Wednesday, June 12, 2013

অ্যাজমার চিকিৎসায় সূর্যালোক

অ্যাজমার চিকিৎসায় সূর্যালোক



অ্যাজমা রোগের চিকিৎসায় সূর্য রশ্মির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব খুঁজে পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক।
সূর্যের আলোতে থাকা ভিটামিন ডি অ্যাজমা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা।
সর্বসাম্প্রতিক গবেষণার পর তারা বলেছেন, সূর্যের আলো থেকে আমাদের দেহে যে স্বল্পমাত্রার ভিটামিন-ডি তৈরি হয় তা অ্যাজমা প্রতিরোধে সহায়ক।
‘অ্যালার্জি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইমিউনোলোজি’ সাময়িকীতে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে গবেষণা থেকে পাওয়া ফলের ভিত্তিতে অ্যাজমা রোগীদেরকে ভিটামিন-ডি দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চিকিৎসা করা এখনো শুরু হয়নি।
অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীদের শ্বাসনালী বন্ধ থাকার কারণে তারা শ্বাসকষ্টে ভোগে।এর চিকিৎসার জন্য বাজারে ওষুধ প্রচলিত থাকলেও অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই তা সব সময় কার্যকর হয় না।
গবেষক দলের সদস্য অধ্যাপক ক্যাথরিন হাওরিলোয়িজ বলেন, যাঁদের দেহে ভিটামিন ডি’র উপস্থিতি বেশি, তারা সহজে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
গবেষণায় মানুষের দেহের ভেতরে ইন্টারলুকিন-১৭ নামের একটি রাসায়নিক উপাদানের ওপর সূর্যালোকের ভিটামিন ডি-এর প্রভাব খতিয়ে দেখেছেন গবেষকরা।
এ রাসায়নিক উপাদানটি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; যা রোগ সংক্রমণ মোকাবেলা করে।
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ রাসায়নিকের মাত্রা খুবই বেশি হয়ে গেলে তা জটিল আকার ধারণ করে এবং অ্যাজমা বেড়ে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন-ডি ইন্টারলুকিন-১৭’র মাত্রা কমিয়ে দিতে সক্ষম।
ফলে সূর্যালোকের ভিটামিন দিয়ে রোগীদের চিকিৎসায় ফল হয় কিনা তা নিয়ে এখন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
তবে সূর্যের পর্যাপ্ত আলো ভিটামিন ডি’র উৎস এবং তা দেহের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত সূর্যালোক দেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন গবেষকরা।

No comments:

Post a Comment