এক শিক্ষক অপকর্ম করে ধরা পড়লো, বছর না ঘুরতে অভিযোগ আরেকজনের বিরুদ্ধে৷ দু’জনই আবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক৷ শিক্ষকরা যদি এমন মিলেমিশে যৌন নিপীড়নে নামেন, তাহলে স্কুল শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আশ্রয় হবে কী করে!
চীনের এক স্কুলের অধ্যক্ষের কুকীর্তির খবর এখনো টাটকা৷ দেশটিতে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ওপর যৌন নিপীড়ন এবং তাদের দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কিছু তথ্য ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে৷ এবার আরেকটি খবর এলো যা একেবারে হতবাক করে দেয়ার মতো৷
সাংহাইয়ের ফরাসি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে৷ অভিযোগ করেছে সাতটি পরিবার৷ অভিযুক্ত শিক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক৷ এসব তথ্যই ভাবনায় ফেলার জন্য যথেষ্ট৷ কিন্তু এখানেই শেষ নয়৷ সাংহাইয়ের স্কুলটির আরেক শিক্ষকও একই রকমের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন গত বছর৷ সদ্য অভিযুক্ত শিক্ষকের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তিনি৷ তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বলে চীন সরকারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর দেশে ফিরিয়ে দেয় তাঁকে৷ একই স্কুলের আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠা এবং দুই শিক্ষকের বন্ধুত্বের কথা জেনে বাবা-মায়েরা পড়েছেন আরো দুশ্চিন্তায়৷ শিক্ষকরা যদি একই স্কুলে এভাবে শিক্ষার্থীদের যৌন লালসার শিকার করেন তাহলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কে, কিভাবে দেবে?
সাংহাইয়ের কিন্ডারগার্টেনের অভিযুক্ত দ্বিতীয় শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ তদন্ত চলছে৷ যৌন নিপীড়নের শিকার এক ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত৷ ঘটনার পরপর মেয়েটি বিমর্ষ থাকতো, কখনো কখনো কাঁদতে কাঁদতে নিজের গাল আর উরুতে আঁচড় কাটতো৷ অনেক কষ্টে এমন আচরণের কারণ জানার পর শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে মেয়েটির পরিবার৷ শুধু মেয়ে নয়, উভকামী ওই শিক্ষক কচি ছেলেদের ওপরও নিপীড়ন চালিয়েছেন৷ তিন থেকে ১৬ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা পড়ে স্কুলটিতে৷ কথিত শিক্ষক পাঁচ বছর ধরে অপকর্ম চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
No comments:
Post a Comment