শিশুর চোখের অসুখ গ্লুকোমা
গ্লুকোমা হলো চোখের ভেতর তরল পদার্থের চাপ স্বাভাবিক অবস্থা থেকে বৃদ্ধি পেলে সাধারণ পরিভাষায় তাকে গ্লুকোমা বলে।
চোখের ভিতর সারাক্ষণ পানি উত্পাদনের ফলে চোখকে যেমন গোলাকৃত রাখতে সাহায্য করে, তেমনি চোখের নানা অংশের পুষ্টি বহন করে এই পানি। চোখের ভিতর সঞ্চালিত হওয়ার পর পানি চোখের কোণার সরু পথ দিয়ে বাহিরে এসে রক্তে মিশে যায়। এই পানি সঞ্চালনের পথে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে জমা হতে থাকলেই চোখের ভিতরের চাপ বাড়তে থাকে। স্বাভাবিক চোখের চাপ ১০-২১ মিমি: পারদ। ধীরে ধীরে বেড়ে যাওয়া উচ্চ চাপ চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্য নির্ভরশীল উপাদানগুলোর স্থায়ী ক্ষতি সাধন করে এবং দৃষ্টি হারিয়ে যায় চিরতরে। শিশুদের জন্মের সময় চোখের পানির বাহির হওয়ার সরু পথ যদি বন্ধ থাকে তবে চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। উচ্চ চাপের ফলে চোখের ভিতর স্নায়ুর রক্ত প্রবাহ কমে স্নায়ু শুকিয়ে যায়। এর ফলে দৃষ্টি সীমা বা দৃষ্টি পরিধি কমতে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে উচ্চ চাপে চোখের পরিধি বেড়ে যায়, চোখ বড় গোলাকৃতি ধারণ করে, কর্নিয়ায় পানি জমে এবং সাদা হয়ে ধীরে ধীরে শিশুটি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে চিরতরে অন্ধ হয়ে যায়।
শিশুর গ্লুকোমা
কিভাবে চিনবেন
বড় বড় চোখ, সাদা কর্ণিয়া, চোখ দিয়ে সারাক্ষণ পানি পড়া এবং আলোতে তাকাতে না পারা গ্লুকোমার লক্ষণ। অন্যভাবেও গ্লুকোমার লক্ষণ সনাক্ত করা যায়, যেমন, আলোর দিকে অবলোকন না করা, চোখের অস্বাভাবিক নড়াচড়া ইত্যাদি।
শিশুর গ্লুকোমা চিকিত্সা
উপরোক্ত উপসর্গগুলো দেখতে পেলে শিশুকে যে কোন চক্ষু চিকিত্সকের কাছে পরামর্শের জন্য নিয়ে যান। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও চোখ পরীক্ষা করিয়ে নিন। গ্লুকোমার নানা রকম চিকিত্সা রয়েছে। ওষুধ প্রয়োগ বা অপারেশনের মাধ্যমে গ্লুকোমার চিকিত্সা করা যায়। সাধারণত: বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চোখের ড্রপের মাধ্যমের বাচ্চাদের গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। কিন্তু চিকিত্সা করতে অহেতুক দেরী করলে দৃষ্টি হারিয়ে যাবে চিরদিনের জন্য। পরে অপারেশন করেও আর লাভ হবে না। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় চিকিত্সা করালে গ্লুকোমা
নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
মনে রাখবেন, শিশুর চোখ স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড়
মনে হলেই শিশু চক্ষু গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।
হতে পারে শিশুটি গ্লুকোমায় ভূগছে। তাই তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করে চিকিত্সা শুরু করে শিশুর চোখকে বাঁচান।
ডাঃ শামস মোহাম্মদ নোমান
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম
চোখের ভিতর সারাক্ষণ পানি উত্পাদনের ফলে চোখকে যেমন গোলাকৃত রাখতে সাহায্য করে, তেমনি চোখের নানা অংশের পুষ্টি বহন করে এই পানি। চোখের ভিতর সঞ্চালিত হওয়ার পর পানি চোখের কোণার সরু পথ দিয়ে বাহিরে এসে রক্তে মিশে যায়। এই পানি সঞ্চালনের পথে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে জমা হতে থাকলেই চোখের ভিতরের চাপ বাড়তে থাকে। স্বাভাবিক চোখের চাপ ১০-২১ মিমি: পারদ। ধীরে ধীরে বেড়ে যাওয়া উচ্চ চাপ চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্য নির্ভরশীল উপাদানগুলোর স্থায়ী ক্ষতি সাধন করে এবং দৃষ্টি হারিয়ে যায় চিরতরে। শিশুদের জন্মের সময় চোখের পানির বাহির হওয়ার সরু পথ যদি বন্ধ থাকে তবে চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। উচ্চ চাপের ফলে চোখের ভিতর স্নায়ুর রক্ত প্রবাহ কমে স্নায়ু শুকিয়ে যায়। এর ফলে দৃষ্টি সীমা বা দৃষ্টি পরিধি কমতে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে উচ্চ চাপে চোখের পরিধি বেড়ে যায়, চোখ বড় গোলাকৃতি ধারণ করে, কর্নিয়ায় পানি জমে এবং সাদা হয়ে ধীরে ধীরে শিশুটি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে চিরতরে অন্ধ হয়ে যায়।
শিশুর গ্লুকোমা
কিভাবে চিনবেন
বড় বড় চোখ, সাদা কর্ণিয়া, চোখ দিয়ে সারাক্ষণ পানি পড়া এবং আলোতে তাকাতে না পারা গ্লুকোমার লক্ষণ। অন্যভাবেও গ্লুকোমার লক্ষণ সনাক্ত করা যায়, যেমন, আলোর দিকে অবলোকন না করা, চোখের অস্বাভাবিক নড়াচড়া ইত্যাদি।
শিশুর গ্লুকোমা চিকিত্সা
উপরোক্ত উপসর্গগুলো দেখতে পেলে শিশুকে যে কোন চক্ষু চিকিত্সকের কাছে পরামর্শের জন্য নিয়ে যান। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও চোখ পরীক্ষা করিয়ে নিন। গ্লুকোমার নানা রকম চিকিত্সা রয়েছে। ওষুধ প্রয়োগ বা অপারেশনের মাধ্যমে গ্লুকোমার চিকিত্সা করা যায়। সাধারণত: বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চোখের ড্রপের মাধ্যমের বাচ্চাদের গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। কিন্তু চিকিত্সা করতে অহেতুক দেরী করলে দৃষ্টি হারিয়ে যাবে চিরদিনের জন্য। পরে অপারেশন করেও আর লাভ হবে না। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় চিকিত্সা করালে গ্লুকোমা
নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
মনে রাখবেন, শিশুর চোখ স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড়
মনে হলেই শিশু চক্ষু গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।
হতে পারে শিশুটি গ্লুকোমায় ভূগছে। তাই তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করে চিকিত্সা শুরু করে শিশুর চোখকে বাঁচান।
ডাঃ শামস মোহাম্মদ নোমান
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম
No comments:
Post a Comment