বয়স মাত্র ১৫৷ এ বয়সে জীবন আনন্দে উপভোগ করার কথা৷ অথচ মাইকেল জ্যাকসনের মেয়ে প্যারিস জ্যাকসন কিনা চায় মরতে! আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে মেয়েটি৷ সুখবর হলো, সে চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় প্যারিস এখন হাসপাতালে৷
১৫ বছরের জীবনে অনেক দুঃখ সইতে হয়েছে প্যারিসকে৷ ঘটনা সম্পর্কে মেয়েটি সংবাদ মাধ্যমকে এখনো কিছু বলেনি৷ গভীর রাতে ক্যালাবাসকাসের বাড়ি থেকে স্ট্রেচারে করে বের করা হয় তাকে৷ নিজের হাত নিজে কেটে, ঘুমের ওষুধ খেয়ে জীবনটাকে শেষ করে দিতে চাওয়া কিশোরীর তখন কথা বলার অবস্থা নেই৷ ধারণা করা হচ্ছে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার কারণেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল সে৷ পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্যারিস আগে থেকেই আত্মহত্যার কথা ভাবতো৷ এবার ভয়ঙ্কর এই পথে পা বাড়িয়ে ব্যর্থ হওয়ায় তার মা ডেবি রো স্বস্তি নিয়ে বললেন, ‘‘প্যারিস শারীরিকভাবে ভালো আছে৷''
বেঁচে থাকার জন্য শরীর ভালো থাকাই শেষ কথা নয়৷ বিশেষ করে আত্মহত্যার প্রয়াসের পর ১৫ বছর বয়সি কিশোরীর জন্য চট করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা বেশ কঠিন৷ তা সহজ করতেই এখন মনস্তাত্বিক চিকিৎসা নিতে হচ্ছে প্যারিস জ্যাকসনকে৷
‘কিং অফ পপ' মাইকেল জ্যাকসনের সন্তান প্যারিস৷ প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর যখন হতাশাগ্রস্থ, কখনো সন্তানের বাবা হতে পারবেন না এমন ধারণা থেকে বিষাদগ্রস্ত, তখনই প্যারিসের মা ডেবি রো-র সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল জ্যাকসনের৷ ১৯৯৬ সালের ওই সময়টায় শ্বেতাঙ্গিনী ডেবি তখন সেবিকা হিসেবে কাজ করছেন৷ জ্যাকসনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি গর্ভধারণ করলে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন দুজন৷ বিয়ের তিন মাস পর জ্যাকসন-ডেবির প্রথম সন্তান প্রিন্সের জন্ম৷ প্যারিস দ্বিতীয় সন্তান৷ তার জন্মের এক বছর পরই মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়৷
তারপর থেকে তারকার সন্তান হিসেবে প্রাচুর্যের মাঝে বসবাস করা হয়েছে, তবে স্বাভাবিক পারিবারিক জীবনের সুখ খুব একটা পাওয়া হয়নি প্যারিসের৷ বাবা মাইকেল জ্যাকসন মারা যান ২০০৯ সালে৷ চার বছর পর মেয়ের আত্মঘাতী হওয়ার পেছনে সেই আঘাতের প্রভাব থাকতে পারে বলে মনে করে পরিবার৷ এক বিবৃতিতে পরিবার বলেছে, ‘‘একটি ১৫ বছর বয়সি মেয়ে, সে যার সন্তানই হোক না কেন, বয়সটা খুব বিপজ্জনক৷ সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে হারানোর পর তো আরো বিপজ্জনক হয়ে যায় ব্যাপারটা৷ ''
প্যারিসকে সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর চেষ্টা চলছে৷ তার স্বাস্থ্য, চিকিৎসাসহ সব ঠিকভাবে দেখভাল করা হয় কিনা, তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত৷
No comments:
Post a Comment