Thursday, June 13, 2013

রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের রিমিয়েন্স ডিবেটিং সোসাইটির সদস্যরা
রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের রিমিয়েন্স ডিবেটিং সোসাইটির সদস্যরা
সকালের রোদ তেতে ওঠার আগেই ঘরটা ভরে উঠতে থাকে। পত্রিকা হাতে নিয়ে এইচ এম সাবির নূর হাজির। ঝট করে তার হাত থেকে পত্রিকাটা নিয়ে চোখ বোলায় ইশতেয়াক মাসরুর। যোগ দেয় আরশাদও। দেশ ও বিদেশের সাম্প্রতিক ঘটনায় তাদের সবার চোখ।
বলছিলাম ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের বিতর্ক ক্লাব ‘রিমিয়েন্স ডিবেটিং সোসাইটি’র (আরডিএস) কথা। যেখানে একঝাঁক শিক্ষার্থী ক্লাস, পরীক্ষার পাশাপাশি অংশ নেয় বিতর্কবিষয়ক নানা কর্মকাণ্ডে। তর্ক আর আড্ডার সঙ্গেই জানা হলো ক্লাবটির নানা কর্মকাণ্ড।
রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের এই বিতর্ক ক্লাব আরডিএস ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অয়োজন করছে নানা প্রতিযোগিতা ও কর্মশালার। সব ঠিক থাকলে জুলাই মাসেই চতুর্থবারের মতো আয়োজন করা হবে জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০১৩। যেখানে প্রতিবারের মতো সারা দেশের অর্ধশতাধিক দল অংশ নেবে। এখন চলছে তারই ব্যস্ততা।
আরডিএসের সভাপতি এইচ এম সাবির নূর জানালেন, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে তাদের কথা বলার সুযোগ দরকার। আর বিতর্কের মাধ্যমেই সেটা হতে পারে অনেক সহজে। এতে তাদের মধ্যে দেশ-বিদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্র, সমাজসহ সব ধরনের জ্ঞানের সঞ্চার হয়। তাই একজন শিক্ষার্থীর বিতর্ক করা দরকার।
নিজেরা যেমন আয়োজন করেন নানা বিতর্ক প্রতিযোগিতা, তেমনি অংশ নেন বাইরের প্রতিযোগিতাগুলোতেও। দিন গড়াচ্ছে আর অর্জনের ঝুলিটাও বাড়ছে তাদের। এ বছর পেয়েছে একটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফিসহ, তিনটি রানারআপ পুরস্কার।
সংগঠনের মডারেটর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক সাবেরা সুলতানা বলেন, ‘বিতর্ক সংগঠন হিসেবে আমাদের পথচলা অল্প দিনের হলেও বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। বেশ ভালো করছে বাইরের প্রতিযোগিতাগুলোতে। নিয়মিত আয়োজন হয় অন্তকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতার। যেখান থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আগ্রহী হচ্ছে নিজেদের বিতর্ক ক্লাবে যুক্ত হওয়ার জন্য। যোগ দিচ্ছে ক্লাবে।’
বিতর্ক ক্লাবে অনেক শিক্ষার্থী যুক্ত হলেও এখানে কলেজ পর্যায়ে তিনটিসহ মোট নয়টি বিতর্কের দল রয়েছে। দলের নামগুলোও দেশের নানা সময়ের প্রেরণা দিয়ে করা হয়েছে একুশ, বায়ান্ন, উনসত্তর, একাত্তরসহ নানা নামে।
ক্লাবের দুই শিক্ষার্থী শিহাব রশীদ ও ফাহিম আজরার জানায়, ‘সপ্তাহে এক দিন বৃহস্পতিবার নিয়মিত আয়োজন করা হয় আজকের মতো অড্ডা। যেখানে আমরা বাইরের নানা প্রশিক্ষকের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেই। এ ছাড়া নানা ধরনের বই পড়ে থাকি।’ 
প্রতিবছরই সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয় বাগ্মী নামে একটি প্রকাশনা। যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের লেখাচর্চার সুযোগ পায়।

No comments:

Post a Comment