ভেন্যু একই, উইকেটও অভিন্ন।
সত্যি, তবে বিশ্বাস করা কঠিন। কে বলবে, সোফিয়া গার্ডেনের এই উইকেটে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে রান উঠেছিল প্রায় সাড়ে ছয় শ! ভারতের ৩৩১ তাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছিল ৩০৫। ওই একই উইকেটে কাল শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গেল ১৩৮ রানে। সেই রান তাড়ায় আবার নাভিশ্বাস উঠে গেল নিউজিল্যান্ডের। রোমাঞ্চকর লড়াইটা কিউইরা শেষ পর্যন্ত জিতল ১ উইকেটে!
মাঝের দুই দিনে উইকেটের চরিত্র পুরো পাল্টে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। পাল্টায়ওনি। ব্যাটিং-স্বর্গ রাতারাতি হয়ে ওঠেনি ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি। দুই দলের ব্যাটসম্যানদের বাজে ব্যাটিং আর দুই দলেরই বোলারদের ভালো বোলিং-ফিল্ডিংয়ের মিশেলেই এই লো-স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চ। ম্যাচটি জিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রায় ভুলে যেতে বসা জয়ের স্বাদও পেল নিউজিল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কিউইদের সর্বশেষ জয়টি ছিল গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে, জোহানেসবার্গে। মাঝের চার বছরে আট ম্যাচের ছয়টি জিতেছে শ্রীলঙ্কা, দুটি পরিত্যক্ত। জয়-খরা কাটাল সেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই।
ফিল্ডিং ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের আদর্শ পারফরম্যান্স যেমন থাকে, তার সবই ছিল কাল—পেসারদের নিখুঁত লাইন-লেংথ, ছোট ছোট সুইং, স্পিনারদের সংগত আর দুর্দান্ত ফিল্ডিং। দিনের প্রথম বলেই ম্যাচের আবহটা যেন ঠিক করে দিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে নিলেন দুর্দান্ত এক ক্যাচ, তবে গ্লাভস হাতে নয়। কুশল পেরেরা ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে বাঁ দিকে ডাইভ দিয়ে হাতে জমালেন দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো কিউই অধিনায়ক।
ধাক্কা সামলে পাল্টা-আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন তিলকরত্নে দিলশান। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ২৭ রানের ছোট্ট জুটির পর আবার ধস, ৭ রানে নেই ৩ উইকেট। এরপর লঙ্কান ইনিংসটা যেন এক মাঝির তরী। এক পাশে একা হাল ধরে রইলেন কুমার সাঙ্গাকারা, অন্যপাশে শুধুই আসা-যাওয়া। ২৬ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমেই দারুণ এক বলে জয়াবর্ধনেকে বধ করলেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। সপ্তম উইকেটে সাঙ্গাকারার সঙ্গে থিসারা পেরেরার ৩৬ রানই ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি! দ্বিতীয় বলেই উইকেটে যাওয়া সাঙ্গাকারা অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন ৬৮ রান করে। লঙ্কার ইনিংসটাও থমকে গেছে আর খানিক পর।
ওই পুঁজিকে সম্বল করেই ঝাঁপিয়ে পড়লেন লঙ্কান বোলাররা। দ্বিতীয় উইকেটে উইলিয়ামসন-গাপটিল ৩৪ রানের জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু লঙ্কান পেস-স্পিনের যৌথ আক্রমণে নিউজিল্যান্ড উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিত। ইনিংসে সর্বোচ্চ জুটিটি এসেছে সপ্তম উইকেটে। ৮০ রানে ৬ উইকেট হারানো দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায় দুই ম্যাককালাম ভাইয়ের ৩৫ রানের জুটি। নিজের পরপর দুই ওভারে দুই ভাইকেই ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন মালিঙ্গা। শেষ পর্যন্ত মালিঙ্গা-ইরাঙ্গার তোপ সামলে দলকে জয় এনে দিল কিউই লোয়ার-অর্ডার। ওয়েবসাইট।
সত্যি, তবে বিশ্বাস করা কঠিন। কে বলবে, সোফিয়া গার্ডেনের এই উইকেটে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে রান উঠেছিল প্রায় সাড়ে ছয় শ! ভারতের ৩৩১ তাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছিল ৩০৫। ওই একই উইকেটে কাল শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গেল ১৩৮ রানে। সেই রান তাড়ায় আবার নাভিশ্বাস উঠে গেল নিউজিল্যান্ডের। রোমাঞ্চকর লড়াইটা কিউইরা শেষ পর্যন্ত জিতল ১ উইকেটে!
মাঝের দুই দিনে উইকেটের চরিত্র পুরো পাল্টে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। পাল্টায়ওনি। ব্যাটিং-স্বর্গ রাতারাতি হয়ে ওঠেনি ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি। দুই দলের ব্যাটসম্যানদের বাজে ব্যাটিং আর দুই দলেরই বোলারদের ভালো বোলিং-ফিল্ডিংয়ের মিশেলেই এই লো-স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চ। ম্যাচটি জিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রায় ভুলে যেতে বসা জয়ের স্বাদও পেল নিউজিল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কিউইদের সর্বশেষ জয়টি ছিল গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে, জোহানেসবার্গে। মাঝের চার বছরে আট ম্যাচের ছয়টি জিতেছে শ্রীলঙ্কা, দুটি পরিত্যক্ত। জয়-খরা কাটাল সেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই।
ফিল্ডিং ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের আদর্শ পারফরম্যান্স যেমন থাকে, তার সবই ছিল কাল—পেসারদের নিখুঁত লাইন-লেংথ, ছোট ছোট সুইং, স্পিনারদের সংগত আর দুর্দান্ত ফিল্ডিং। দিনের প্রথম বলেই ম্যাচের আবহটা যেন ঠিক করে দিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে নিলেন দুর্দান্ত এক ক্যাচ, তবে গ্লাভস হাতে নয়। কুশল পেরেরা ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে বাঁ দিকে ডাইভ দিয়ে হাতে জমালেন দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো কিউই অধিনায়ক।
ধাক্কা সামলে পাল্টা-আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন তিলকরত্নে দিলশান। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ২৭ রানের ছোট্ট জুটির পর আবার ধস, ৭ রানে নেই ৩ উইকেট। এরপর লঙ্কান ইনিংসটা যেন এক মাঝির তরী। এক পাশে একা হাল ধরে রইলেন কুমার সাঙ্গাকারা, অন্যপাশে শুধুই আসা-যাওয়া। ২৬ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমেই দারুণ এক বলে জয়াবর্ধনেকে বধ করলেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। সপ্তম উইকেটে সাঙ্গাকারার সঙ্গে থিসারা পেরেরার ৩৬ রানই ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি! দ্বিতীয় বলেই উইকেটে যাওয়া সাঙ্গাকারা অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন ৬৮ রান করে। লঙ্কার ইনিংসটাও থমকে গেছে আর খানিক পর।
ওই পুঁজিকে সম্বল করেই ঝাঁপিয়ে পড়লেন লঙ্কান বোলাররা। দ্বিতীয় উইকেটে উইলিয়ামসন-গাপটিল ৩৪ রানের জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু লঙ্কান পেস-স্পিনের যৌথ আক্রমণে নিউজিল্যান্ড উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিত। ইনিংসে সর্বোচ্চ জুটিটি এসেছে সপ্তম উইকেটে। ৮০ রানে ৬ উইকেট হারানো দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায় দুই ম্যাককালাম ভাইয়ের ৩৫ রানের জুটি। নিজের পরপর দুই ওভারে দুই ভাইকেই ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন মালিঙ্গা। শেষ পর্যন্ত মালিঙ্গা-ইরাঙ্গার তোপ সামলে দলকে জয় এনে দিল কিউই লোয়ার-অর্ডার। ওয়েবসাইট।
No comments:
Post a Comment