বর্তমান সময়ে শরীরচর্চার জন্য ব্যায়ামাগার (জিম) বেশ জনপ্রিয়। আগেকার মতোন বাসার ছাদ বা বারান্দার গণ্ডি থেকে বেরিয়ে অনেকেই তাই ছুটছেন জিমের দিকে। পরিবেশ অনুযায়ী জিম শরীরচর্চার জন্য বেশ কার্যকর। কিন্তু শুধু পরিবেশের কথা ভাবলেই কি চলে, ঘামঝরানোর কর্মকাণ্ডগুলোর সাথে মানানসই পোশাকও তো চাই। এমনিতেই পরিশ্রমের কাজ এর মধ্যে পোশাকও যদি আরামপ্রদ না হয় তবে বেশ বিব্রতকর অবস্থাতেই পরতে হবে।
এই বলে ব্যায়াম করতে গিয়েছেন বলে রঙিন পোশাক পরতে পারবেন না এমনটা নয়। তবে যেহেতু পরিশ্রম করতে গিয়েছেন সেজন্য একরঙা হালকা পোশাকই সবচেয়ে ভালো। তবে ধূসর, কালো, নীল, সাদা এই রংগুলোই ওয়ার্কআউটের জন্য ভালো হয়।
পাতলা টি-শার্ট বা স্লিভলেস গেঞ্জি জিমের পোশাক হিসেবে বেশ উপযোগী। তবে মনে রাখবেন ব্যায়ামাগারে পরিশ্রমকালে আপনার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে শুষে নেওয়ার ক্ষমতা আছে এমন কাপড়ের পোশাক পরা উচিত। তাছাড়া স্ট্রেচিং-এর ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে। আটসাট পোশাকে পরলে যখন আপনার বাইসেপ, ট্রাইসেপ স্ফীত হবে তখন আপনি অস্বস্তিবোধ করবেন। অন্যদিকে আপনাকে দেখাবেও খুব বেঢপ।
শর্টস শুনেই নাক কুচকোবেন না। হাটু পর্যন্ত হাফপ্যান্ট অর্থাৎ সোজা বাংলায় শর্টস পরে অনেক ব্যায়াম আপনি সহজেই করতে পারবেন। তবে শর্টস ঢিলেঢালা হলেই ভালো হয়। একই সময়ে ট্রাউজারও পরতে পারেন।
জিমে প্রয়োজনীয় পোশাক বা জুতার পাশাপাশি নিজস্ব তোয়ালেও নিয়ে যেতে হবে মনে করে। তবে বেশি পোশাক নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তা ছাড়া অনেক জিমে কাপড় রাখার ব্যবস্থা থাকে। সেরকম সুবিধা থাকলে জিম ওয়ার্ডড্রোবে কাপড় রাখতে পারেন। এতে করে বার বার নিয়ে আসার ঝামেলা থেকে বাঁচা যায়।
No comments:
Post a Comment