বু-এর বয়স তখন ছিল মাত্র দুই বছর। সেদিনের সেই ছোট্ট দুষ্টুমিষ্টি ফোকলা বুড়ি পরির মতো মেয়েটির বয়স এখন ১৪ বছর হয়ে যাওয়ার কথা। এখন সে যেন ডানা মেলা এক প্রজাপতি। মনস্টার ইঙ্ক যে মুক্তি পেয়েছিল ১২ বছর আগে। এক যুগ পর এবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে মনস্টার ইউনিভার্সিটি।
এ-ক যু-গ! হ্যাঁ, মনস্টার ইঙ্ক অ্যানিমেটেড ছবিটি দেখে যাঁরা হেসে কুটিকুটি হয়েছেন, কাহিনির অভিনবত্বে চমকিত হয়েছেন; এই এতগুলো বছর তাঁদের অপেক্ষা কেবল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতরই হয়েছে। অবাক বিস্ময়ে তাঁরা শুধু ভেবেছেন, ছবিটির সিক্যুয়েল কেন বানাচ্ছে না পিক্সার! অবশেষে মনস্টার ইঙ্ক ভক্তদের অপেক্ষার পালা ফুরোচ্ছে। না, ছবিটির ঠিক সিক্যুয়েল মুক্তি দিচ্ছে না পিক্সার। অ্যানিমেটেড ছবি বানানোয় সুখ্যাত প্রতিষ্ঠানটি বানিয়েছে মনস্টার ইঙ্ক-এর পূর্বকাহিনি। মানে প্রিক্যুয়েল।
মনস্টার ইঙ্ক-এ গল্প বলা হয়েছিল দুই দৈত্য, বিশালদেহী ভয়ংকর দর্শন জেমস পি সুলিভান এবং তাঁর সহকারী ও খুব কাছের বন্ধু, একচোখা বল-আকৃতির দৈত্য মাইক ওয়াজস্কির। আরও অনেক দৈত্যর মতো এই দুই বন্ধু চাকরি করে মনস্টার ইঙ্ক নামের সুবিশাল প্রতিষ্ঠানে। যে প্রতিষ্ঠানের কাজই হলো টাইম মেশিনের মতো কাজ করা বিশেষ দরজা দিয়ে রাতের বেলায় পৃথিবীর বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে বাচ্চাদের ভয় দেখানো। ‘উই স্কেয়ার বিকজ উই কেয়ার’—এই হলো তাদের জীবনের আদর্শ। বাচ্চাদের ভয় দেখানোর মাধ্যমে তৈরি হয় ‘এনার্জি’। যে এনার্জি দিয়ে চলে দৈত্যদের শহরের সবকিছু। যে বেশি ভয় দেখাতে পারে, সে পায় বেশি পয়েন্ট। নির্বাচিত হয় সেরা দৈত্য। পয়েন্টের দিক দিয়ে সুলিভান ওরফে সুলি হচ্ছে দৈত্যদের পৃথিবীর শচীন টেন্ডুলকার।
একদিন দৈত্যদের সেই দুনিয়ায় দুর্ঘটনাক্রমে চলে আসে বু। সেই বু-কে তার নিজের পৃথিবীতে পৌঁছে দেওয়ার মিশনে নামে সুলি ও মাইক। একসময় আবিষ্কৃত হয়, বাচ্চাদের ভয় দেখিয়ে যত এনার্জি উৎপাদিত হয়, তার চেয়ে শতগুণ বেশি এনার্জি উৎপাদিত হয় বাচ্চাদের হাসাতে পারলে। এর পর থেকে মনস্টার ইঙ্কের কর্মীরা ভয় দেখানোর বদলে বাচ্চাদের হাসানোর কাজে নেমে পড়ে।
এবারের ছবির গল্পটার কাহিনি মনস্টার ইঙ্ক-এর গল্পের ঠিক ১০ বছর আগের। সুলি তখনো দৈত্যদের জগতে এতটা সুখ্যাত হয়নি। মাত্রই পড়াশোনা করতে এসেছে দৈত্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ভয় দেখানোর ওপর পড়াশোনা করে সুলি। পড়তে এসেই সুলির সঙ্গে পরিচয় হয় মাইকের। মাইক ভীষণ সিরিয়াস ছাত্র। একদিন পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর দৈত্য হওয়ার স্বপ্ন দেখে সে। তাকে দেখলেই যেন বাচ্চাদের দাঁতকপাটি লেগে যায়—এই হচ্ছে মাইকের আশা।
১৮ বছর বয়সী সুলি আর ১৭ বছর বয়সী মাইক চরিত্রের দিক দিয়ে একেবারেই উল্টো ধরনের। মাইক যেমন ভয়বিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা ছাড়া আর কিচ্ছু বোঝে না, সুলি আবার দিলখোলা। একসময় দুজন দুজনের শত্রু হয়ে যায়। যে শত্রুতা শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় গাঢ় বন্ধুত্বে।
ছবির গল্প লিখেছেন যৌথভাবে ড্যানিয়েল গারসন, রবার্ট বেয়ার্ড এবং ড্যান স্ক্যালনন। স্ক্যালননের কাঁধেই ছিল পরিচালনার দায়িত্ব।
মাইক ও সুলির ঝগড়ার মতোই মনস্টার ইউনিভার্সিটি নিয়ে ভীষণ গোল বেধেছিল পিক্সার এবং ছবির পরিবেশক ওয়াল্ট ডিজনির। পিক্সারের প্রধান নির্বাহী, প্রয়াত প্রযুক্তি-গুরু স্টিভ জবসের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না ডিজনির। না হলে মনস্টার ইঙ্ক-এর সিক্যুয়েল বানানোর ঘোষণা এসেছিল ২০০৫ সালেই। পিক্সার তাদের ছবির স্বত্ব ডিজনির কাছে বেচে দিয়েছিল। সেই অধিকারবলেই ডিজনি ঘোষণা দেয়, পিক্সার নয়, মনস্টার ইঙ্ক-এর সিক্যুয়েল বানাবে সেভেন সার্কেল অ্যানিমেশন। যা হোক, এই দ্বন্দ্বের মধুর সমাপ্তিই ঘটেছে। মনস্টার ইউনিভার্সিটি পিক্সারই বানিয়েছে শেষ পর্যন্ত। মধুরেণ সমাপয়েৎ যে হতেই হবে!
এ-ক যু-গ! হ্যাঁ, মনস্টার ইঙ্ক অ্যানিমেটেড ছবিটি দেখে যাঁরা হেসে কুটিকুটি হয়েছেন, কাহিনির অভিনবত্বে চমকিত হয়েছেন; এই এতগুলো বছর তাঁদের অপেক্ষা কেবল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতরই হয়েছে। অবাক বিস্ময়ে তাঁরা শুধু ভেবেছেন, ছবিটির সিক্যুয়েল কেন বানাচ্ছে না পিক্সার! অবশেষে মনস্টার ইঙ্ক ভক্তদের অপেক্ষার পালা ফুরোচ্ছে। না, ছবিটির ঠিক সিক্যুয়েল মুক্তি দিচ্ছে না পিক্সার। অ্যানিমেটেড ছবি বানানোয় সুখ্যাত প্রতিষ্ঠানটি বানিয়েছে মনস্টার ইঙ্ক-এর পূর্বকাহিনি। মানে প্রিক্যুয়েল।
মনস্টার ইঙ্ক-এ গল্প বলা হয়েছিল দুই দৈত্য, বিশালদেহী ভয়ংকর দর্শন জেমস পি সুলিভান এবং তাঁর সহকারী ও খুব কাছের বন্ধু, একচোখা বল-আকৃতির দৈত্য মাইক ওয়াজস্কির। আরও অনেক দৈত্যর মতো এই দুই বন্ধু চাকরি করে মনস্টার ইঙ্ক নামের সুবিশাল প্রতিষ্ঠানে। যে প্রতিষ্ঠানের কাজই হলো টাইম মেশিনের মতো কাজ করা বিশেষ দরজা দিয়ে রাতের বেলায় পৃথিবীর বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে বাচ্চাদের ভয় দেখানো। ‘উই স্কেয়ার বিকজ উই কেয়ার’—এই হলো তাদের জীবনের আদর্শ। বাচ্চাদের ভয় দেখানোর মাধ্যমে তৈরি হয় ‘এনার্জি’। যে এনার্জি দিয়ে চলে দৈত্যদের শহরের সবকিছু। যে বেশি ভয় দেখাতে পারে, সে পায় বেশি পয়েন্ট। নির্বাচিত হয় সেরা দৈত্য। পয়েন্টের দিক দিয়ে সুলিভান ওরফে সুলি হচ্ছে দৈত্যদের পৃথিবীর শচীন টেন্ডুলকার।
একদিন দৈত্যদের সেই দুনিয়ায় দুর্ঘটনাক্রমে চলে আসে বু। সেই বু-কে তার নিজের পৃথিবীতে পৌঁছে দেওয়ার মিশনে নামে সুলি ও মাইক। একসময় আবিষ্কৃত হয়, বাচ্চাদের ভয় দেখিয়ে যত এনার্জি উৎপাদিত হয়, তার চেয়ে শতগুণ বেশি এনার্জি উৎপাদিত হয় বাচ্চাদের হাসাতে পারলে। এর পর থেকে মনস্টার ইঙ্কের কর্মীরা ভয় দেখানোর বদলে বাচ্চাদের হাসানোর কাজে নেমে পড়ে।
এবারের ছবির গল্পটার কাহিনি মনস্টার ইঙ্ক-এর গল্পের ঠিক ১০ বছর আগের। সুলি তখনো দৈত্যদের জগতে এতটা সুখ্যাত হয়নি। মাত্রই পড়াশোনা করতে এসেছে দৈত্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ভয় দেখানোর ওপর পড়াশোনা করে সুলি। পড়তে এসেই সুলির সঙ্গে পরিচয় হয় মাইকের। মাইক ভীষণ সিরিয়াস ছাত্র। একদিন পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর দৈত্য হওয়ার স্বপ্ন দেখে সে। তাকে দেখলেই যেন বাচ্চাদের দাঁতকপাটি লেগে যায়—এই হচ্ছে মাইকের আশা।
১৮ বছর বয়সী সুলি আর ১৭ বছর বয়সী মাইক চরিত্রের দিক দিয়ে একেবারেই উল্টো ধরনের। মাইক যেমন ভয়বিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা ছাড়া আর কিচ্ছু বোঝে না, সুলি আবার দিলখোলা। একসময় দুজন দুজনের শত্রু হয়ে যায়। যে শত্রুতা শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় গাঢ় বন্ধুত্বে।
ছবির গল্প লিখেছেন যৌথভাবে ড্যানিয়েল গারসন, রবার্ট বেয়ার্ড এবং ড্যান স্ক্যালনন। স্ক্যালননের কাঁধেই ছিল পরিচালনার দায়িত্ব।
মাইক ও সুলির ঝগড়ার মতোই মনস্টার ইউনিভার্সিটি নিয়ে ভীষণ গোল বেধেছিল পিক্সার এবং ছবির পরিবেশক ওয়াল্ট ডিজনির। পিক্সারের প্রধান নির্বাহী, প্রয়াত প্রযুক্তি-গুরু স্টিভ জবসের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না ডিজনির। না হলে মনস্টার ইঙ্ক-এর সিক্যুয়েল বানানোর ঘোষণা এসেছিল ২০০৫ সালেই। পিক্সার তাদের ছবির স্বত্ব ডিজনির কাছে বেচে দিয়েছিল। সেই অধিকারবলেই ডিজনি ঘোষণা দেয়, পিক্সার নয়, মনস্টার ইঙ্ক-এর সিক্যুয়েল বানাবে সেভেন সার্কেল অ্যানিমেশন। যা হোক, এই দ্বন্দ্বের মধুর সমাপ্তিই ঘটেছে। মনস্টার ইউনিভার্সিটি পিক্সারই বানিয়েছে শেষ পর্যন্ত। মধুরেণ সমাপয়েৎ যে হতেই হবে!
No comments:
Post a Comment