নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরির দিকে যাচ্ছিলাম। পেছন থেকে কেউ একজন ডাকল। মেয়েলি কণ্ঠ, প্রথমে চমকে গেলাম। ২০-২১ বছরের একটি মেয়ে। অনেকটা হাঁপাতে হাঁপাতে আমার সামনে এসে দাঁড়াল। বড় মাপের কয়েকটা নিঃশ্বাস নিয়ে বলল, ‘অনেকক্ষণ ধরে পেছন থেকে ডাকছি আপনাকে।’ মেয়েটিকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে, ঠিক কোথায় দেখেছি মনে করতে পারছি না। ‘কী ব্যাপার, এমন হাঁ করে কী দেখছেন? বুঝেছি, আমাকে চিনতে পারেননি, তাই না?’ আমি হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়ালাম।
‘আমি মিলি। তিন বছর আগে কমলাপুরে আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতেন। আমাকে পড়াতেন। শিক্ষক হিসেবে আব্বু আপনাকে বেশ পছন্দ করত। চিনেছেন?’
এক মিনিট একটু মনে করে নিলাম। ‘হ্যাঁ, মনে পড়েছে, ইয়ে মানে তুমি এত বড় হয়ে গেছ।’
‘আসুন, কোথাও বসি।’
‘ইয়ে মানে, আমার যে একটু তাড়া আছে।’
‘ও আচ্ছা ঠিক আছে, আপনার ফোন নম্বরটা দিন।’
অনেকটা লজ্জা পেয়ে মাথাটা নিচু করে বললাম, ‘মোবাইলটা গতকাল লোকাল বাস থেকে চুরি হয়ে গেছে।’
‘ঠিক আছে, কোথায় থাকেন?’
‘পল্টনে একটি মেসে।’
চট করে মেয়েটি আমার কাছ থেকে ঠিকানাটা নিয়ে নিল। তারপর অদ্ভুতভাবে বলল, ‘স্যার, আমার মনে হয় আপনি ঠিক আগের মতো এখনো বোকা রয়ে গেছেন।’ যেমন ঝড়ের মতো এসেছিল মিলি, তেমনি ঝড়ের মতো চলে গেল আবার।
মেঘলা আকাশ, মেঘ ডাকার গুড়ুম গুড়ুম শব্দ। সন্ধ্যা। মনটা খুব খারাপ। চাকরিটি হয় হয় করেও হলো না। ভাবতে ভাবতে মেসে এসে ঢুকলাম। বুয়া বসে ছিল মেঝেতে। দেখছিল হিন্দি সিরিয়াল। আমি আসতেই বলল, ‘ভাইজান, একজন সুন্দরী ম্যাডাম আসছিল।’ গামছা দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বললাম, ‘কার কাছে?’ ‘আপনার কাছে।’ মাথা মোছা বন্ধ করে বুয়ার দিকে তাকালাম। অবাক হয়েছি। কারণ, কোনো মেয়ে আমার কাছে আসবে এটা কখনো ভাবতেও পারি না।
‘নাম বলেছে?’
‘জিজ্ঞেস করতে ভুইলা গেছি। তয় একটা প্যাকেট দিয়া গেছে।’
‘কই, দেখি।’ মোড়ানো প্যাকেটটা খুলতেই একটা বক্স পেলাম। সঙ্গে একটা খাম। সেটা খুলতেই চমকে গেলাম। খামের ভেতর টাকা। সঙ্গে একটা চিঠি আছে। গোটা গোটা হাতে লেখা, ‘আপনাকে প্রায়ই দেখি, রাস্তার পাশে সস্তা হোটেলগুলোতে দুপুরের লাঞ্চ করেন। এখন থেকে সেটা আর করবেন না, শরীর খারাপ হতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানলাম আপনার মা হাসপাতালে ভর্তি, তাঁকে সুস্থ করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই টাকাটা আপনাকে দিলাম। ফেরত না দিলেও চলবে। আর পাঞ্জাবিটা পরবেন, আশা করি ভালো লাগবে। ইতি...’
‘আমি মিলি। তিন বছর আগে কমলাপুরে আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতেন। আমাকে পড়াতেন। শিক্ষক হিসেবে আব্বু আপনাকে বেশ পছন্দ করত। চিনেছেন?’
এক মিনিট একটু মনে করে নিলাম। ‘হ্যাঁ, মনে পড়েছে, ইয়ে মানে তুমি এত বড় হয়ে গেছ।’
‘আসুন, কোথাও বসি।’
‘ইয়ে মানে, আমার যে একটু তাড়া আছে।’
‘ও আচ্ছা ঠিক আছে, আপনার ফোন নম্বরটা দিন।’
অনেকটা লজ্জা পেয়ে মাথাটা নিচু করে বললাম, ‘মোবাইলটা গতকাল লোকাল বাস থেকে চুরি হয়ে গেছে।’
‘ঠিক আছে, কোথায় থাকেন?’
‘পল্টনে একটি মেসে।’
চট করে মেয়েটি আমার কাছ থেকে ঠিকানাটা নিয়ে নিল। তারপর অদ্ভুতভাবে বলল, ‘স্যার, আমার মনে হয় আপনি ঠিক আগের মতো এখনো বোকা রয়ে গেছেন।’ যেমন ঝড়ের মতো এসেছিল মিলি, তেমনি ঝড়ের মতো চলে গেল আবার।
মেঘলা আকাশ, মেঘ ডাকার গুড়ুম গুড়ুম শব্দ। সন্ধ্যা। মনটা খুব খারাপ। চাকরিটি হয় হয় করেও হলো না। ভাবতে ভাবতে মেসে এসে ঢুকলাম। বুয়া বসে ছিল মেঝেতে। দেখছিল হিন্দি সিরিয়াল। আমি আসতেই বলল, ‘ভাইজান, একজন সুন্দরী ম্যাডাম আসছিল।’ গামছা দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বললাম, ‘কার কাছে?’ ‘আপনার কাছে।’ মাথা মোছা বন্ধ করে বুয়ার দিকে তাকালাম। অবাক হয়েছি। কারণ, কোনো মেয়ে আমার কাছে আসবে এটা কখনো ভাবতেও পারি না।
‘নাম বলেছে?’
‘জিজ্ঞেস করতে ভুইলা গেছি। তয় একটা প্যাকেট দিয়া গেছে।’
‘কই, দেখি।’ মোড়ানো প্যাকেটটা খুলতেই একটা বক্স পেলাম। সঙ্গে একটা খাম। সেটা খুলতেই চমকে গেলাম। খামের ভেতর টাকা। সঙ্গে একটা চিঠি আছে। গোটা গোটা হাতে লেখা, ‘আপনাকে প্রায়ই দেখি, রাস্তার পাশে সস্তা হোটেলগুলোতে দুপুরের লাঞ্চ করেন। এখন থেকে সেটা আর করবেন না, শরীর খারাপ হতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানলাম আপনার মা হাসপাতালে ভর্তি, তাঁকে সুস্থ করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই টাকাটা আপনাকে দিলাম। ফেরত না দিলেও চলবে। আর পাঞ্জাবিটা পরবেন, আশা করি ভালো লাগবে। ইতি...’
No comments:
Post a Comment