনাজপুরে প্রায় ২ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে লিচু চাষ হয় প্রতি বছর। দিনাজপুরের বাগানে প্রতি শ লিচু জাতভেদে দাম ২০০ থেকে ৮০০ টাকা। দেশি ও মাদ্রাজি লিচুর দাম সবচেয়ে কম। আকারে বেশ বড় ও সুস্বাদু হওয়ায় বোম্বাই ও চায়না থ্রি লিচুর দাম সবচেয়ে বেশি। রামসাগর জাতীয় উদ্যান দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে আউলিয়াপুর ইউনিয়নে অবস্থিত রামসাগর দিঘি। শহর ছেড়ে মাশিমপুর ও আউলিয়াপুরের লিচুবাগান দেখতে দেখতে চলে আসা যায় বিরাট এ দিঘি দেখতে।
লিচুর গুণাগুণ
১. চীনারা লিচুকে ভালোবাসা ও রোমান্সের ফল হিসেবে মর্যাদা দেয়। তাদের বিশ্বাস, যারা লিচু মুখে পুরবে তারাই এর প্রেমে পড়বে।
২. লিচুতে রয়েছে ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ও প্রোটিন। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুর ৬৬ শতাংশ ক্যালরি।
৩. এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। খাদ্য হজমকারী আঁশ, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে জমা করে।
৪. লিচুতে রয়েছে অলিগোনল নামে এক ধরনের উপাদান। একে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লুয়েঞ্জা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ উপাদান রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, ত্বকে ক্ষতিকর অতি বেগুনিরশ্মির প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমায়।
৫. লিচু ক্যান্সার থেকে মানবদেহকে দেয় সুরক্ষা। এটি ক্যান্সার তৈরিকারী কোষ ধ্বংস করে। এতে অবস্থিত ফ্ল্যাভনয়িডস বা ভিটামিন ‘পি’ স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
No comments:
Post a Comment