Wednesday, June 5, 2013

বাংলাদেশে উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভবিষ্যত্

ন তু ন প্র জ ন্মে র ভা ব না


উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চাতেই স্বাধীনতার 

স্বার্থকতা

নাগরিক, রাষ্ট্র ও রাজনীতি এই তিনটি বিষয়ের প্রত্যেকটি একটি আরেকটির পরিপূরক, কেননা নাগরিক ছাড়া রাষ্ট্র হতে পারে না আবার নাগরিকও নিজের পূর্ণতা অনুভব করতে পারে না রাষ্ট্র ছাড়া এবং রাজনীতি হচ্ছে নাগরিক আর রাষ্ট্রের সফলতার পথ প্রদর্শক— অন্যদিকে 'উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতি হচ্ছে এই সফতলার মূল চাবিকাঠি। তাই আমাদের সোনার বাংলায়ও দরকার উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতি, কেননা উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতিই পারে একটি দেশকে সকল রাজনৈতিক সংকটমুক্ত করতে। আমরা একটু লক্ষ্য করলেই দেখতে পারি যে, ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রধান রাজনীতিবীদ ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির নেতৃত্বে যখন প্রথমবার কংগ্রেস পার্টি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল তখন সবারই ধারণা ছিল সোনিয়া গান্ধীই হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু শেষ মুহূর্তে দেখা গেল যে, ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন মনমোহন সিং । 

আমরা আরো জানি, মহান নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস টানা দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে, কোন বাধা না থাকলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ না করে-দেশের উন্নতির জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন এখনো পর্যন্ত। এটা সম্ভব হয়েছে মহান এই নেত্রীর 'উদার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির' জন্য। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে দৃষ্টিপাত করলেও সহজেই দেখা যায় যে, দেশের স্বার্থে কোন সিদ্ধান্ত যদি সরকারি দল গ্রহণ করে তবে বিরোধী দল বিরোধিতা বর্জন করে তাদের সরকারকে সাহায্য করে এবং বিরোধীদল যদি সরকারি দলের কোন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তবে সরকার পক্ষ দেশের স্বার্থে গুরুত্বসহ বিবেচনা করে আর দরকার হলে কখনো কখনো নিজেদের দলের কোন ক্ষতি হওয়ার পরেও তা মেনে নেয় এবং দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখে যা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য। তাই আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই আমার সোনার বাংলা অর্থাত্, বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল যদি নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করে শুধুমাত্র দেশের জন্য উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা করে তবেই বাংলাদেশ ফিরে পাবে স্বাধীনতার স্বার্থকতা।

তারেক রহমান

স্নাতক সম্মান (বাংলা), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

গাজীপুর, বাংলাদেশ।

০০০০০০০০০০০০০

হিংসা ও প্রতিহিংসার রাজনীতি আজ এবং আগামীর বাংলাদেশকে ধ্বংস করবে, তাই সঠিক নেতৃত্বের প্রয়োজন

নব্বই-এর দশকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশের রাজনীতি মূলত হিংসা এবং প্রতিহিংসার মাঝে রয়ে গেছে। আর এই হিংসার রাজনীতির মূল্য দিতে হচ্ছে দেশের আপামর জনসাধারণকে। বাংলাদেশের সর্বত্র আজ আতংক-অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মারামারি,কাটাকাটি,রেষারেষি কল-কারখানাতে শ্রমিকের অসন্তোষ, গার্মেন্টস সেক্টরে নৈরাজ্য, প্রশাসন তো বলার অপেক্ষা রাখে না শীর্ষ দুর্নীতিসহ মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটছে এমন আরো অনেক। দলীয় সরকারেরর অধীনে নির্বাচন করার ঘোষণার ফলে দেশে একটি রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকটের উত্তরণ কিভাবে হবে তা নিয়ে দেশের মানুষ আজ অত্যন্ত চিন্তিত।

সংঘাত এবং প্রতিশোধের এ রাজনীতি বন্ধ করতে হবে এছাড়া এ সংকট উত্তরণের কোন উপায় নেই। আমাদের দেশে খনিজ সম্পদ ও পাকৃতিক সম্পদে ভরপুর ও ১৬ কোটি মানুষের ছোট্ট এই দেশটি যে, একটি সম্ভাবনাময় দেশ তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রয়োজন শুধু সঠিক নেতৃত্বের। 

মো. দেলোয়ার হোসাইন

৩য় বর্ষ, সরকারি তিতুমীর কলেজ

বিভাগ: অর্থনীতি

০০০০০০০০০০০০০

সকল হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঠিক চর্চা করি

এ দেশের উন্নয়নকে বেগবান ও গতিশীল করার জন্য প্রয়োজন বিরোধীদলের সহায়তা, গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা, উদার নীতি ও পারস্পরিক সহায়তা।

আমরা কেন উন্নত বিশ্বের দিকে তাকাই না? তারা কিভাবে এত উন্নত হল। আমেরিকায় যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় তখন প্রতিপক্ষ হেরে গেলেও ক্ষিপ্ত না হয়ে জয়ী প্রার্থীকে শুভচ্ছা জানায়। এটি কেবলই উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতিরই ফসল। আমরা কেন পারি না? আমাদের কেবল প্রয়োজন একটু সদিচ্ছা। আমাদের দেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে সেদিনই দাঁড়াবে; যেদিন আমরা পরস্পরকে দোষারোপ না করে উদার রাজনীতির চর্চা শুরু করব। আমি একজন ছাত্র হিসেবে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাব আসুন, আমরা আমাদের দেশকে ভালবাসি। সকল হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঠিক চর্চা করি। সময় অনেক পেরিয়ে গেছে। এভাবে আর কতদিন চলবে।

ফয়জুর রহমান

সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ ময়মনসিংহ

অনার্স (৪র্থ) বর্ষ, সমাজকর্ম বিভাগ।

০০০০০০০০০০০০

সুষ্ঠু নির্বাচনই হবে

গণতন্ত্রের 'মুকুট'

সকল দলের উচিত দেশ ও জাতির কল্যাণার্থে আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী ও নেতারা যদি অনড় অবস্থান থেকে সরে সহানুভূতির মধ্য দিয়ে একসাথে আলোচনা করে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক অথবা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব যা হবে জনগণের প্রত্যাশিত মাথার মুকুটস্বরূপ। আর দেশের প্রধান দুই নেত্রী যদি একযোগে কাজ করে তাহলে আমাদের দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে উন্নত আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব হবে। তখনই সর্বস্তরের জনগণ আশা করবে দেশের নাগরিক হিসাবে তাদের প্রত্যাশিত প্রাপ্য পূর্ণ হবে।

মির্জা মো. আহসানুল বেগ (উজ্জল)

সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ (৪র্থ বর্ষ)
তত্ত্বাবধায়ক সরকার-এর অস্তিত্বের প্রশ্নে গণভোট 

চাই

জনগণ ছাড়া সরকার কেন, বিরোধী দল, নির্বাচন কেন কোন রাষ্ট্রের অস্তিত্বও কল্পনা করা যায় না। সেহেতু আমি মনে করি—আসন্ন ২০১৪ সালে সরকার গঠনে নির্বাচনের প্রক্রিয়া কেমন হবে তা জনগণের হাতে ছেড়ে দেয়া হোক। তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে কি থাকবে না, ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন হবে কি হবে না- তা নির্ধারণের জন্য গণভোটের আয়োজন করা হোক। সরকার যদি জনগণের কল্যাণের জন্য গঠন করা হয়, একতরফাভাবে ক্ষমতার জোর খাটিয়ে নির্বাচন না করা হয় তা হলে বর্তমান পরিস্থিতিতে জনমত নিয়েই পরবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া কেমন হবে তা তৈরি করা উচিত। এ জন্য আগামী জুলাই মাসের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশে গণভোটের আয়োজন করা হোক। নিশ্চয়ই এই প্রক্রিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংজ্ঞাকে আরো জীবন্ত করবে এবং এর চর্চা পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার পথে হাঁটবে বলে আশা করি।

জি,এম, রাশেদ বিন আবেদ

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১ম বর্ষ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ।

No comments:

Post a Comment