Wednesday, June 5, 2013

ভালোবাসি ভালোবাসি

ভালোবাসি ভালোবাসি
রবি ঠাকুর তো তার গানের কথায় আর সুরে ভালোবাসার আলোড়ন তুলেই ক্ষান্ত দিয়েছেন। এদিকে প্রেমের আকুতি নিয়ে কত তরুণ-তরুণীর হূদয়ে যে ভালোবাসার জলোচ্ছ্ব্বাস চলছে তার খবর কে রাখে। তবে ভালোবাসার এই উচ্ছ্ব্বাসটাকে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে না পারলে কিন্তু চোখের প্লাবনে ভাসবার সম্ভাবনাই বেশি। আর সেটি না করে যদি হূদয়ে খুশির বন্যা বইয়ে দিতে চান তবে কীভাবে ভালোবাসার কথা বলবেন সেটি জানার পাশাপাশি জানতে হবে কখন তা বলতে হবে। তা বেশ তো, প্রিয় বিনোদনের পরামর্শগুলোতে না হয় এ যাত্রা আরও একবার চোখ রাখুন। জানাচ্ছেন 

সাবেরা সুলতানা

ভালোবাসি বলুন যখন...

ছেলেমানুষী প্রেমের স্থায়িত্ব কখনও খুব বেশিদিনের হয় না। কাজেই যদি ভেবে থাকেন যে এবার ভালোবাসার স্বপ্নের সাথেই গড়বেন আপনার ঘর-বসতি তবে একটু ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। শুধু মুখে 'আই লাভ ইউ' বললেন আর প্রেম হয়ে গেল; জীবনটা সব সময় এত সিনেম্যাটিক নাও হতে পারে। তাই নিজেকে আগে পুরোপুরি প্রস্তুত করে তুলুন নতুন সম্পর্কে জড়াবার জন্য। আর এই হোমওয়ার্কটি যখন পুরোপুরি শেষ হবে তখন আত্মবিশ্বাসের সাথে তাকে জানিয়ে দিন ভালোবাসার কথা। 

নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা যদি ভালো হয় তাহলে সময়ই আপনাকে বলে দেবে কখন তাকে বলা যায় ভালোবাসার চূড়ান্ত কথাটি।

মন যেহেতু বাধা পড়েছে তার মনে, তাই আজ কিংবা কাল ভালোবাসার কথা তো বলতেই হবে তাকে। তবে চূড়ান্ত কথাটি বলবার আগে তাকে একটু যাচাই-বাছাই করে নিন। বুঝবার চেষ্টা করুন জীবন নিয়ে আপনার প্রিয় মানুষটির দৃষ্টিভঙ্গি কী। একটি সম্পর্কে জড়ানোর মতো গভীরতা তার মাঝে আছে কি না সেটাও যাচাই করুন বন্ধুর মতো তার পাশে থেকে। আর সুযোগ পেলেই তাকে ইঙ্গিত দিন আপনার ভালোবাসার। বুঝবার চেষ্টা করুন এসব বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়াটিও।

ভালোবাসি বলার জন্য সময়ের বিষয়টি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই যেদিন মনের কথাটি প্রিয় মানুষের সামনে পাড়বেন সেদিন তার মন-মেজাজ কেমন তা আগে থেকেই আঁচ করার চেষ্টা করুন। ছেলেটি বা মেয়েটি হয়তো একটু আগেই প্রচণ্ড বাজে একটি ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই আপনি হালুম-হুলুম করে তাকে জানালেন ভালোবাসার কথা। এতে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার চাইতে তৈরি সম্পর্ক ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনাই কিন্তু বেশি। 

ভালোবাসি বলবেন না যখন...

আজকাল অনেকেই মুঠোফোনে প্রেম করছেন। তবে নিজেদের বোঝাপড়াটা যখন বেশ ভালোর দিকে গড়াবার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তখন তাকে ভালোবাসার কথাটি জানাতে সরাসরি আমন্ত্রণ জানান কোনো একটি রেস্টুরেন্টে। কেননা ফোন কিংবা ইন্টারনেটে প্রেম নিবেদনের চাইতে এসব কথা সামনাসামনি বলাই ভালো।

বন্ধুদের আড্ডায় কখনোই কাউকে প্রেমের প্রস্তাব দেবেন না। এতে আপনার প্রিয় মানুষটি যেমন বিব্রতবোধ করতে পারে, তেমনি তার নেতিবাচক উত্তরে অস্বস্তিতে পড়ে যেতে পারেন আপনিও।

জীবন নিয়ে মজা করতে পারাটা ভালো। তবে প্রস্তাব দেবার সময়টাতেও যদি আপনি ক্রমাগত মজা করে যেতে থাকেন তাহলে আপনার সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনীর কিন্তু মনে হতেই পারে যে আপনি সম্পর্কটির বিষয়ে মোটেও সিরিয়াস নন।

প্রস্তাব দেবার সময় নিজের 'ম্যানার' এবং 'এটিকেটে'র দিকেও খেয়াল রাখবেন। কেউ যদি খাওয়া বা অন্য কোনো কাজে ভীষণ ব্যস্ত থাকে তবে সেই মুহূর্তে তাকে ভালোবাসার কথা না জানানোটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। এমনকি যখন আপনি প্রস্তাব দেবার জন্য প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে কোথাও খেতে যাবেন তখনও এ বিষয়টি মাথায় রাখুন। প্রথমে বন্ধুত্বপূর্ণ কথাবার্তায় খাওয়াদাওয়াটা সেরে নিন। তারপর ধীরে সুস্থে তাকে জানান ভালোবাসার কথা। 

মন থেকে না ভেবে কিংবা চিন্তা না করে ভালোবাসার কথাটি বলবেন না। এমন অনেকেই আছেন যারা প্রেমে ব্যর্থ হবার পর ভাবতে থাকেন যে হয়তো এভাবে না করে ওভাবে বিষয়টা উপস্থাপন করলে প্রেমটা হয়ে যেত। কাজেই আপনি এ দলটায় নিজেকে ফেলবেন না।

ভালোবাসার উত্সবকে বরণ করে নেবার প্রস্তুতি চলছে চারদিকে। আর আনিকা নিজেকে প্রস্তুত করছে ফাগুনের আগুন সাজে সাজাবে বলে। আর তো মাত্র কয়েকটা দিন পরেই ছেলেটা আসবে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে বলে। কিন্তু এই কয়েকটা দিনকেই কেন যেন কয়েক যুগ মনে হচ্ছে তার। ভালোবাসার মানুষটিকে ঘিরে যে অগুনতি স্বপ্নের জাল বুনে সে কাটিয়ে দিয়েছে দীর্ঘ একটা বছর, বছর ফুরোবার মাত্র দুদিন আগে সেই মানুষটির অপেক্ষাকেই যেন মনে হচ্ছে দীর্ঘ একসময়। সত্যি ভালোবাসা খুব অদ্ভুত। বড় অজানা এর গতি পথ।

No comments:

Post a Comment