আদালত প্রতিবেদক ও সাভার প্রতিনিধি
সাভারে পুলিশি নির্যাতনে তরুণ ব্যবসায়ী, আওয়ামী লীগ কর্মী শামীম সরকার হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ সাক্ষী সাইফুল গতকাল আদালতে ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। শামীমের মামাত ভাই সাইফুলকেও পুলিশ ঘটনার দিন আটক করেছিল। পরে এলাকাবাসীর আন্দোলনের মুখে তাকে ছেড়ে দেয়। তিনি এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তা ছাড়া চাঁদা না পেয়ে শামীমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সাভার ও আশুলিয়া থানার চার পুলিশ সদস্যকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল দুপুরে গ্রেফতার পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুর রহমান আদালতে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে হাকিম আফরোজা শিউলি পাঁচ দিন মঞ্জুর করেন। এদিকে শামীম হত্যার অন্যতম আসামি এ এস আই আকিদুল ইসলামকে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর গাবতলী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসবি) ফারুক আহমেদ জানান, শামীমের সঙ্গে আটক তার মামাত ভাই সাইফুল এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তাকে সাক্ষী হিসেবে ঘটনার বর্ণনা দিতে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। চার পুলিশ সদস্যকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
সাইফুলের একাধিক স্বজন গতকাল জানান, বুধবার সন্ধ্যায় শামীম ও সাইফুলকে আটকের পরই একটি মাইক্রোবাসে তোলা হয়। অস্ত্র ও হত্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে এসআই এমদাদ ও এএসআই আকিদ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। শামীম টাকা দিতে না চাইলে গাড়িতে এবং হরিণধরা ফাঁড়িতে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শামীমের পরিবারের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে স্বজনদের সন্দেহ হয়। তারা থানায় গিয়ে সদুত্তর না পেয়ে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে শামীমের লাশ আবিষ্কার করেন। আর সাইফুলকে পাওয়া যায় আশুলিয়া থানা হাজতে। গতকাল আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে সাইফুল বাড়ি ফিরেছেন। উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় হেমায়েতপুরে মোল্লা সিএনজি পাম্পের সামনে থেকে ব্যবসায়ী শামীম সরকার ও তার সঙ্গে থাকা সাইফুল ইসলামকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশের সিভিল টিম। পরিবারের লোকজন পুলিশের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ শামীমকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানার এএসআই আকিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মোফাজ্জল হোসেন, ইউসুফ, রমজান আলী ও আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হককে আসামি করে গত বৃহস্পতিবার রাতেই একটি মামলা করেন নিহতের বড় ভাই আমিন সরকার। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশের আরও দুটি তদন্ত কমিটি।
শামীমের জানাজা ও দাফন : শামীমের লাশ গতকাল সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুরে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় আইন প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুরুল আলম রাজীবসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। পরে ঘাতক পুলিশদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এদিকে শামীমের নামাজে জানাজার পর ট্যানারি এলাকা হরিণধরা শিল্পপুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন দেওয়ার গুজবে ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, আগুন দেওয়ার গুজবের পর হরিণধরা চামড়াশিল্প পুলিশ ফাঁড়ির ১১ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে বিকালে ফাঁড়িতে নতুন করে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সাইফুলের একাধিক স্বজন গতকাল জানান, বুধবার সন্ধ্যায় শামীম ও সাইফুলকে আটকের পরই একটি মাইক্রোবাসে তোলা হয়। অস্ত্র ও হত্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে এসআই এমদাদ ও এএসআই আকিদ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। শামীম টাকা দিতে না চাইলে গাড়িতে এবং হরিণধরা ফাঁড়িতে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শামীমের পরিবারের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে স্বজনদের সন্দেহ হয়। তারা থানায় গিয়ে সদুত্তর না পেয়ে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে শামীমের লাশ আবিষ্কার করেন। আর সাইফুলকে পাওয়া যায় আশুলিয়া থানা হাজতে। গতকাল আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে সাইফুল বাড়ি ফিরেছেন। উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় হেমায়েতপুরে মোল্লা সিএনজি পাম্পের সামনে থেকে ব্যবসায়ী শামীম সরকার ও তার সঙ্গে থাকা সাইফুল ইসলামকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশের সিভিল টিম। পরিবারের লোকজন পুলিশের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ শামীমকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানার এএসআই আকিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মোফাজ্জল হোসেন, ইউসুফ, রমজান আলী ও আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হককে আসামি করে গত বৃহস্পতিবার রাতেই একটি মামলা করেন নিহতের বড় ভাই আমিন সরকার। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশের আরও দুটি তদন্ত কমিটি।
শামীমের জানাজা ও দাফন : শামীমের লাশ গতকাল সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুরে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় আইন প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুরুল আলম রাজীবসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। পরে ঘাতক পুলিশদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এদিকে শামীমের নামাজে জানাজার পর ট্যানারি এলাকা হরিণধরা শিল্পপুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন দেওয়ার গুজবে ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, আগুন দেওয়ার গুজবের পর হরিণধরা চামড়াশিল্প পুলিশ ফাঁড়ির ১১ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে বিকালে ফাঁড়িতে নতুন করে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment